নিজস্ব মতিবেদক
ফেসিবাদী বাকশালের মন্ত্রী পদ্মা সেতু হজমকারী সৈয়দ আবুল হোসেনের কন্যা রুবাইয়াত হোসেনের দুর্বল পরিচালনার কারনে বাংলার চলচিত্র দর্শকের কাছে ‘মেহেরজান’ চলচিত্র পুটু মারা খাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে আগামী বতসর সম্পুর্ন নতুন আংগিকে ‘মেহেরজান ২.০’ নির্মানের অংগীকার করেছেন বাংলার সেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র বর্তমান আমীর বাংলার ডেভিড ধাওয়ান আল্লামা মস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বিশিষ্ঠ দার্শনিক, কবি, হেকিমী চিকিতসক ও সাংবাদিকদের উপর বোমা মারার দার্শনিক প্রবক্তা ফরহাদ মজহার লুংগি।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়জিত এক আলচনা অনুষ্ঠানে ফারুকী ও লুংগি ‘মেহেরজান ২.০’ নির্মান উপলক্ষে এক সমঝতা পত্রে সাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে লুংগি বলেন, মেহেরজান চলচিত্রটি আমার রচনা অবলম্বনে নির্মিত। কিন্তু আবুল মন্ত্রীর ডাবুল আবুল মাইয়ার হাতে এই চলচিত্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়া আমি লুটপাট হইয়া গিয়াছি। দর্শকের পচা ডিম খাইয়া আবুল মন্ত্রীর ডাবুল আবুল কন্যা চলচিত্রটিকে বাংলাদেশ হইতে প্রত্যাহার করিয়া হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়া দেখাইতে বাধ্য হইছে। মুক্তিযুদ্ধের পুটু মারিয়া রচনা করা চলচিত্র যদি বাংলার মানুষই দেখিতে না পাইল, তাহলে চলচিত্র বানাইয়া ফয়দা কি?
আবেগঘন কণ্ঠে লুংগি বলেন, এইবার তাই মেহেরজানকে কাটিয়া কুটিয়া নতুন করিয়া মুসাবিদা করছি। নতুন চলচিত্র পরিচালনার ভার দিতেছি এই জমানার সর্বাপেক্ষা বড় চলচিত্র পরিচালক ফারুকীর হাতে। এই মেহেরজান গল্পটি আমার আপন কন্যার নেয় আপন। তাই ফারুকী আজ হতে আমার জামাতা।
এ সময় বাংলার ডেভিড ধাওয়ান মস্তফা সরয়ার ফারুকী তিনবার কবুল উচ্চারন করে ‘মেহেরজান ২.০’ সিনেমার চিত্রনাট্য গ্রহন করলে উপস্থিত দর্শকরা হাততালি দিয়ে উঠেন।
মেহেরজান ২.০ উপলক্ষে বক্তব্যে বাংলার ধাওয়ান ফারুকী বলেন, মেহেরজান ২.০ সম্পর্কে যা কিছু বলার আছিল, তাহা ফরহাদ মজহার লুংগি খুলিয়া বলছেন। এ চলচিত্র সম্পর্কে যা কিছু দর্শকের কাছে তুলিয়া ধরার আছিল, তাহা ফরহাদ মজহার লুংগি তুলিয়া ধরছেন। তাই আমি আমার বক্তব্য দির্ঘ করব না। আমি শুধু বলতে চাই, মেহেরজান ২.০ হবে একটি আগুনের নেয় গনগনা চলচিত্র। এ চলচিত্রে মুক্তিযুদ্ধ থাকবে, মেহেরজান থাকবে, বেলুচী সৈনিক ওয়াসিম খান থাকবে, আবার লিটনের ফ্লেটও থাকবে। মেহেরজান ও ওয়াসিমকে আমি লিটনের ফ্লেটে তুলিয়া ছাড়ব। সেন্সর বুডের সংগে আলাপ আলচনা দর কষাকষি চলিতেছে, এইবার দর্শককে আর মুরগি দেখাইয়া ডাইল খাওয়াব না। ভাইসব, আপনাদের কাছে আমার ওয়াদা, মেহেরজান ২.০তে নেকেট সিন থাকবে, নেকেট সিন থাকবে, নেকেট সিন থাকবে।
আবেগঘন কণ্ঠে ফারুকী বলেন, দর্শক যা খায়, আমি তাহা লইয়াই চলচিত্র বানাই। দর্শক খায় নায়ক নায়িকার বেড সিন। দর্শক খায় ইনডিয়ান নায়িকা। আমি তাই এইবার সিনা চহানরে আনিয়া বেডে তুললাম। কিন্তু বানচুদ সেন্সর বুড আগুন আগুন সকল দৃশ্য কাটিয়া দিয়া বলল, চুদার দৃশ্য চলবে না। আমি সেন্সর বুডকে বললাম, হে সেন্সর বুড, চুদার দৃশ্যে কি সমস্যা? সেন্সর বুড হাসতে হাসতে আমায় বলল, ইসলামে নিষেধ আছে।
হুহু করে কেদে উঠে ফারুকী বলেন, সারাটি জীবন সেকুলার ঘোচুদের সংগে লড়াই করিয়া বৃদ্ধ বয়সে ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র আমীর হইলাম। আর সেন্সর বুড কিনা আমায় ইসলাম দেখায়। আমি তখন রাগ করিয়া সেন্সর বুডকে বললাম, ইহা কি ইরান পাইছ যে চলচিত্রে চুদার দৃশ্য দেখাইবা না? সেন্সর বুড তখন কাট সিনের সিডিখানি আমার হাতে দিয়া বলিল, লাইনে আসুন।
অশ্রু মুছে বাংলার ধাওয়ান বলেন, আমি তাই লুংগিদার সংগে জোট গঠন করার সিদ্ধান্ত লইছি। লুংগিদা নাস্তিক, কিন্তু ইসলামের পক্ষে লড়াই করেন। তিনি আল্লামা রাজ শফী হুজুরের তের দফার সমর্থক, কিন্তু ফরিদা আখতারের সংগে লিব টুগেদার করেন। করেন এনজিও, কিন্তু পরিচয় দেন দার্শনিক। পরেন লুংগি, কিন্তু মদ্য পানের জন্যি যাইতে চান ঢাকা ক্লাব। সেকুলারদের জ্বালায় এতদিন চলচিত্রে ইসলাম লইয়া কিছু বলতে পারি নাই, লুংগিদার সংগে জোট বান্ধিয়া এইবার মেহেরজান ২.০তে এক টিকিটে সব দেখাব। মেহেরজান চরিত্রে সানি লিওনি ও ওয়াসিম খান চরিত্রে ওয়াসিম আকরামকে লইয়া আসিব। প্রয়জনে সম্পুর্ন চলচিত্রের শুটিং লিটনের ফ্লেটেই হবে।
সমঝতা পত্রে সাক্ষর করে ফারুকী ও লুংগি পরস্পরকে নিবিড় আলিংগন করেন।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সাবধান করে দিয়ে বোমারু দার্শনিক ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, মেহেরজান ২.০ নিয়া ভাল ভাল কথা লিখ সালা ঘোচুর দল। নতুবা ইস্কাডুশ।
http://motikontho.wordpress.com/2014/11/14/মেহেরজান-২-০-নির্মানের-অং/