বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি প্রধান সমস্যা, যা অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন খাতকে প্রভাবিত করে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি উপলব্ধি সূচকে দেশটি ধারাবাহিকভাবে খারাপ অবস্থানে রয়েছে, 2020 সালে 100-এর মধ্যে 28 স্কোর সহ, যা উচ্চ স্তরের দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।
সরকারি খাতে দুর্নীতি ঘুষ, আত্মসাৎ এবং স্বজনপ্রীতির আকারে প্রচলিত। আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতা এবং স্বচ্ছতার অভাব কর্মকর্তাদের জন্য পরিষেবা বা অনুমোদনের বিনিময়ে ঘুষ দাবি করা সহজ করে তোলে। উপরন্তু, জবাবদিহিতা এবং তদারকির অভাব জনসাধারণের তহবিল আত্মসাতের অনুমতি দেয়।
বেসরকারী খাতে, দুর্নীতি ক্রনি ক্যাপিটালিজমের রূপ নেয়, যেখানে রাজনীতিবিদ এবং সরকারী আধিকারিকদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যবসাগুলি অনুকূল চুক্তি এবং চুক্তিগুলি সুরক্ষিত করতে সক্ষম হয়। এটি অর্থনীতির প্রতিযোগিতামূলকতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।
বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিছু প্রচেষ্টা করেছে, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় অখণ্ডতা কৌশল পাস করা। যাইহোক, এই প্রচেষ্টাগুলি অকার্যকর এবং দুর্নীতির মূল কারণগুলির সমাধান না করার জন্য সমালোচনা করা হয়েছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেন যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা উন্নত করা এবং দারিদ্র্য ও অসমতা মোকাবেলা সহ আরও ব্যাপক পদ্ধতির প্রয়োজন। দুর্নীতি মোকাবেলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এটি বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।