বর্তমানে অনলাইনে(ফেসবুকে) যে পরিমাণ আম ব্যবসায়ী আছে মনে হয় রাজশাহীতে তত আমগাছও নেই!
বাজারের আসল আম ব্যবসায়ীর তুলনায় ফেসবুকের আম ব্যবসায়ী বেশি হয়ে গেছে! এত বেশি হয়েছে যে ফেসবুকে ডুকলেই মনে হয় আমবুকে ডুকছি। যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে সামনে বছর থেকে হয়তো ফেইসবুকেই আম গাছ জম্মাবে বা চাষ করা হবে!
এবার আসি, অনলাইন তথা ফেসবুকের আম ব্যবসায়ী থেকে আম কিনলে লাভ নাকি বাজার থেকেই কিনলে।
স্থানভেদে জানামতে প্রত্যেক এলাকার আম ব্যবসায়ীরা কয়েকজন মিলেই সরাসরি ট্রাক করে রাজশাহী থেকে আম এনে বাজারে গ্যারান্টি সহকারে বিক্রি করে। তার মধ্যেই রাজশাহীর টাটকা ল্যাংড়া আম কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকা করে বিক্রি করছে। আর অনলাইনের বিশাল ব্যবসায়ীরা একই আম ৭০/৮০ করে বিক্রি করছে।
বাজার থেকে কিনলে নিজের হাতে বেছে দেশেশুনে নেওয়া যাবে, কোন জামেলা ছাড়াই। আর পঁচা বা অন্যকোন সমস্যা হলেই বাজারে গিয়ে আম ফেরত দিয়ে বদলায় আনা যায়। আর অন্যদিকে অনলাইন থেকে নিতে গেলে দামে বেশি, আবার অর্ডার করে তা কুরিয়ার থেকে আনতে যাও এবং কুরিয়ার সার্ভিস চার্জও দাও! তারমধ্য আরো অনেক সমস্যা তো আছেই।
তো কোনটা ভালো হবে? “দামে কম মানে নো জামেলা” সেটা নাকি “দামে বেশি মানে জামেলা” সেটা ?
ও আরেকটা কথা; বাজার থেকে আম কিনলে কিন্তু এক ফালি করে টেস্ট করতে দেয়। যা কিন্তু ফেসবুকের আম ব্যবসায়ীরা দিচ্ছে দেয় না/দিতে পারবে না
তবে হ্যাঁ আমার/আপনার পকেটে টাকা বেশি হলে অনলাইনের আম ব্যবসায়ী থেকে কেনা যায়, অনলাইন থেকে কিনলে সোস্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুকে নিজের প্রচার পাওয়া যাবে যে আম কিনে খেয়েছি। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অনলাইনের আম ব্যবসায়ী থেকেই কেনাই ভালো। বাজার থেকে কিনলে তো আর জাতি জানতে পারবে না যে আমি/আপনি আম কিনে খেয়েছি...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯