চারিদিকে বইছে শীতের আমেজ; ২১ শে পৌষের এই মধ্য শীত মৌসুমে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে কনকনে শীতের আবহ। শীত আমার বরাবরই প্রীয় ঋতু, শীত কখনোই আমাকে কাবু করতে পারেনি, কিন্তু এবারের শীত আমাকে একদম জেঁকে ধরেছে, জীবনে এই প্রথম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে বাধ্য হলাম!

ছবি: ভোরের কাগজ
গত শুক্রবার হুট করেই উত্তরবঙ্গের একটা জেলায় আসতে হয়েছে আমাকে, উত্তরবঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সফর, আগের বার গরমকালে এসেছিলাম। এতদিন শুধু শুনেই এসেছি উত্তরবঙ্গের সেই বিখ্যাত শীতের কথা আর এখন তা হাড়ে হাড়ে অনুভব করছি। সেই লেভের শীত ওরে বাব্বাহ!! প্রথম দুই তিন দিন খুব মজা লেগেছিল; মনে, শীতটাকে খুব উপভোগ করেছি, আর এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।

যা হোক, আমার আজকের পোস্ট শীতকে কিভাবে উপভোগ করবেন তা নিয়ে। আমাদের দেশে শীত থাকেই মাত্র তিন মাস তাই এই শীতকালটাকে উপভোগ করতে হবে আচ্ছামত, শীতকে ভয় পেলে চলবে না, ভয় পেলেন তো শীত আপনাকে জেঁকে ধরবে।
এবার আসি মূল কথায় - কিভাবে উত্তরবঙ্গের এই কনকনে ঠান্ডা উপভোগ করবেন তার একটা ফর্মুলা আমি আবিষ্কার করেছি যা নিচে দেওয়া হলো।
১: যেদিন কড়া শীত উপোভোগ করবেন সেদিন গোসল করা যাবে না, কারণ গোসল না করলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি অনুভব হয়।
২: দুপুরের পর থেকেই লেপের নিচে ঢুকে যেতে হবে, ঘুম না আসলেও দুই/তিন ঘন্টা শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপা টিপি করতে হবে। এটা করতে হবে এজন্য যে; শীতকালে শুয়ে থাকলে বা নড়াচড়া কম করলে শীত প্রচন্ডভাবে আক্রমণ করে।
৩: এবার হবে মূল পর্ব - ঘুম থেকে উঠে সন্ধার ঘন্টাখানেক আগে বাইরে বের হতে হবে সাধারণ গরম কালের পোষাক পরে; মানে, কোন ধরনের জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, হাত-মোজা, পা-মোজা, কান-টুপি, কেডস, বুটস ইত্যাদি পরিধান করা যাবে না। গরমকালে সাধারণত আমরা যে ধরণের পোষাক পরে বের হই সে যাতীয় পোষাক পরে বের হতে হবে। উত্তরবঙ্গে বাসা থেকে বের হলেই তিন চাকার ভ্যান গাড়ি পাওয়া যায়, একটা ভ্যান থামিয়ে ওটার সামনে বসে পরতে হবে, তারপর চালককে বলতে হবে মামা চালাও দেখি যত জোড়ে সম্ভব

৪: ইতিমধ্যে আপনি ঠক ঠক করে কাঁপা শুরু করছেন, আমি জানি

বাইরে আর কালক্ষেপণ না করে তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে গরম কাপড় পরিধান করুন, আপনার অবস্থা কাহিল এতক্ষণে।

নোট: গত ৫/৬ বছর ধরে আমি শীতকালে অন্তত একবার হলেও এভাবেই শীত উপোভোগ করি।
সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়