জেলেনস্কি যদি কমেডিয়ান হয়ে থাকে তাহলে হামাস কি? এই কমেডিয়ান রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ না করে নিজ দেশের জনগণ এবং পশ্চিমাদের সহয়তায় শক্তিশালী রাশিয়াকে রুখে দিচ্ছে। পশ্চিমারা যতই সহায়তা প্রদান করুক না কেন সে যদি নিজ দেশের জনগণের সমর্থন না পেতো তাহলে এতদিন রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হতো না। এই সেই কমেডিয়ান জেলেনস্কি যে কিনা পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে, যে কি না যুদ্ধের শুরুতে আমেরিকার কাছ থেকে সেফ এক্সিটের অফার পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে নিজ দেশের জনগণকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে, সেই সাথে বহির্বিশ্ব থেকে সমর্থন এবং সহয়তা দুটোই আদায় করে নিচ্ছে, আর সেই জেলেনস্কি হচ্ছে বঙ্গ পিপ্পলদের কাছে একজন কমেডিয়ান।
রাশিয়া ইউক্রেনে যত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বঙ্গ পিপ্পল ততই বাহবা দিয়েছে, কে যেন বলেছিল 'টিট ফর ট্যাট' এর মানে অবশ্য আমি জানি না।
একজন কমেডিয়ান যদি বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করে নিজ দেশের জনগণের সহয়তায় শক্তিশালী রাশিয়াকে রুখে দিতে পারে, বহির্বিশ্ব থেকে সহয়তা এবং সমর্থন আদায় করে নিতে পারে, তাহলে তাদের সেই বিখ্যাত বীরে বিক্রম হামাস কেন ইসরাইলকে রুখে দিতে পারছে না? বহির্বিশ্বের নেতাদের কাছ থেকে হামাস কেন কোন সহায়তা আদায় করতে পারছে না? কয়েকটা পটকা ফুটিয়ে বীরে বিক্রম হামাস কেন এখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে আছে, চিরশত্রু ইসরাইলকে উস্কে দিয়ে এখন নিজেই ইঁদুরের গর্তে পালিয়েছে আর মার খাচ্ছে গাজার সাধারণ জনগণ। গাজার সাধারণ জনগণের এই দুরবস্থার জন্য আপাত দৃষ্টিতে হামাসই দায়ী, হামাসের পিছনে কে আছে তা অবশ্য আমি জানি না, তবে হামাস গজাবাসীকে গিনিপপে পরিনত করেছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
ব্লগে আমি লগ-ইন করতে চাই না, যেদিন লগইন করবো সেদিন আমার রাত সবার হয়ে যায়, তবে লগ-ইন যেহেতু করেছি'ই তাই হুট হাট করে একটি পোস্ট করে দিয়ে যাই, অনেকদিন ধরে কোন পোস্ট করা হয় না।
যুগে যুগে মুসলীম ও অন্যান্য জাতি দ্বারা ইহুদীরা ভয়ঙ্কর নির্যাতন এবং বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়ছে, নিচের এই ভিডিও থেকে তা এক নজড় দেখে নিন। An Open Letter To The World
যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম তা হচ্ছে- হামাসকে দমন করার জন্য আরও অনেক উপায়ই খেলা ছিলো তাতে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতো কিন্তু তা না করে গাজায় হামাসকে দমন করতে গিয়ে মশা মারতে কামান দাগার মত অবস্থা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব, বিপুল পরিমাণে সাধারণ জনগণের প্রাণ যাচ্ছে কিন্তু এর মূল কারণ কি তা ঠিক আমি জানি না তবে, বিবিধ কারণেই আমার মনে হয় এই যুদ্ধের মূল টার্গেট হচ্ছে ইরান। ইরানের সাথে আমেরিকার দীর্ঘদিনের একটা বুঝা পড়া রয়েছে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না, তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে থেকে আমেরিকা খুব সহজেই যাচ্ছে না, ঠিক এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে আমেরিকার শক্তি প্রদর্শন করাটা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। ইরান যদি এখন খুব বেশি উচ্চবাচ্য করে তাহলে ইরানের অবস্থাও ঠিক ইরাক, লিবিয়ার মত হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইরান বেশ ভয়'ই পেয়েছে, মাঝে মাঝে মিউ মিউ করে দুই একটা বিবৃতি দেয়া ছাড়া ফিলিস্তিনের জন্য তেমন কিছুই করছে না। আমার মনে হয় না হিজবুল্লাহ নামক জঙ্গি সংঘটন দ্বারা ইরান ইজরাইলকে থামাতে পারবে, মাঝখান থেকে বেঘোরে মারা পড়বে সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের জন্য এই মহুর্তে আমার দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমি যদি গাজাবাসী হতাম তাহলে হয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াতাম না হলে গাজা ছেড়ে কোন সেফ প্লেসে চলে যেতাম, অবশ্যই বসে বসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতাম না।
একটা যুদ্ধের পিছনে যতই যুক্তি থাকুক না কেন, গণহত্যা কখনোই মেনে নেয়া যায় না, একটা যুদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষে দু-পক্ষেরই হাজার হাজার লোক মারা যেতে পারে কিন্তু সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ওটা কখনোই ভালো যুদ্ধ কৌশল হতে পারে না। যে সকল দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সাপোর্ট করেছ তাদের কোন রাইট নেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলার এদের আস্কারা পেয়েই মূলত আমেরিকা-ইসরাইল গজায় হামলা চালাতে উৎসাহী হয়েছে। বিশ্ববাসী যদি এক হয়ে পুতিনকে থামাতে পারতো তাহলে আজ গাজায় কোন হামলার ঘটনা ঘটতো না। যারাই ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সমর্থন করেছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না, খুব সম্ভবত শুরুটা হবে ইরানকে দিয়েই, বিষয়টি নির্ভর করছে ইরান কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তার উপর।
নোট: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা মূল্যহীন, তবে আমি শুধু এ বিষয়ে আমার মতামত এবং কি হতে পারে তা সংক্ষেপিত আকারে তুলে ধরলাম।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮