কিছু হলেই অনুভূতিতে আঘাত, পান থেকে চুন খসলেই ধর্ম গেলো গেলো; মেরে ফেলো, কেটে ফেলো, পুতে ফেলো এসবই হচ্ছে ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীর মনোভাব। সময় এসেছে এসব সেন্টিমেন্টাল জনগোষ্ঠীর অনুভূতি একটু ভোতা করে দেওয়ার। ভাগ্যিস কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষ মেয়েটির ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এবং সময়মত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলো তা না হলে ধর্মানুনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অজুহাতে পাকিস্তানে আরেকটি খুনের ঘটনার নিউজ পেতে হতো আমাদের।
ঘটনাটি আমাদেরই জাত ভাই পাকিস্তানে, যেখানে ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার অজুহাতে মানুষ খুন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা, মেয়েটির অপরাধ সে বোরকা পরেনি আর যেহেতু সে বোরকা পরেনি তাই ধর্মান্ধ জনতার এখন ঈমানী দায়িত্ব মেয়েটির দিকে হা করে তাকিয়ে লোল ফেলার, তা না হলে তাদের পুরুষত্ব লোপ পাবে। এভাবে লোল ফেলতে ফেলতে কিছু জঙ্গি লক্ষ্য করলো মেয়েটির পোশাকের ভাঁজে আরবি হরফে কিছু একটা লেখা রয়েছে, আর পায় কে! এমনিতেই নাচুনে বুড়ি তার উপর আবার ঢোলের বারি, একে তো মেয়েটি বোরকা পরেনি তাই তাকে হেনেস্তা করার, গালাগলি করার নানা বাহানা তারা খুঁজতেছিলো তার উপর পেয়ে গেলো মেয়েটির পোশাকে আরবি হরফ, লে হালুয়া... ফুঁসে উঠলো উগ্র ধর্মান্ধ জনতা, আরেকটি লাশ না ফেলতে পারলে যেন তাদের ধর্ম টিকবেই না। ভাগ্যিস সাধারণ কয়েকজন মানুষ মেয়েটির ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এবং সময়মত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলো তা না হলে ধর্মানুনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অজুহাতে পাকিস্তানে আরেকটি খুনের ঘটনার নিউজ পেতে হতো আমাদের। মেয়েটিকে ভাগ্যবানই বলতে হবে, উগ্র জনতার হাতে পরলে মেয়েটির কি অবস্থা হতো তা ভাবতেই গা শিউরে উঠে!!
সাধারণ জনগনের উচিৎ এসব উগ্র জনগোষ্ঠীকে একটু সহনশীলতা শিখানো, আর ধর্মহীনদের দায়িত্ব এদের সো কলড অনুভূতিতে বেশি বেশি সুড়সুড়ি দেয়া যাতে এদের অনুভূতি একটু ভোতা হয়, ইহাতে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসবে।
পুরো ঘটনাটি ভিডিওতে দেখুন।
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক।
ছোট একটি প্রশ্ন: গত ২০ বছরে শুধুমাত্র এক পাকিস্তানে উগ্র ধর্মান্ধ জনতার হাতে এখন পর্যন্ত কত জন মানুষ খুন হয়েছে?
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৮