সাম্প্রতিক সময়ে শিবির নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হচ্ছে। ইসলাম রক্ষা এবং দ্বীনের প্রচারে যে দায়িত্ব শিবির পালন করে যাচ্ছে সেটা অতুলনীয়। অতীতেও আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্নে ইসলামী ছাত্র সংঘ তথা শিবিরের ভাইয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের পক্ষে অস্ত্রধারন করা মুনাফেক ও ভারতীয় দালালদের বিরুদ্ধে স্বক্রিয় ছিলো। তবে বর্তমান সরকারের আমলেও শিবির নিয়ে এই ধরনের মিথ্যাচার প্রচন্ড হতাশাজনক। শিবিরের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগ যেমন মাদ্রাসার ছোট শিক্ষার্থীদের বলৎকার, পরকীয়া, টেন্ডাবাজী ইত্যাদি সবই ষড়যন্ত্রের অংশ।
এর মধ্যে ঘটেছে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। বরিশালের উজিরপুরে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়া ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী মাইনুল ইসলামকে সংঘঠন থেকে বহিস্কার করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। অথচ শিবির সব সময় অন্যের বিপদে এগিয়ে যায়!
আজ আপনাদের সামনে আসল ঘটনা তুলে ধরব, ইনশাল্লাহ।
বিষয়টা হচ্ছে এমন যে, একজন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী রাতে একা বিছানায় ঘুমাতে ভয় পাচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল জীন ভুত বুঝি তাকে আক্রমন করবে। এই অবস্থায় তিনি পাশের এলাকার মসজিদের ইমাম বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের একনিষ্ঠ কর্মী মাইনুল সাহেবের শরনাপন্ন হন। এহেন বিপদের কথা শুনে শিবিরকর্মী ইমাম সাহেব সাহায্য করার ব্যকুল হয়ে উঠেন। তার আর তর সহ্য হচ্ছিলো না। তিনি প্রবাসীর স্ত্রীকে মসজিদেই সব খুলে বলতে বললেন। প্রবাসী স্ত্রী বললেন, মসজিদে না, বাসায় চলেন, সেখানে সব খুলে বলব।
এই দিকে সব খুলে বলার সময় নানা রকম শব্দ শুনে আমাদের প্রিয় " তাওহিদী যৌণতা" গ্রুপ সেখানে গিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে ইমাম সাহেবকে বন্দী করার পর জিভে কামড় দেখে, ' এটা তো সেইম সাইড হয়ে গেছে, নিজের পোস্টে নিজেরাই গোল দিয়েছেন।
এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলুদ সাংবাদিকরা লিখেছে - প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীরা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা।
অথচ শিবিরের সাথে পরকীয়া যায় না। শয়তানের ওসওয়াসার পড়ে কেউ নফসের কাছে পরাজিত হলে সেটার দায়ভার কেন শিবির কর্মীরা নিবেন? এর জন্য দায়ী মুলত শয়তান। এই সকল মিথ্যাচারের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


