somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে ইসলামচিন্তার নানা ধারা ও চিন্তকগণঃ ‘বাংলার ইসলাম’ প্রসঙ্গ ও সম্ভাবনা (পর্ব-২)

০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাধারণ আলোচনাঃ

৬।
বাংলাদেশে ইসলামের রাজনৈতিক ধারাও শক্তিমান। অনেকেই এটাকে ইসলামের বিশেষ রূপ হিশেবে চিহ্নিত করে political Islam নাম দেন।মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ইসলামের এই বিশেষ চেহারা নিয়ে উদ্বিগ্ন।স্নায়ুযুদ্ধের পরিসমাপ্তির পর দুনিয়ায় নিজেকে ‘হিরো’ হিশেবে উপস্থাপনের তাড়নায় তার প্রয়োজন পরল ‘ভিলেন’ আবিস্কারের।এই ভিলেন আবিস্কারের প্রক্রিয়ায় দুয়ারে পাওয়া গেল রাজনৈতিক ইসলাম।যদিও প্রত্যেক ধর্মই এই অর্থে রাজনৈতিক যে, প্রতিষ্ঠিত সমাজব্যবস্থা ও মূল্যবোধকে এটি পরিবর্তন করে নতুন মূল্যবোধ ও সম্পর্ক নির্মান করতে চায়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলামের তিনটি রূপ পাওয়া যেতে পারেঃ

ক) যারা প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহন করে ক্ষমতায় আরোহণ করে ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা’ করতে চানঃ বাংলাদেশে এই প্রথম রূপটি বেশ শক্তি নিয়েই হাজির আছে।জামায়েতে ইসলামি,ইসলামি ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ,ইসলামি শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন ইত্যাদি বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতির প্রতিভূ।যদিও প্রথম দলটি মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার কারনে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় বিপর্যস্ত এবং এ দলটির তাত্ত্বিকগুরু মাওলানা মউদুদির ‘রাজনৈতিক ভাবনা ও বিশ্লেষণ’কে ধর্মীয় পরিসর থেকেই অনেকে পর্যালোচনা ও প্রশ্নবিদ্ধ ক’রে এ কালে তার তাত্ত্বিক জোরকে হ্রাস করেছেন বহুলাংশেই,যদিও মাউলানা মওদূদীর তাফসিরের প্রভাব আমাদের দেশের শিক্ষিত মহলের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে বেশ প্রবল।জামাত তার তাত্ত্বিকগুরুর চিন্তার বাইরে যেতে পারেনি,প্রায় কখনোই;তাদের লিটারেচারের প্রায় সবটুকুনই মাওলানা মউদুদির লেখারই চর্বিতচর্বন।পাকিস্থান ও বাংলাদেশের অনেকেই মাওলানা মউদুদীর চিন্তার প্রভাব বলয় ও জামাত থেকে বেরিয়ে এসে নতুন রাজনৈতিক-সাংগঠনিক ভাবনা হাজির করেছেন। বাংলাদেশে অন্যান্য ইসলামি দল গুলো তাদের ইসলাম ভাবনাকে ভারতবর্সে ইসলাম বোঝার ও চর্চার ইতিহাসের বিস্তৃত পরিসরে স্তাপিত করেছে যেখানে আধ্যত্তিকতা ,প্রজ্ঞা আর জাগতিকতার মিশেল ঘটেছিল।শাহ ইসমাইল শহীদ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি, দেওবন্দের প্রখ্যাত আলেমবৃন্দ, সোলায়মান নাদবি, হাসান আলি নাদবি, মুফতি মোহাম্মদ শফি, তকি উসমানি প্রমুখের ইসলাম ব্যাখ্যা ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা এদের রাজনৈতিক ভাবনায় রসদ যোগায়।
বাংলাদেশের সেকুলার ও প্রগতিশীলরা ইসলামি রাজনীতিকে প্রায়শই ‘সাম্প্রদায়িক’,’মৌলবাদী’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে সম্ভাষিত করেন,তবে ধর্মভিত্তিক রাজনিতি নিয়ে তাদের আপত্তি থাকলেও, ভাষিক ও ভোগলিক পরিচয় ভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে তারা আপত্তি করেন না। তবে ইদানিং সেকুলারিজম,ইউরোপীয় এনলাইটমেন্ট,রেনেসাঁ, আইডিওলজি, পাওয়ার রিলেশান্স,আইডেন্টিটি পলিটিক্স,মার্ক্সসিজম ও ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে একটা পর্যালচনার আবহ শুরু হওয়ায় এই ‘লেবেলিং’ গুলো আমাদের বুদ্ধিব্রিত্তিক জগতে খুব একটা কল্কে পাচ্ছেনা।

খ)যারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে গণবিপ্লব করে গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে নিসিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীর এ মতাবলম্বী।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি জানা ও বেশ বিত্তবান তরুণদের নিয়ে এ দলটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশে।প্যালেস্টাইনের বিখ্যাত জুরিস্ট তকিউদ্দীন নাবানি এ দলের তাত্ত্বিকগুরু।

গ)যারা জঙ্গি তৎপরতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা’ করতে চায়ঃ আমাদের দেশে ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতা মূলত বিস্তৃত পরিসরে ইসলামকে বোঝার অক্ষমতা থেকে ও সাধারণত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুসলিম নির্যাতন,বঞ্চনা ও মার্কিনি আগ্রাসন থেকে উদ্ভুত।আবেগী মুমিন বিপথগামী হয় তাদের ভ্রান্ত বুঝ ও প্রচলিত ব্যবস্থায় অসন্তুষ্টির কারণে।‘জিহাদ’ ও ‘কিতাল’ সম্পর্কে নিদারুণ ভুল ধারণা থেকেও উদ্ভুত হয় সহিংস তৎপরতা।‘জিহাদ’কে প্রায়শই ‘ধর্মযুদ্ধ’ ও ‘পবিত্র যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।মনে রাখতে হবে ইসলামি ধর্মতত্ত্বে জিহাদের আভিধানিক ও পারিভাষিক দুরকম অর্থ আছে। বস্তুত, পারিভাষিকভাবে, জিহাদ না পবিত্র যুদ্ধ না ধর্মযুদ্ধ।ইসলামের পরিভাষায় জিহাদ অর্থ ‘রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ’।মুসলিম রাষ্ট্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধকে ইসলামের জিহাদ বলা হয়েছে। রাষ্ট্র ব্যতিরেকে,রাষ্ট্রপ্রধানের তত্ত্বাবধান ছাড়া কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অধিকার নাই সশস্ত্র জিহাদের।(এ বিষয়ে ডঃ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের অত্যন্ত অন্তর্দৃস্টিসম্পন্ন ও সুবিস্তৃত গবেষণাগ্রন্থ “ ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ” বইটি আগ্রহীরা দেখতে পারেন।) ইসলামের ইতিহাসের সুবিশাল পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ করে প্রাজ্ঞ আলেমগণ এমন সিদ্ধান্তেই পৌঁছেছেন।ইসলামের নামে এক ব্যক্তির আরেক ব্যক্তিকে হত্যার অধিকার কোনক্রমেই স্বীকৃত নয়।যেসব আলেমদের আরবি ভাষা,কোরআন,হাদিস,তাফসির, ফিকাহের বিশাল ভাণ্ডার,সাহাবিদের কর্মপন্থা,প্রাচীন ইমামদের মতামত,শরিয়ত চর্চা ও প্রয়োগের দীর্ঘ ইতিহাস জানা থাকার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানের নানা বিষয় সম্পর্কে অবগতি আছে তারা ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা’র জন্য জঙ্গি তৎপরতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।যদিও ‘ভায়লেন্স’ এর আবশ্যকতার অন্য পরিপ্রেক্ষিত আছে যেটি এ আলোচনার উপজীব্য নয়।অধিকার রক্ষা ও নির্যাতকের বিরুদ্ধে সাধ্য অনুসারে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ইসলামি দিকনির্দেশনা ও মুক্তিসংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনাও ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠায়’ সহিংসপন্থা অবলম্বনকারীদের সম্পর্কে প্রযোজ্য নয়।পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক ইসলামের মূলধারা এটি নয়।

৭।
রাজনৈতিক ইসলামের বিপরীতে আছে ইসলামের সুফিবাদী ধারা। বাংলার সেকুলার ও প্রগতিশীল মহলে এ ধারার ইসলামকে পছন্দ ও প্রশংসা করতে শোনা যায় এবং এটিকে তারা ইসলামের একটি অনন্য জ্ঞানতাত্ত্বিক ও দার্শনিক ধারা বলেও মনে করেন।এই চাওয়াটিও রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ও নির্দোষ নয়। ।ইসলামের এই রূপটির বিকাশ তারা চান,বিশেষ করে এ অঞ্চলে কৃষির বিকাশে সুফি-দরবেশ-পীর-আওলিয়াদের অবদান, তাদের ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ও জনমানুষের রোগনিরাময়ের বিশেষ কিছু চিকিৎসাপদ্ধতি প্রবর্তনের কারণে। একটি মজার ব্যাপার উল্লেখযোগ্য,পীর আউলিয়াদের ঝাড়ফুঁক-তাবিজ-তাগা প্রভৃতিকে আমাদের সমাজের বিজ্ঞান্মনস্ক অংশ অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কার মনে করেন; অপরদিকে প্রগতিশীলদের আরেকটি অংশ ‘লোকায়ত ইসলাম’ এর নমুনা হিসেবে এগুলোকে গ্লোরিফাই করেন এবং ইসলামে চর্চার বৈচিত্র হিসেবে এগুলোকে ভাবতে পছন্দ করেন। যা হোক, বাংলার পীরালি ঘরানা এই ধারাকে ধরে রেখেছে কিছুটা;ভন্ডামি ও প্রতারণাও আছে পাশাপাশি এ ধারাকে ঘিরে।তাবলীগ জামাতের গঠনও সুফি ইসলামের আবহেই। সুফিবাদী ধারাও একস্বরিক নয়,তারও আছে নানা বৈচিত্রময় অভিব্যক্তি।সুফিবাদের নানা তরিকা,যেমন কাদেরিয়া,নকশবন্দিয়া,চিশতিয়া ইত্যাদি, বাংলাদেশে লক্ষ্য করা যায়। বাংলা অঞ্চলে ইসলামের প্রসারের পেছনে এই পীর-আউলিয়া বা সুফিদের ভুমিকা ছিল বলে রিচার্ড ইটন দেখিয়েছেন। ক্লাসিক সুফিবাদি ধারার অন্তর্ভুক্ত হযরত আলি(রা), হাসান বসরি,রাবেয়া বসরি,মানসুর হাল্লাজ, জালালুদ্দীন রুমি, বায়েজিদ বস্তামি,ফরিদুদ্দীন আত্তার প্রমুখ। ভারতবর্সে সাইয়েদ আহমেদ বেরেলবি,ইসমাইল শহীদ, মইনুদ্দিন চিশতি, মুজাদ্দিদ আলফে সানি,খাজা ফরীদুদ্দীন গঞ্জেশকর প্রমুখ এ ধারার অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।পীর ও সুফিদের দরিদ্র ও বুভুক্ষু মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘হুক্কুল ইবাদ’(মানবসেবা)এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। ভারতবর্সের অজস্র খানকায় নিরন্ন মানুষকে নিয়মিত ভোজন করানোর অনন্য ইতিহাস পাই হাসান আলি নদবির ‘সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস’ গ্রন্থে।তিনি দেখাচ্ছেন,রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বলয়ের ধারে কাছেও তারা ঘেঁষতেন না; বরঞ্ছ তাদের ক্ষমতার আধ্যাত্মিকতায় রাজা-বাদশাহরাই তাদের দরবারে হাজিরা দিতেন।
সুফিরা ‘পরম সত্যে’এর অনুসন্ধানী নন শুধু, সাধনার মধ্য দিয়ে পরম সত্যে বিরাজ করা তাদের লক্ষ্য।জ্ঞাতা ও জ্ঞায়ের ভেদ মোচন করে তারা স্রষ্টা ও বস্তুর আন্তর রূপ অবলোকন করে সেখানে অবস্থান করতে চান।ধ্রুপদী সুফিবাদী ধারা দৈহিক ও অন্তরবৃত্তিক কঠোর সাধনার মধ্য দিয়ে তারা অর্জন করতে চান ‘স্ব-ভাব’এর ঐশবরিকতা ও লীন হতে চান সত্যের স্বরূপে।হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রীতে তারা কোন মধ্যস্থতা ছাড়াই প্রাপ্ত হতে চান খোদায়ী নির্দেশনা। সত্য অর্জনের চেয়ে,নিজেরাই ‘সত্য’ হয়ে উঠতে চান।

৮। আমার আলোচিত বর্তমান ধারাটি সবচেয়ে বৈচিত্রময়। যদিও তাদের সংখ্যাধিক্য ইসলামিচিন্তার ধারায় তাদের প্রতাপকে নির্দেশ করেনা।এ ধারা আমাদের সমাজে ইসলামের কোন Idea generator ও propagator না হওয়ায় তারা receiving end এ অবস্থান করেন।এ ধারার একটা অংশ,বিশ্বাসে মুসলিম,যদিও আচারনিষ্ঠ নন।ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যা পেলে নিজ ধর্মের ব্যপারে আস্থাবান হয়ে উঠেন আর ‘অবমাননা’ দেখলে আহত হন ভেতরে ভেতরে।ইসলাম নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতায় তাদের কোন বিশেষ আগ্রহ নাই; সহজ-স্বাভাবিকতায় যতটুকু পারেন ইসলাম চর্চা করেন । এ ধারার বেশীর ভাগই প্রাত্যহিক জীবনে কোনটা ইসলামসিদ্ধ আর কোনটা নয় এমন জলনিরোধ( watertight) শ্রেনীবিভাগ করেন না । অনেকেই ,থার্টি ফার্স্ট নাইটের প্রোগ্রামেও যান, আবার যান তারাবির নামাজেও। রোজার দিনে ইসলামি প্রোগ্রামও দেখেন, আবার প্রাত্যহিক জীবনের একটু অবসরে বিনোদনের সব মাধ্যমই গ্রহণ করেন। ইসলাম- অনইসলাম এমন ভাগে জীবনের বৃহৎ পরিসরকে তারা ভাগ করেন না; জীবনের স্বচ্ছন্দ গতিতে তারা আবাহন করেন ধর্মে আস্থা ও বিশ্বাসটুকু অক্ষুন্ন রেখেই। ধর্মের কেতাবি রূপ নিয়ে তাদের আগ্রহ নাই; মসজিদের খুৎবা থেকে অথবা ‘বেহেশতি জেওর’ ‘ মকছুদুল মমেনিন’ ‘ আমলে নাজাত’ ইত্যাদি বইয়ের মাধ্যমে তারা ইসলাম বোঝেন বা শেখেন।চর্চার বিশুদ্ধতা নিয়ে তারা ভাবিত নন; তারা নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বে আস্থাশীল; অন্যধর্মাবলম্বীদের পরিসরেও রয়েছে তাদের সহজ বিচরন।

৯।
বাংলাদেশে ইসলামের এই নানামাত্রিক ধারা এক বাস্তবতা।আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর সব অংশই এ ধারাগুলোর কোন না কোন অংশে পরে।উপরের সবগুলো ধারা নিয়েই পর্যালচনামুলক আলোচনা সম্ভব।কয়েকটি ধারার বিশ্লেষণ করার আশা রাখি পররবর্তী পর্বে।বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তি নির্ভরতার এ যুগে উপরোক্ত প্রায় সব ধারাই কোন না কোন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বা পারস্পরকে জানার সুযোগ পাচ্ছে বলে নিজেরাই নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছে ইতিবাচকতা ও মানবপ্রকৃতির বৈচিত্র্যকে স্বীকার ও ধারণ করে।পরস্পরকে জানাশুনার এই পরিসরকে আরও বিস্তৃত ও ঘনিষ্ঠ করা প্রয়োজন।ইসালমের সারসত্তাকে অক্ষুন্ন রেখে কোন অবয়বের ইসলামের বিকাশ আমরা চাই বাংলাদেশে সেটির আলোচনাও প্রয়োজন ও তা করবার আশা রাখি অন্যান্য পর্ব গুলোতে।সেকুলার-প্রগতিশীল-বামপন্থীগণ ইসলাম ও মুসলিম প্রসংগকে যে পদ্ধতিতে আলোচনা করেন ও আলাপ হাজির করেন তাও পর্যালচনার দাবিদার। পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন ও অধিপতি মিডিয়ার ‘মিসরেপ্রিজেন্টেশন’এর এ যুগে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, নারীসমাজ ও জীবন-জীবিকায় ত্রস্ত গণমানুষ ইসলামকে কিভাবে তাদের জীবনে,চর্চায় ও মননে ধারণ করেন সেটিও আলোচিত হবে কোন একটি পর্বে।বাংলাদেশে স্বাধীনতার পুর্বে ও পরে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে যারা ইসলাম নিয়ে মৌলিক লেখালেখি করেছেন,সেগুলকেও বৈশ্বিক পরিসরে পাঠ করতে চাই,এই বিবেচনাকে সামনে রেখে যে, একবিংশ শতাব্ধিতে বাংলাদেশে ইসলাম ভাবনা ও ইসলামপন্থা কোন পথে অগ্রসর হচ্ছে ও ‘আমাদের’ করণীয় কী।


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×