২০০৭ এর ১১ই জানুয়ারী ডক্টর ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর মূলত দুটি বিষয়ে টার্গেট রেখে কাজ শুরু করে। প্রথমত দুর্নীতি দ্বিতীয়ত সন্ত্রাস। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে ইহার মাধ্যমে বৃহৎ দলসমূহের সাবেক মন্ত্রীদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে এবং দেশের গরীব মানুষের উপবাস রেখে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠানোর রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায়। সাধারণ সরকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাবেক প্রধান দুই মন্ত্রীসহ কোন দুর্নীতিবাজ এই ক্ষেত্রে রেহাই পাননি। এদের দুর্নীতির খতিয়ান দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় ফলাও ভাবে ধারাবাহিক প্রকাশ হয়েছে। যা সচেতন পাঠক মহল অবগত আছেন এবং সাথে সুন্নী ভাইয়েরাও। এতে করে বৃহৎ দলের নেতারা কিভাবে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তা আর কারো অজানার নয়। সচেতন সুন্নী ভাইয়েরা এসবের দায়ভার কি আমরা কাঁধে নিতে পারি? ইসলাম তো দুর্নীতিতে বিরুদ্ধে বলে ওজন কম দেয়া, পণ্যে ভেজাল মিশানো, সুদ গ্রহণ, ঘুষ প্রদান ইত্যাদিতো ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাহলে যারা ইসলামের আদেশ- নির্দেশের তোয়াক্কা না করে গরীবদেরকে উপবাস রেখে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের সাথে কি আমরা হাত মিলাতে পারি, ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, সমর্থন করতে পারি, ভোট দিতে পারি, পক্ষপাতিত্ব করতে পারি, সুন্নীদের পক্ষের ভাবতে পারি, সুন্নীয়তের কল্যাণ আশা করতে পারি? তাদের মাধ্যমে নবী অলি বিদ্ধেষী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কল্পনা করতে পারি? যদি না পারি তাহলে কেন এদের পক্ষে কথা বলব, সমর্থন করব, একাত্বতা প্রকাশ করব, রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখব। না, সত্যিকার নায়েবে রাসূলগণ, আশেকে রাসূলগণ কিধিত দুনিয়াবী স্বার্থে নিজ আদর্শকে বিসর্জন দিতে পারে না। নিজের যত্তটুকু শক্তি আছে তা দিয়ে চেষ্টা করুন, শক্তি বৃদ্ধি করুন, পরামর্শ করুন, পরিকল্পনা নিন, বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন, ইনশাআল্লাহ বিজয় আসবেই।