somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ রবিবার আমরা বাংলাদেশের মুসলিমগণ ঈদ উদযাপন করলাম সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে। আর আজ যারা শাওয়ালের চাঁদের ১ তারিখ রোজা রেখেছেন তারা আল্লাহর নিকট জবাব দিবেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের আজ রবিবার সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে শাওয়ালের ১ তারিখে ঈদ উদযাপন করার তৌফিক দান করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনো তাদের বাপদাদাদের অনুসরণে শাওয়ালের চাঁদের ২ তারিখ ঈদ পালন করে থাকেন। তারা মূলত হারাম দিনে অর্থ্যাৎ শাওয়ালের চাঁদের ১ তারিখকে চাঁনরাত বলেন এবং সেই দিন অর্থ্যাৎ শাওয়ালের চাঁদের ১ তারিখ রোজা রাখেন যা সম্পূর্ণ রূপে হারাম। বাংলাদেশের মানুষ আজ বরিবার পৃথিবীর আকাশে শাওয়ালের নতুন চাঁদ থাকা সত্ত্বেও তারা আজ বরিবার রোজা রেখেছেন। আল্লাহ তাদের সত্য খোজার ও গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

============================================
চাঁদ দেখে তারিখ নির্ধারণ করাঃ-
মহান আল্লাহ বলেন,
"তারা তোমাকে নতুন চাঁদ সমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। তুমি বলো, (নতুন চাঁদ সমূহ) তা মানুষের জন্য সময় নির্ধারক এবং হাজ্বের সময়েরও (তারিখ) নির্ধারক। -সূরা বাকারাহ-২/১৮৯
এ আয়াত দ্বারা সুষ্পষ্টভাবে বূঝা যায় যে, মানব জাতিকে চাঁদের হিসেবে তারিখ ও হাজ্বের তারিখ নির্ণয় করতে হবে।
============================================
রোজা ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরীঃ-
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
"তোমরা চাঁদ দেখে রোজা পালন কর এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন কর। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ৩০ পূর্ণ কর। - নাসাঈ, সহীহ, আরবী মিশর ২১২৪, ২১২৫, ২১২৯, ২১৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নাসাঈ হাদিস নং-২১২৮, তিরমিযী, সহীহ, আরবী রিয়াদ-হাদিস নং-৬৮৮, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, হাদিস নং-৬৮৮

আরও রয়েছে-বুখারী, আরবী মিশর-১৯০৯, তাওহীদ পাবলিকেশন্স-১৯০৯, বুখারী-ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ-১৭৮৫, বুখারী- আধুনিক প্রকাশনী অনুবাদ-১৭৭৪, সহীহ মুসলিম-আহলে হাদিস লাইব্রেরী হাদিস নং-১৮০৮, ১৮০৯,১৮১০, ১৮১১, নাসাই-সহীহ, আরবী মিশর, হাদিস নং-২১১৭, ২১১৮, ২১১৯, ২১২২, ২১২৩, সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ হাদিস নং-৬৮১, ইবনে মাজাহ, সহীহ, আরবী মিশর-হাদিস নং-১৬৫০, ১৬৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ-১৬৫৫, আধুনিক প্রকাশনীর অনুবাদ-১৬৫৫।
এই হাদিস থেকে বুঝা গেল যে রোজা ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী।
============================================
কতজন মুসলিমের চাঁদ দেখা গ্রহণীয়
আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ রাঃ থেকে বর্ণিত,
"নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যদি তোমাদের দুজন স্বাক্ষ্য দেয় যে, তারা (নতুন) চাঁদ দেখেছে তাহলে তোমরা রোজা ও ঈদ পালন করো। - নাসাঈ, সহীহ, আরবী মিশর-হাদিস নং-২১১৬, ই.ফা.বা-২১২০।
এই হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, যদি দুজন মুসলিম রমজানের বা শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখেছে বলে স্বাক্ষ্য দেয়, তাহলে তা সকল মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থ্যাৎ দুজন মুসলিম নতুন চাঁদের স্বাক্ষ্য দিলেই তা অনুযায়ী সকল মুসলিম রোজা ও ঈদ পালন করবে।

একই বক্তব্য সাহাবী আবদুল্লাহ বিন ওমর রাঃও দিয়েছেন যখন উনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কতজন ব্যক্তির স্বাক্ষ্য প্রয়োজন। দেখুন-আবু দাউদ, সহীহ, আরবী রিয়াদ হাদিস নং-২৩৩৮, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, হাদিস নং-২৩৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ হাদিস নং-২৩৩১।

এই হাদিসটি থেকে বুঝা যায় যে, চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য দুজন ব্যক্তি থেকে হতে হবে।

শিক্ষাঃ দুজন মুসলিম নতুন চাঁদের স্বাক্ষ্য দিলেই তা সমস্ত মুসলিমের জন্য মেনে নিতে হবে। সকল মুসলিমের চাঁদ দেখা শর্ত নয়।
============================================

এক অঞ্চলে নতুন চাঁদ দেখা না গেলে অন্য অঞ্চল থেকে নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ আসলে করণীয়

আনাস ইবনু মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত
"তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবী আমার কতিপয় আনসার পিতৃব্য আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, একবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ (ঈদের চাঁদ) আমাদের উপর গোপন থাকে। আমরা পরের দিন অর্থ্যা ঈদের দিন রোজা পালন করি। এমতাবস্থায়, ঐ দিনের (ঈদের দিনের) শেষভাবে একটি কাফেলা নাবী সাঃ এর কাছে এসে বিগতকাল চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের রোজা ভাঙ্গতে নির্দেশ দিলেন। আবু দাউদ, সহীহ, আরবী রিয়াদ- হাদিস নং-১১৫৩, ২৩৩৯, আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ, হাদিস নং-১১৫৭, ২৩৩২, আবু দাউদ, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, হাদিস নং-১১৫৭, ২৩৩৯, ইবনে মাজাহ, সহীহ, আরবী মিশর হাদিস নং-১৬৫৩, ইবনে মাজাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ হাদিস নং-১৬৫৩, আধুনিক প্রকাশনী হাদিস নং-১৬৫৩।

এই হাদিসটি থেকে বুঝা যায় যে, মদিনায় রাসূলূল্লাহ সাঃ এবং তার সাহাবীগণ কেউই শাওয়ালের নতুন চাঁদ অর্থ্যাৎ ঈদের চাঁদ দেখেন নি। তাই তারা সকলে পরেরদিন রোজা পালন করছিলেন। কিন্তু ঐ দিনের শেষভাগে অর্থ্যাৎ ইফতারের কিছু সময় পূর্বে মদিনার বাহিরে থেকে একটি কাফেলা এসে নাবী সাঃ কে জানাল যে, তারা গতকাল সন্ধায় নতুন চাঁদ দেখেছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন জানতে পারলেন যে, তারা মুসলিম তখন তিনি সকলকে রোজা ভাঙ্গতে নির্দেশ দিলেন।

অর্থ্যাৎ বুঝা গেল যে, নিজ শহরে নতুন চাঁদ দেখা না গেলেও বাহিরের শহরের নতুন চাঁদ উঠার খবর আসলে তা গ্রহণ করতে হবে। কারণ রাসূল সাঃ স্বয়ং নিজেই অন্য শহরের নতুন চাঁদের সংবাদ গ্রহণ করে আমাদের তা শিখিয়ে দিয়েছেন।

============================================

বিশ্বব্যাপী সকল মুসলিমের একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন

আয়েশাহ রাঃ থেকে বর্ণিত
"রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, ঈদুল ফিতর হলো ঐ একদিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকে এবং ঈদুল আযহা হচ্ছে ঐ একদিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল আযহা পালন করে থাকে। - তিরমিযী, সহীহ, আরবী রিয়াদ, হাদিস নং-৮০২, হুসাইন আল মাদানী কর্তৃক প্রকাশিত তিরমিযী, হাদিস নং-৮০২, তিরমিযী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হাদিস নং-৮০০।

এই হাদিসে "ইয়াওমা" শব্দটি একবচন, যার অর্থ একদিন। আর হাদিসে "আন্নাসু" শব্দটি "ইনসান" শব্দের বহুবচন হওয়ায় সকল মানুষ তথা সকল মুসলিমদের বোঝানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

"হে মানবজাতি তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো। - সূরা নিসা-৪/১

এই আয়াতটিতে "আন্নাসু" শব্দটির দ্বারা সকল মানুষকে বুঝানো হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে হাদিসটিতেও "আন্নাসু শব্দটি দ্বারা সকল মানুষকে অর্থ্যাৎ সকল মুসলিমকে বলা হয়েছে।

অর্থ্যাৎ হাদিসটিতে বলা হয়েছে যে, সকল মানুষ (মুসলিম) একই দিনে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করবে। যদি ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহা পালন করা শারীআহ'র বিধান হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ "ইয়াওমা" শব্দটি অর্থ্যাৎ একবচন এর পরিবর্তে "আইয়্যাম" বহুবচন শব্দ ব্যবহার করতেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ "ইয়াওমা" শব্দটি একবচন ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, সকল মুসলিমকে একই দিনে ঈদ পালন করতে হবে।

যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
যেদিন ভূমিকম্প প্রকম্পিত করবে। -সূরা নাযিআত, ৭৯/৬

এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, যেদিন ভূকম্পন হবে অর্থ্যাৎ কিয়ামত সংঘটিত হবে। আয়াতটিতে "ইয়াওমা" শব্দটি একবচন, অর্থ্যাৎ একইদিনে পৃথিবীতে ভূকম্পন হবে। এই বিষয়টি আরো ভালভাবে বুঝতে নিম্নোক্ত হাদিসটি লক্ষ্য করুন। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,

জুমুআহ'র দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। - সহীহ মুসলিম, আহলে হাদিস লাইব্রেরী, হাদিস নং-১৪০১

এই হাদিসটি বলেছে যে, জুমুআহ দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর এখানে আরবী শব্দ "ইয়াওমা" একবচন ব্যবহৃত হয়েছে। যার অর্থ "একদিন"। অর্থ্যাৎ যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন পৃথিবীর সকল জায়গায় জুমাবার (শুক্রবার) থাকবে অর্থ্যাৎ বুঝে নিতে হবে যে, "ইয়াওম" শব্দটি বিভিন্ন দিনকে বুঝায় না বরং একদিনকে বুঝায়। তাই মা আয়েশাহ রাঃ হতে বর্ণিত হাদিসটি আবারও লক্ষ্য করুন,

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, ঈদুল ফিতর হলো ঐ এদকিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকে এবং ঈদুল আযহা হচ্ছে ঐ একদিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল আযহা পালন করে থাকে।-তিরমিযী, সহীহ আরবী রিয়াদ, হাদিস নং-৮০২, তিরমিযী-হুসাইন আল মাদানী কর্তৃক প্রকাশিত হাদিস নং-৮০২, তিরমিযী-ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ-৮০০।

এই হাদিসটিতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা হচ্ছে সেইদিন যেদিন সকল মুসলিমগণ ঈদ উদযাপন করেন। আর হাদিসটিতে "ইয়াওমা" শব্দটি একবচন ব্যবহার হওয়ায় বুঝে নিতে হবে যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বুঝাচ্ছেন যে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা সকল মুসলিম একইদিনে উদযাপন করবে।

আবারও লক্ষ্য করুন
আবু হুরাইরাহ রাঃ থেকে বর্ণিত,
নাবী সাঃ বলেছেন, যেদিন তোমরা রোজা পালন কর সেদিন হলো রোজা। যেদিন তোমরা ঈদুল ফিতর পালন কর সেদিন হলো ঈদুল ফিতর আর যেদিন তোমরা ঈদুল আযহা পালন কর সেই দিন ঈদুল আযহা।
-তিরমিযী, সহীহ, আরবী রিয়াদ- হাদিস নং-৬৯৭, হুসাইন আল মাদানী, হাদিস নং-৬৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদকৃত তিরমিযী হাদিস নং-৬৯৫।
-ইবনে মাজাহ, সহীহ, আরবী মিশর-১৬৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুবাদকৃত হাদিস নং-১৬৬০, আধুনিক প্রকাশনী এর অনুবাদকৃত হাদিস নং-১৬৬০।

এই হাদিসটিও পূর্বের হাদিসের মতো "ইয়াওমা" একবচন শব্দটি ব্যবহার হয়েছে। আর "ইয়াওমা" দিয়ে একদিনকে বুঝানো হয় যা পূর্বে হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। হাদিসে "তোমরা" শব্দটি সকল মুসলিমদের বুঝানো হয়েছে। যেমন

মহান আল্লাহ বলেন,
তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং তোমরা নিজেদেরকে স্বহস্তে ধ্বংস করো না এবং তোমরা কল্যানকর কাজ করো। -সূরা বাকারাহ-২/১৯৫

এই আয়াতে "তোমরা ব্যয় কর"। আর এই তোমরা শব্দটি সকল মুসলিমদেরকে বুঝানো হয়েছে। ঠিক তেমনি আবু হুরাইরাহ রাঃ হতে বর্ণিত হাদিসটিতে "তোমরা" সকল মুসলিমদেরকে বুঝানো হয়েছে।

হাদিসটি আবারও লক্ষ্য করুন।
আবু হুরাইরাহ রাঃ থেকে বর্ণিত,
নাবী সাঃ বলেছেন, যেদিন তোমরা রোজা পালন কর সেদিন হলো রোজা। যেদিন তোমরা ঈদুল ফিতর পালন কর সেদিন হলো ঈদুল ফিতর আর যেদিন তোমরা ঈদুল আযহা পালন কর সেই দিন ঈদুল আযহা।

অর্থ্যাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ বুঝাচ্ছেন যে, একইদিনে সকল মুসলিম রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে হবে। যদি ভিন্ন ভিন্ন দিনে রোজা ও ঈদ পালন করা ইসলামের বিধান হতে তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ "ইয়াওমা" একবচন শব্দ ব্যবহার না করে "আইয়্যাম" বহুবচন শব্দ ব্যবহার করতেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাঃ "ইয়াওমা" একবচন শব্দ ব্যবহার করে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, সকল মুসলিমগণকে একইদিনে রোজা এবং ঈদ পালন করতে হবে।

============================================

একই দিনে রোজা এবং ঈদ পালন করা ফরজ
পূর্বে আমরা প্রমাণ করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শিক্ষা হচ্ছে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে। এখন যদি আমরা একইদিনে রোজা ও ঈদ পালন না করি, তাহলেতো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ফায়সালাকে অমান্য করা হয়। আর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ফায়সালা অমান্য করা সম্পর্কে আল্রাহ বলেন,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। -সূরা আহযাব-৩৩/৩৬

এই আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দেয়া শারীআহ'র বিধান মানা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক অর্থ্যাৎ ফরজ। তাই যেহেতু একইদিনে রোজা এবং ঈদ পালন করা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দেয়া শারীয়াতের নিয়ম আর এই নিয়ম মেনে নেয়া আমাদের জন্য ফরজ

আল্লাহ আমাদের কোরআন ও সহীহ হাদিস মেনে একই দিনে ঈদ পালন করার তৌফিক দান করুন এবং ঈদের দিন রোজা পালন করা থেকে হিফাজত করুন। আমীন।

============================================

বিস্তারিত পড়লে নিম্নোক্ত বইটি সংগ্রহ করুন।


"
কোরআন ও সহীহ হাদিস যদি বলে সারা পৃথিবীতে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করতে আমরা পালন করব। কোরআন ও সহীহ হাদিস যদি বলে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আমরা রোজা ও ঈদ পালন করব।

বাংলাদেশে অনেকে সৌদির সাথে মিলিয়ে রোজা রাখে ও ঈদ করে। এই দলে মধ্যে আছে অনেক পীরের মুরিদ রা। তারা মূলত দলিল ছাড়াই তাদের পীরের বক্তব্য অনুযায়ী এটি করে থাকে।

অনেকে করে থাকে বাপ দাদার অনুসরণে যেমন চাঁদপুর বা অন্যান্য জেলাগুলোতে।
আবার কিছু মানুষ করে থাকে যারা পীরের মুরিদও না, বাপদাদার অনুসারীও না, যারা রোজা ও ঈদ বিশ্বব্যাপী একই দিনে পালন করে থাকে স্পষ্ট দলিল প্রমাণ সহকারে অর্থ্যাৎ কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী। বইটিতে কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে রোজা ও ঈদ হতে হবে একই দিনে। একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করা সারা বিশ্বের মুসলিমদের উপর ফরজ।

বইটি মোট ৪৬ পাতা। তন্মধ্যে প্রথমে কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে সারা বিশ্বে রোজা ও ঈদ পালন হতে হবে একই দিনে। বইটিতে রয়েছে ১২ টি প্রশ্নের উত্তর যেই প্রশ্নগুলো সাধারণ মানুষের মনে আসে যে কেন আমাদের একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে। যারা বলে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে না তাদের ৯ টি পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছে যা তারা ইনশাল্লাহ কখনো দিতে পারবে না।

এ বইটি সহায়ক সেই সমস্ত লোকদের জন্য-
=> যারা এক চাঁদে রোজা ও ঈদ রাখেন কিন্তু ঠিক ভাবে দাওয়াতী কাজ করতে পারছেন না।
=> যারা আলেমদের মতবিরোধ নিয়ে দ্বিধান্বিত।
=> যারা প্রকৃত সত্য জানতে চান যে কোনটা সঠিক।
=> যারা ঈদের দিন রোজা রাখাকে হারাম মনে করেন এবং হারামকে কঠোরভাবে পরিহার করেন।
=> যারা সত্য গ্রহণে প্রস্তুত।
=> যেই সমস্ত আহলে হাদিস পরিচয়ধারী ব্যক্তিবর্গের যারা হাদিসের ধারক বাহক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন কিন্তু একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের বিরুদ্ধে।
=> সেই সমস্ত আলেমদের জন্য যারা এ বিষয়ে গবেষনা করতে চান।
=> সেই সমস্ত নব্য দাঈ, যারা ইসলামের জন্য কাজ করতে আগ্রহী।
=> সেই সমস্ত মুসলিমদের জন্য যারা শুধুমাত্র আল্রাহর সন্তুষ্টির জন্যই যাবতীয় ইবাদাত করে থাকেন।
=> সেই সমস্ত পীরের মুরিদদের যারা সারা বিশ্বের সাথে মিল রেখে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করে কিন্তু কোরআন-হাদিসের দলিল জানে না।

============================================
নামঃ একই দিনে সকল মুসলিমকে অবশ্যই সওম (রোজা) ও ঈদ পালন করতে হবে
লেখকঃ ইকবাল বিন ফাখরুল
পাতা সংখ্যাঃ ৪৬
মূল্যঃ ফিক্সড ৩০ টাকা
যোগাযোগঃ ০১৬৮১-৫৭৯৮৯৮ (জাহিদ)
বই হাতে হাতে সরবরাহ করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:২৬
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×