somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদা এই শহরে মিনি মিনি ডাস্টবিন ছিলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান ছিলো আর গোয়াল ভরা গরু যেমন ছিলো,তেমনই একদা আমাদের ঢাকা শহরের প্রতিটি ফুটপথে কয়েক কদম পর পরই মিনি মিনি ডাষ্টবিন ছিলো।এখন সেসবই অতীত।আজ যেমন গ্রামগুলোতে গোলা ভরা ধান নেই,গোয়ালভরা গরু নেই,পুকুর ভরা মাছ আর নেই।তেমনই আমাদের শহরটাতেও আর সেই মিনি ডাস্টবিনগুলো আর নেই।দুটোই এখন যেন গল্প।
তবে গোলাভরা ধান গোয়ালভরা গরু ছাড়া গ্রামীন জীবন চললেও এই ডাস্টবিন গুলো ছাড়া ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হবে শহর।এমনিতেও শহরের অবস্থা খুব একটা যে ভালো তা কিন্তু না।বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় আমাদের শহর নেতৃত্বস্থানে রয়েছে আমাদের গুনে।
শহরের এমন ক্রান্তিলগ্নে নগর কতৃপক্ষ শহরের আনাচে কানাচে কিছু কদম পরপর যখন মিনি মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো তখন ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক ছিলো।আমরা সবাই ভেবেছিলাম,'যাক শহরটা এখন আর অপরিষ্কার থাকবেনা।ময়লাগুলো আর এখানে সেখানে ফেলতে হবেনা।আমরা এগুলোকে যথাযথ স্থানে ফেলে সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিতে পারবো।'মিনি ডাস্টবিনগুলো শহরের সৌন্দর্যও বর্ধন করেছিলো।নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বড়সড় একই আাকার ও রঙের এই কৌটোগুলো দেখতে ভালোই লাগতো।
এমন ডাস্টবিনগুলোতে ময়লা ফেলতে অনভ্যস্ত নগরবাসী স্বউদ্যোগে চলতে ফিরতে টুকি টাকি ময়লা ফেলছিলো।আমিও ফেলছিলাম।এমন অনেক দেখেছি হাজব্যান্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড কিংবা ফ্রেন্ডদের কেউ সেসময়ে এইসব ডাস্টবিন থাকা স্বত্তেও তা ব্যাবহার না করাতে সংগীর নিকট তিরস্কৃত হয়ে ফেলে দেয়া ময়লা তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলেছে।দৃশ্য গুলো সুন্দর ছিলো,বিশুদ্ধ ছিলো।দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে ভালোও লাগতো।আমার তখন মনে হতো আমরাও পরিষ্কার ও সচেতন থাকতে পছন্দ করি।আমরা আমাদের শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ভালবাসি।শুধু সুযোগের অভাবে এতদিন এটা সম্ভব হয়নি।আজ সুযোগ পেয়ে আমরা সেটা প্রমান করছি।
কিন্তু এই সুযোগটি যে মোবাইলের সিম কোম্পানিগুলোর বিশেষ সুযোগের মতোই স্বল্পায়ু সম্পন্ন হবে সেটা আমরা কখনো ভাবিনি।অতপর সেটাই হলো।কয়েকদিনের মধ্যেই চোরের উদ্যোগে এবং মেরামতের অভাবে ডাস্টবিনগুলো উধাও হয়ে যেতে শুরু করলো এবং উধাও হতে হতে আজ যেকটা আছে তা মিনি ডাস্টবিনের লিভিং ফসিল হিসেবে জানান দিচ্ছে একদিন এই শহর জুড়ে তাদের বিচরন ছিলো।
সন্তান শুধু জন্ম দিলেই সন্তানের পিতা হওয়া যায় না।সন্তানের প্রতি খেয়ালা রাখতে হয়।তাকে লালন পালন করতে হয়।তার বাস উপযোগী পরিবেশ তৈরী করে দিতে হয়।তবেই সন্তানের পিতা হওয়া যায়। এই কথাটি যেমন সত্য, তেমনই উন্নয়ন করলেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়না, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হয়,উন্নয়নের উপাদানগুলো রক্ষনাবেক্ষন করতে হয়।তবেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়।একথাও তেমনই সত্য। এই কথাটা নগর কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে।
তারা সেই কবে এই মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো, তারপর আর কোনো খোজ নেয়ার হয়তো প্রয়োজন মনে করেনি।ফলশ্রুতিতে তাই হয়েছে যা আগে ছিলো।যার ফলশ্রুতিতে 'এ দেশের কিচ্ছু হবেনা' ধারনাটি নগরবাসীর মনে আরও শক্তিশালী ভাবে স্থান নিয়েছে।আর সন্তানের ব্যার্থ পিতার মতো উন্নয়নের ব্যার্থ ধারক বাহকের পরিচয় দিয়েছে নগর কতৃপক্ষ।একদা এই শহরে মিনি মিনি ডাস্টবিন ছিলো।
একদা আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান ছিলো আর গোয়াল ভরা গরু যেমন ছিলো,তেমনই একদা আমাদের ঢাকা শহরের প্রতিটি ফুটপথে কয়েক কদম পর পরই মিনি মিনি ডাষ্টবিন ছিলো।এখন সেসবই অতীত।আজ যেমন গ্রামগুলোতে গোলা ভরা ধান নেই,গোয়ালভরা গরু নেই,পুকুর ভরা মাছ আর নেই।তেমনই আমাদের শহরটাতেও আর সেই মিনি ডাস্টবিনগুলো আর নেই।দুটোই এখন যেন গল্প।
তবে গোলাভরা ধান গোয়ালভরা গরু ছাড়া গ্রামীন জীবন চললেও এই ডাস্টবিন গুলো ছাড়া ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হবে শহর।এমনিতেও শহরের অবস্থা খুব একটা যে ভালো তা কিন্তু না।বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় আমাদের শহর নেতৃত্বস্থানে রয়েছে আমাদের গুনে।
শহরের এমন ক্রান্তিলগ্নে নগর কতৃপক্ষ শহরের আনাচে কানাচে কিছু কদম পরপর যখন মিনি মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো তখন ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক ছিলো।আমরা সবাই ভেবেছিলাম,'যাক শহরটা এখন আর অপরিষ্কার থাকবেনা।ময়লাগুলো আর এখানে সেখানে ফেলতে হবেনা।আমরা এগুলোকে যথাযথ স্থানে ফেলে সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিতে পারবো।'মিনি ডাস্টবিনগুলো শহরের সৌন্দর্যও বর্ধন করেছিলো।নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বড়সড় একই আাকার ও রঙের এই কৌটোগুলো দেখতে ভালোই লাগতো।
এমন ডাস্টবিনগুলোতে ময়লা ফেলতে অনভ্যস্ত নগরবাসী স্বউদ্যোগে চলতে ফিরতে টুকি টাকি ময়লা ফেলছিলো।আমিও ফেলছিলাম।এমন অনেক দেখেছি হাজব্যান্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড কিংবা ফ্রেন্ডদের কেউ সেসময়ে এইসব ডাস্টবিন থাকা স্বত্তেও তা ব্যাবহার না করাতে সংগীর নিকট তিরস্কৃত হয়ে ফেলে দেয়া ময়লা তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলেছে।দৃশ্য গুলো সুন্দর ছিলো,বিশুদ্ধ ছিলো।দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে ভালোও লাগতো।আমার তখন মনে হতো আমরাও পরিষ্কার ও সচেতন থাকতে পছন্দ করি।আমরা আমাদের শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ভালবাসি।শুধু সুযোগের অভাবে এতদিন এটা সম্ভব হয়নি।আজ সুযোগ পেয়ে আমরা সেটা প্রমান করছি।
কিন্তু এই সুযোগটি যে মোবাইলের সিম কোম্পানিগুলোর বিশেষ সুযোগের মতোই স্বল্পায়ু সম্পন্ন হবে সেটা আমরা কখনো ভাবিনি।অতপর সেটাই হলো।কয়েকদিনের মধ্যেই চোরের উদ্যোগে এবং মেরামতের অভাবে ডাস্টবিনগুলো উধাও হয়ে যেতে শুরু করলো এবং উধাও হতে হতে আজ যেকটা আছে তা মিনি ডাস্টবিনের লিভিং ফসিল হিসেবে জানান দিচ্ছে একদিন এই শহর জুড়ে তাদের বিচরন ছিলো।
সন্তান শুধু জন্ম দিলেই সন্তানের পিতা হওয়া যায় না।সন্তানের প্রতি খেয়ালা রাখতে হয়।তাকে লালন পালন করতে হয়।তার বাস উপযোগী পরিবেশ তৈরী করে দিতে হয়।তবেই সন্তানের পিতা হওয়া যায়। এই কথাটি যেমন সত্য, তেমনই উন্নয়ন করলেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়না, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হয়,উন্নয়নের উপাদানগুলো রক্ষনাবেক্ষন করতে হয়।তবেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়।একথাও তেমনই সত্য। এই কথাটা নগর কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে।
তারা সেই কবে এই মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো, তারপর আর কোনো খোজ নেয়ার হয়তো প্রয়োজন মনে করেনি।ফলশ্রুতিতে তাই হয়েছে যা আগে ছিলো।যার ফলশ্রুতিতে 'এ দেশের কিচ্ছু হবেনা' ধারনাটি নগরবাসীর মনে আরও শক্তিশালী ভাবে স্থান নিয়েছে।আর সন্তানের ব্যার্থ পিতার মতো উন্নয়নের ব্যার্থ ধারক বাহকের পরিচয় দিয়েছে নগর কতৃপক্ষ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×