একদা আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান ছিলো আর গোয়াল ভরা গরু যেমন ছিলো,তেমনই একদা আমাদের ঢাকা শহরের প্রতিটি ফুটপথে কয়েক কদম পর পরই মিনি মিনি ডাষ্টবিন ছিলো।এখন সেসবই অতীত।আজ যেমন গ্রামগুলোতে গোলা ভরা ধান নেই,গোয়ালভরা গরু নেই,পুকুর ভরা মাছ আর নেই।তেমনই আমাদের শহরটাতেও আর সেই মিনি ডাস্টবিনগুলো আর নেই।দুটোই এখন যেন গল্প।
তবে গোলাভরা ধান গোয়ালভরা গরু ছাড়া গ্রামীন জীবন চললেও এই ডাস্টবিন গুলো ছাড়া ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হবে শহর।এমনিতেও শহরের অবস্থা খুব একটা যে ভালো তা কিন্তু না।বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় আমাদের শহর নেতৃত্বস্থানে রয়েছে আমাদের গুনে।
শহরের এমন ক্রান্তিলগ্নে নগর কতৃপক্ষ শহরের আনাচে কানাচে কিছু কদম পরপর যখন মিনি মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো তখন ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক ছিলো।আমরা সবাই ভেবেছিলাম,'যাক শহরটা এখন আর অপরিষ্কার থাকবেনা।ময়লাগুলো আর এখানে সেখানে ফেলতে হবেনা।আমরা এগুলোকে যথাযথ স্থানে ফেলে সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিতে পারবো।'মিনি ডাস্টবিনগুলো শহরের সৌন্দর্যও বর্ধন করেছিলো।নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বড়সড় একই আাকার ও রঙের এই কৌটোগুলো দেখতে ভালোই লাগতো।
এমন ডাস্টবিনগুলোতে ময়লা ফেলতে অনভ্যস্ত নগরবাসী স্বউদ্যোগে চলতে ফিরতে টুকি টাকি ময়লা ফেলছিলো।আমিও ফেলছিলাম।এমন অনেক দেখেছি হাজব্যান্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড কিংবা ফ্রেন্ডদের কেউ সেসময়ে এইসব ডাস্টবিন থাকা স্বত্তেও তা ব্যাবহার না করাতে সংগীর নিকট তিরস্কৃত হয়ে ফেলে দেয়া ময়লা তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলেছে।দৃশ্য গুলো সুন্দর ছিলো,বিশুদ্ধ ছিলো।দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে ভালোও লাগতো।আমার তখন মনে হতো আমরাও পরিষ্কার ও সচেতন থাকতে পছন্দ করি।আমরা আমাদের শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ভালবাসি।শুধু সুযোগের অভাবে এতদিন এটা সম্ভব হয়নি।আজ সুযোগ পেয়ে আমরা সেটা প্রমান করছি।
কিন্তু এই সুযোগটি যে মোবাইলের সিম কোম্পানিগুলোর বিশেষ সুযোগের মতোই স্বল্পায়ু সম্পন্ন হবে সেটা আমরা কখনো ভাবিনি।অতপর সেটাই হলো।কয়েকদিনের মধ্যেই চোরের উদ্যোগে এবং মেরামতের অভাবে ডাস্টবিনগুলো উধাও হয়ে যেতে শুরু করলো এবং উধাও হতে হতে আজ যেকটা আছে তা মিনি ডাস্টবিনের লিভিং ফসিল হিসেবে জানান দিচ্ছে একদিন এই শহর জুড়ে তাদের বিচরন ছিলো।
সন্তান শুধু জন্ম দিলেই সন্তানের পিতা হওয়া যায় না।সন্তানের প্রতি খেয়ালা রাখতে হয়।তাকে লালন পালন করতে হয়।তার বাস উপযোগী পরিবেশ তৈরী করে দিতে হয়।তবেই সন্তানের পিতা হওয়া যায়। এই কথাটি যেমন সত্য, তেমনই উন্নয়ন করলেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়না, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হয়,উন্নয়নের উপাদানগুলো রক্ষনাবেক্ষন করতে হয়।তবেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়।একথাও তেমনই সত্য। এই কথাটা নগর কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে।
তারা সেই কবে এই মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো, তারপর আর কোনো খোজ নেয়ার হয়তো প্রয়োজন মনে করেনি।ফলশ্রুতিতে তাই হয়েছে যা আগে ছিলো।যার ফলশ্রুতিতে 'এ দেশের কিচ্ছু হবেনা' ধারনাটি নগরবাসীর মনে আরও শক্তিশালী ভাবে স্থান নিয়েছে।আর সন্তানের ব্যার্থ পিতার মতো উন্নয়নের ব্যার্থ ধারক বাহকের পরিচয় দিয়েছে নগর কতৃপক্ষ।একদা এই শহরে মিনি মিনি ডাস্টবিন ছিলো।
একদা আমাদের গ্রাম বাংলায় প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান ছিলো আর গোয়াল ভরা গরু যেমন ছিলো,তেমনই একদা আমাদের ঢাকা শহরের প্রতিটি ফুটপথে কয়েক কদম পর পরই মিনি মিনি ডাষ্টবিন ছিলো।এখন সেসবই অতীত।আজ যেমন গ্রামগুলোতে গোলা ভরা ধান নেই,গোয়ালভরা গরু নেই,পুকুর ভরা মাছ আর নেই।তেমনই আমাদের শহরটাতেও আর সেই মিনি ডাস্টবিনগুলো আর নেই।দুটোই এখন যেন গল্প।
তবে গোলাভরা ধান গোয়ালভরা গরু ছাড়া গ্রামীন জীবন চললেও এই ডাস্টবিন গুলো ছাড়া ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হবে শহর।এমনিতেও শহরের অবস্থা খুব একটা যে ভালো তা কিন্তু না।বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় আমাদের শহর নেতৃত্বস্থানে রয়েছে আমাদের গুনে।
শহরের এমন ক্রান্তিলগ্নে নগর কতৃপক্ষ শহরের আনাচে কানাচে কিছু কদম পরপর যখন মিনি মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো তখন ব্যাপারটা খুবই ইতিবাচক ছিলো।আমরা সবাই ভেবেছিলাম,'যাক শহরটা এখন আর অপরিষ্কার থাকবেনা।ময়লাগুলো আর এখানে সেখানে ফেলতে হবেনা।আমরা এগুলোকে যথাযথ স্থানে ফেলে সচেতন নাগরিকের পরিচয় দিতে পারবো।'মিনি ডাস্টবিনগুলো শহরের সৌন্দর্যও বর্ধন করেছিলো।নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বড়সড় একই আাকার ও রঙের এই কৌটোগুলো দেখতে ভালোই লাগতো।
এমন ডাস্টবিনগুলোতে ময়লা ফেলতে অনভ্যস্ত নগরবাসী স্বউদ্যোগে চলতে ফিরতে টুকি টাকি ময়লা ফেলছিলো।আমিও ফেলছিলাম।এমন অনেক দেখেছি হাজব্যান্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড কিংবা ফ্রেন্ডদের কেউ সেসময়ে এইসব ডাস্টবিন থাকা স্বত্তেও তা ব্যাবহার না করাতে সংগীর নিকট তিরস্কৃত হয়ে ফেলে দেয়া ময়লা তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলেছে।দৃশ্য গুলো সুন্দর ছিলো,বিশুদ্ধ ছিলো।দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে ভালোও লাগতো।আমার তখন মনে হতো আমরাও পরিষ্কার ও সচেতন থাকতে পছন্দ করি।আমরা আমাদের শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ভালবাসি।শুধু সুযোগের অভাবে এতদিন এটা সম্ভব হয়নি।আজ সুযোগ পেয়ে আমরা সেটা প্রমান করছি।
কিন্তু এই সুযোগটি যে মোবাইলের সিম কোম্পানিগুলোর বিশেষ সুযোগের মতোই স্বল্পায়ু সম্পন্ন হবে সেটা আমরা কখনো ভাবিনি।অতপর সেটাই হলো।কয়েকদিনের মধ্যেই চোরের উদ্যোগে এবং মেরামতের অভাবে ডাস্টবিনগুলো উধাও হয়ে যেতে শুরু করলো এবং উধাও হতে হতে আজ যেকটা আছে তা মিনি ডাস্টবিনের লিভিং ফসিল হিসেবে জানান দিচ্ছে একদিন এই শহর জুড়ে তাদের বিচরন ছিলো।
সন্তান শুধু জন্ম দিলেই সন্তানের পিতা হওয়া যায় না।সন্তানের প্রতি খেয়ালা রাখতে হয়।তাকে লালন পালন করতে হয়।তার বাস উপযোগী পরিবেশ তৈরী করে দিতে হয়।তবেই সন্তানের পিতা হওয়া যায়। এই কথাটি যেমন সত্য, তেমনই উন্নয়ন করলেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়না, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হয়,উন্নয়নের উপাদানগুলো রক্ষনাবেক্ষন করতে হয়।তবেই উন্নয়নের ধারক বাহক হওয়া যায়।একথাও তেমনই সত্য। এই কথাটা নগর কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে।
তারা সেই কবে এই মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিলো, তারপর আর কোনো খোজ নেয়ার হয়তো প্রয়োজন মনে করেনি।ফলশ্রুতিতে তাই হয়েছে যা আগে ছিলো।যার ফলশ্রুতিতে 'এ দেশের কিচ্ছু হবেনা' ধারনাটি নগরবাসীর মনে আরও শক্তিশালী ভাবে স্থান নিয়েছে।আর সন্তানের ব্যার্থ পিতার মতো উন্নয়নের ব্যার্থ ধারক বাহকের পরিচয় দিয়েছে নগর কতৃপক্ষ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩