somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপহার ।। রাফিউজ্জামান রাফি

০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে আদর। ঘরের ভিতর এভাবে বন্দী থাকতে একটুও ভাল্লাগছে না ওর। স্কুলে যেতে পারছে না, খেলতে পারছে না, সারাদিন ঘরে বসে বসে গেমস খেলতে কার ভাল লাগে? বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় আদরের স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দিয়েছে। স্কুল বন্ধ শুনে প্রথম প্রথম আদর বেশ খুশিই হয়েছিল। মনে মনে ভেবেছিল, যাক কয়েকটা দিন অন্তত পড়াশুনা থেকে দূরে থাকা যাবে। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যেতে ওর খুব বিরক্ত লাগে। এই কয়েকটা দিন অন্তত শান্তি করে ঘুমানো যাবে। কিন্তু ঘরের ভিতর বন্দী থাকতে থাকতে এই ক'দিনেই ও একেবারে হাপিয়ে উঠেছে। বারবার শুধু মনে হচ্ছে, একটু যদি বাইরে যেতে পারতো!

এর মধ্যে আম্মুকেও আদর কয়েকবার বলেছিল মাত্র একটু সময়ের জন্য বাইরে যেতে চায় ও। বাসার সামনের গলিতে একটু হাটাহাটি করেই বাসায় ফিরে আসবে। কিন্তু আম্মু অনুমতি দিলেন না, উল্টো আদরকে কাছে ডেকে বুঝিয়ে বললেন,

এখন কিছুতেই বাইরে যাওয়া যাবে না। বাইরে এখন ভীষন বিপদ। আর এই বিপদের নাম করোনা ভাইরাস।

আদর আম্মুর নিকট জানতে চায়, করোনা ভাইরাস কি? আম্মু ওকে বুঝিয়ে বললেন, করোনা ভাইরাস হলো এক ধরনের জীবাণু, যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে! এটি এত ছোট যে চোখে দেখা যায় না৷ খুবই ভয়ানক এই ভাইরাস নাক মুখ দিয়ে মানুষের শরীরের ভিতর প্রবেশ করে মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। তারপর ঐ অসুস্থ ব্যাক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এই জীবাণু আবার বাইরে এসে অন্যান্য মানুষদের আক্রমণ করে। ঐ অসুস্থ মানুষটির সাথে যারা যারা মেলামেশা করে তাদের সবাই এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। ভয়ংকর এই ভাইরাসটি প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলছে৷ আর সেজন্যই এখন এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে ঘরে থাকতে হবে, বাইরেও যাওয়া যাবে না, কারও সাথে মেশাও যাবে না।

আদরের বাবা মাও অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ওদের বুয়াকেও ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওদের বাসায় এখন বাইরে থেকে কাউকেই ঢুকতে দেয়া হয় না। খুব প্রয়োজন ছাড়া ওদের বাসার কেউই বের হয় না। আর বের হলেও মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে বের হয়।

আম্মু আরও বললেন, শুধু বাংলাদেশের না, সারা পৃথিবীর মানুষই এখন এই ভাইরাসের ভয়ে ওদের মতো ঘরে লুকিয়ে আাছে। আম্মু ওকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কিছু ছবিও দেখালেন। ছবিতে আদর দেখলো, রাস্তাঘাটগুলো একদম ফাঁকা, কোথাও কোনো মানুষ নেই। একটা গাড়ি ঘোড়াও দেখা যাচ্ছে না কোথাও। আদর এবার বুঝতে পারলো, কেন ওর বাবা মা এখন অফিসে যায় না, কেন ওদের স্কুল বন্ধ দেয়া হয়েছে?

ইশ, কতদিন হলো আদর স্কুলে যেতে পারে না! স্কুলের কথা মনে হতেই ওর মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। স্কুলের বন্ধুদের খুব মিস করছে ও। কতদিন হলো রিয়া, রনি, মার্শেলদের সাথে দেখা হয় না, একসাথে খেলাধুলা করতে পারে না ওরা! কত মজাই করেই না খেলতো ওরা!

আদর মন খারাপ করে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। এই জায়গাটা আদরের খুব প্রিয় জায়গা৷ বাবা মা অফিসে থাকার কারণে প্রতিদিন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর আদরকে অনেকটা সময় বাসায় একা থাকতে হয়। সেসময় ও ছবি আকে, কার্টুন দেখে, গেমস খেলে আর বিকেল হলেই এই ব্যালকনিতে এসে বাবা মার পথ চেয়ে দাড়িয়ে থাকে। ওদের এই ব্যালকনি থেকে একদম গলির মাথা পর্যন্ত দেখা যায়। ঐ জায়গাটা সারাক্ষণই ব্যাস্ত থাকে। গলির মাথায় যে একটা চায়ের দোকান আছে, সেখানেও প্রচুর ভিড় থাকে। তবে আদর খেয়াল করেছে আজকাল গলিটাতে খুব একটা মানুষ দেখা যায় না, বলতে গেলে গলিটা এখন ফাঁকাই থাকে । চায়ের দোকানটা আজও ফাঁকা। চা দোকানী মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসে আছে। দোকানে আরও যে দুজন লোক বসে আছে তাদের মুখেও মাস্ক লাগানো। রাস্তা দিয়ে মাঝে মাঝে দু একজন লোক যাচ্ছে তাদের মুখেও মাস্ক৷ কারও কারও হাতে হ্যান্ডগ্লাভস পরা। আদর এবার বুঝতে পারে মায়ের কথা আসলেই সত্যি। মানুষ আসলেই ঘর থেকে বের হচ্ছে না, আর খুব প্রয়োজনে বের হলেও মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ইত্যাদি পরে নিচ্ছে।

ঠিক এমন সময় আদর দেখতে পেল মোশতাক একা একা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। ওর মুখটা শুকনো শুকনো লাগছে। মনে হচ্ছে ওর মন খারাপ। আদরদের বাড়ির সামনে যে খুপড়িমতো কয়েকটি ঘর আছে, সেখানে বেশ কয়েকটি নিম্ন আয়ের পরিবারের বাস। ওদের কেউ রিকশা চালায়, কেউ পোশাক কারখানায় কাজ করে, কেউ মানুষের বাসায় কাজ করে আবার কেউ ইট ভাঙে, ঠ্যালা ঠেলে। মোশতাকদের পরিবারও ঐ খুপরির একটি ঘরে বাস করে। ওর বাবা রিকশা চালায়, মা অন্যের বাসায় কাজ করে। মোশতাকরা দুই ভাইবোন।

বিকেল বেলা আদর যখন দোতালার ব্যালকনিতে বাবা মার পথ চেয়ে দাড়িয়ে থাকতো তখন মোশতাক আরও কয়েকজন ছেলে মেয়েসহ আদরদের বাড়ির নিচে যে ফাকা জায়গা আছে ওখানে খেলতে আসতো। ওরা খুব হৈ চৈ করে খেলতো। আদর বারান্দায় দাড়িয়ে বাবা মার জন্য অপেক্ষা করতো আর ওদের খেলা দেখতো। ওর খুব ইচ্ছে করতো ওদের সাথে হৈ হুল্লোড় করে খেলতে। কিন্তু বাবা মায়ের নিষেধ থাকার কারনে সেটা সম্ভব হতো না। তাই মোশতাকরা যখন খেলতো আদর তখন ব্যালকনিতে দাড়িয়ে ডেকে ডেকে ওদের সাথে কথা বলতো। এভাবেই মোশতাকের সাথে ওর সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এরপর থেকে আদর যেমন রোজ বিকেলে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে মোশতাকের সাথে কথা বলার অপেক্ষায় থাকতো, তেমনি মোশতাকও খেলতে এসে আগে বারান্দায় তাকিয়ে দেখতো আদর আছে কিনা।

লকডাউনের পর থেকে মোশতাকরা এখানে আর খেলতে আসে না। তাই এ ক'দিন মোশতাকের সাথে আদরের দেখা হয়নি। আজ মোশতাককে মুখ কালো করে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আদর ডাক দিল। আদরের ডাক শুনে মোশতাক ওর দিকে ঘুরে তাকাতেই ও মোশতাককে হাত নেড়ে কাছে আসতে ইশারা করলো।

অন্যান্য দিন মোশতাক আদরকে দেখলে খুব খুশি হতো। হাসি মুখে জিজ্ঞেস করতো, কেমনে আছাও আদর? আমগো লগে খেলবা? আইয়া পড়ো।

কিন্ত আজ ও কিছুই বললো না। আদরদের বারান্দার সামনে এসে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো। আদর ওকে জিজ্ঞেস করলো,

তুমি বাইরে কেন মোশতাক? বাইরে কি করছো? জানো না এখন বাইরে বের হলে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করবে। যাও বাসায় যাও।

আব্বার লাইগা খাড়াইয়া রইছি। আব্বা রিকশা বাইবার গেছে। আব্বা আইলেই যামুগা।

আদরের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে কথাগুলো বললো মোশতাক।

মোশতাকের বাবা এর মধ্যে রিকশা নিয়ে বের হয়েছে শুনে আদর খুব উদ্বিগ্ন হয়ে মোশতাককে বললো, তোমার আব্বা বাইরে গিয়েছে? তুমি না করোনি? জানো না এখন বাইরে যাওয়া নিষেধ?

নিষেধ হইলে কি অইবো? ঘরে খাওন নাই। কাইল রাইত থিকা না খাইয়া রইছি আমরা। ক্ষিদার জ্বালায় আমার ছোট বুইনডা কানতাছে। তাই আব্বা সকালে উইঠাই রিকশা বাইবার গেছে।

মোশতাকরা গতকাল রাত থেকে না খেয়ে আছে শুনে আদরের মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। এর মধ্যে আদর দেখলো মোশতাকের বাবা চলে এসেছে। তার হাতের গামছাতে পুটলি করে কিছু একটা বাধা রয়েছে। পুটলিটা দেখে মোশতাক খুব খুশি হয়ে নাচতে নাচতে বাবার সাথে বাসায় ঢুকে পড়লো।

কিন্তু মোশতাক চলে গেলেও মোশতাকের মন খারাপ করে বলা কথাগুলো আদরের সাথে থেকে গেলো । মোশতাক, মোশতাকের বোন, মা, বাবা সবাই সেই রাত থেকে এই দুপুর পর্যন্ত না খেয়ে আছে! মোশতাকের ছোট বোনটা না খেতে পেয়ে কান্নাকাটি করছে! সামান্য স্কুল থেকে এসে খাবার খেতে একটু দেরি হলেই আদর কেমন ক্ষুধার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায় আর মোশতাকরা সেই গতকাল রাত থেকে না খেয়ে আছে! না জানি কত কষ্ট হচ্ছে ওদের! আদর আর কিছু ভাবতে পারলো না।

আদরের মনে পড়ে যায়, কয়েকদিন আগে ওর বাবা মা বলছিল, এই সময় সবচেয়ে বিপদে পড়বে শ্রমিক, রিকশাওয়ালাসহ সমস্ত নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কারণ ওরা প্রতিদিন কাজ করে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করে। একদিন কাজে না গেলেই ওদের না খেয়ে থাকতে হবে। আর এতদিন ঘরে বসে থাকলেতো ওরা না খেয়েই মারা যাবে। তাই এই বিপদের দিনে সবার উচিত ওদের সাহায্য করা। ওদের যেন কাজের জন্য বাইরে যেয়ে অসুস্থ হতে না হয়, আবার ঘরে বসেও যেন না খেয়ে থাকতে না হয়। আদর দেখেছে ওর মা ওদের বুয়াকে যেদিন ছুটি দিলো, সেদিন এক বস্তা চাল সহ বেশ কিছু খাবার দাবার বুয়াকে দিয়ে দিয়েছে৷ আর বলেছে সে যেন বাসায় থাকে, এই সময় ভুলেও যেন বাসার বাইরে না যায়।

আদর ভাবতে থাকে মোশতাকের বাবা রিকশাচালক। সে যদি এখন বাইরে না যায় তাহলে ওদের সবার না খেয়ে থাকতে হবে আর যদি বাইরে যায়, তাহলে ওর বাবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। ওর বাবা আর ওরাতো সবাই মিলে এক ঘরেই থাকে। তাহলেতো ওর বাবা আক্রান্ত হলে মোশতাকরা সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে! আদর মনে মনে ভাবে মোশতাকদের এখন খুব বিপদ। বাবা মা বলেছে এই বিপদে মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আদর সিদ্ধান্ত নেয় সে মোশতাকদের পাশে দাঁড়াবে । সে ওদের বেশি করে খাবার কিনে দেবে। আদরের বেশকিছু জমানো কিছু টাকা ছিলো। সে গুণে দেখলো ওখানে ২০০০ টাকা আছে। টাকাগুলো হাতে নিয়ে আদর মনে মনে ভাবলো বুয়াকে সেদিন ওর মা যা যা কিনে দিয়েছে এই টাকা দিয়ে সেও মোশতাকদের তাই তাই কিনে দিবে।

আদর তার জমানো টাকাগুলো দিয়ে মোশতাকদের সাহায্য করার সিদ্ধান্তটি বাবা মাকে জানাতে গিয়ে দেখলো তারা কি একটা বিষয় নিয়ে যেন কথা বলছেন। আদর যেতেই মা ওকে কাছে টেনে নিলেন। মায়ের আদর পেয়ে আদর ওর মার হাতে ওর টাকাগুলো দিয়ে বললো, আম্মু এটা আমার জমানো টাকা। তুমি আর বাবা আমাকে রোজ যে টাকা দিতে সেখান থেকে আমি এই টাকাগুলো জমিয়েছি। তুমি সেদিনবুয়াকে যা যা কিনে দিয়েছিলে এই টাকা দিয়ে আমাকেও তাই তাই কিনে দাও।
আদরের কথা শুনে অবাক হয়ে ওর মা ওকে জিজ্ঞেস করলেন,
কেন, তুমি এগুলো দিয়ে কি করবে বাবা? ওগুলোতো বুয়াকে দিয়েছি তাকে যেন কাজের জন্য বাইরে বের হতে না হয়। কারণ এখন বাইরে বের হলে সে করোনাক্রান্ত হতে পারে। তাই বুয়ার যেন খাবারের কষ্ট না হয় সেজন্য তাকে ওগুলো কিনে দিয়েছি।

আমিও ওগুলো একজনকে দিবো। ওদের খাবার জোগাড় করতে এখনও বাইরে যেতে হচ্ছে। আর বাইরে না গেলে ওদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে । তুমি না বলেছো, বিপদের দিনে, মানুষের পাশে দাড়াতে হয়! আমি তাই এই বিপদে ওদের পাশে দাড়াতে চাই।

আদর ওদের বাসার পাশের খুপড়ি ঘরে বাস করা মোশতাকদের কথা ওর বাবা মাকে খুলে বললো। এতটুকু আদরের মানুষের প্রতি ভালবাসা দেখে খুব খুশী হলেন বাবা মা। সেই সাথে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন শুধু মোশতাকদের না, ওখানে আরও যে কয়েকটা নিম্নআয়ের পরিবার আছে সবাইকে তারা তাদের সাধ্যমত সাহায্য করবেন।

পরদিন আদরের বাবা মা মোশতাকদের সহ ঐ খুপরিতে আরও যে কয়েকটি পরিবার ছিল তাদের সবাইকে চাল ডাল তেল সহ একমাসের বাজার পৌছে দিল এবং মোশতাকদের বলা হলো আদর তার জমানো টাকা দিয়ে মোশতাকদের একমাসের খাবার উপহার দিয়েছে। তারা যেন এই সময় ঘর থেকে বের না হয় সে বিষয়েও আদরের বাবা মা সবাইকে সতর্ক করে দিলেন।

বিকেলবেলা আদর ব্যালকনিতে যেতেই দেখলো মোশতাক আর মোশতাকের ছোট বোন ওদের ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে। আদরকে দেখেই ওদের মুখে হাসি ফুটে উঠল। কিন্তু আদর না হাসলো না। সে ভারিক্কি স্বরে মোশতাককে প্রশ্ন করলো,

• কি ব্যাপার মোশতাক তোমরা আবার বাইরে এসেছো কেন? জানোনা এখন বাইরে থাকা ঠিক না! নাকি তোমাদের বাবা আবার বাইরে গিয়েছে?

• না, আব্বা বাইরে যায় নাই, তোমরা যে খাওন দিছাও তাতে এক মাস আর আব্বার বাইরে যাওন লাগবো না।

• আমরা বাইরে আইছি তোমারে ধন্যবাদ দিবার লাইগা। এইহানে আমরা যারা থাকি তাগো সবার পক্ষ থিকা তোমারে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আদর।

মোশতাক ও তার ছোট বোন একসাথে ওকে ধন্যবাদ দিয়ে বাসার ভিতর ঢুকে গেল। ওদের ধন্যবাদ পেয়ে আদর খুব খুশি হলো। সে মনে মনে ভাবলো, যাক সে মোশতাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছ, মোশতাকদের এখন আর না খেয়ে কষ্ট করতে হবে না। করোনা ভাইরাস চলে গেলে আবার মোশতাকের সাথে ওর দেখা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×