এক আপু ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রসব করেছেন যে তার বয় ফেন্ড (ওলে বাবালে শব্দটা কি,বয় ফ্রেন্ড) আমেরিকা চলে যাবে।তাই আপু একটু নিরিবিলি নিরাপদ জন্জালমুক্ত একটি রুম চায়,হোটেল অথবা রিসোর্ট হলেও চলবে।পি
আপু রুম ডেট করতে চায়।
(মাগ্গো মা মাইরাইলছে আমারে।)
বাংলাদেশের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পেট মোটা বেসাইজ তোমাদের মতো আটার বস্তা বিয়ে না করে,সাদা মেয়ে বিয়ে করাটাতো ৫০০ কোটিগুনে ভালো,সাদা মেয়েদের অন্তত মনটা সাদা পাবেন,ছোট লোকের মতো নিম্ন মানসিকতার না অন্তত।
এই ধরনের ফালতু মেয়েদের এইসব স্ট্যাটাস দেখলে বুঝা যায় আমাদের সমাজে ইসলামিক মূল্যবোধ কতটুকু লোপ পেয়েছে।বিদেশি কালচারাল আগ্রাসনের কালো থাবা কিভাবে সমাজটাকে ধ্বংসস্তূপে পরিনত করছে।এই জন্যই স্থান কাল পাত্র ভেদে আমরা ইন্ডিয়ান চ্যানেলসহ ভিন দেশি অপ্রয়োজনীয় ভাষা ও বিদেশি কালচারের বিরোধীতা করি।
চিন্তা করেন পাবলিকলি একটা মেয়ে কিভাবে এই ধরনের স্ট্যাটাস বাংলাদেশে বসে দিলো?এই মেয়েটা কি আসলেই নামাজ কিভাবে পড়তে হয়,কোরআন কিভাবে পড়তে হয় সেটা কি আদৌ জানে বলে আপনাদের বিশ্বাস হয়?
ওরা রুম ভাড়া করে কি বসে বসে অথবা শুয়ে শুয়ে ২ জন মিলে টমেটো এবং পেয়াজ মেখে মুরি চানাচুর খাবে?২ দিনপর তথাকথিত বয় ফ্রেন্ডের সাথে যেকোন ক্ষুদ্র একটা ইস্যুতে কথা কাটাকাটি হবে,একটু আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া এই লাফাঙ্গা মেয়ে তার মধু খাওয়া আমেরিকায় অবস্থানরত ঐ বয়ফ্রেন্ডকে যখন নারী স্বাধীনতার গান শোনাতে যাবে অথবা তর্ক করতে যাবে ঠিক তখনই ছেলেটা নগদে বলবে তোর মতো স্লাটের-প্রস্টিটিউটের (বাংলায় যেটাকে সবাই .....গি বলে)সাথে ব্রেকআপ।
আচ্ছা ইভেন কোন বখাটে অথবা কুলাঙ্গার ছেলেটা চায় একটা সস্তা মেয়েকে তার আগামী প্রজন্মের-সন্তানের মা বানাতে?
তারপর হঠাৎ একদিন বাস্তবতা বুঝার পর আলোচিত নায়িকা হ্যাপির মতো হঠাৎ করে মুমিন হয়ে মাথায় হিজাব লাগানোর অবস্থা হবে,ভালো হয়ে গেলেও ভেতরের গিলটিনেস-অপরাধবোধ মরার আগ পর্যন্ত নতুন স্বামীর ঘরে থাকলেও তাড়া করবেই,কিন্তু না পারবে কিছু কইতে (তিন তালাকের ভয়),না পারবে সইতে (মাগার শান্তি পাবেনা মনে)।
এখন অনেক আপারা ৩ তালাকের ব্যাপারটাকে পুরুষ শাষিত সমাজের মেন্টালিটি হিসেবেই জাহিরের চেষ্টা করবে,কিন্তু আপারা লয়ালনেস এবং মডেষ্টি বলতে ইংরেজী অভিধানে দুটি শব্দ কেন শুধু নারীদের জন্যে আসলো?কারন নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক একে অপরের সাথে প্রতিযোগী নয়।এই পরিপূরক জিনিসটিং আমার বোধগম্যতায় ইসলামে বার বার বোঝাতে চেয়েছে,যেটার মধ্যে ভালবাসা তদুপরি শান্তি নিহিত,আর আপনাদের মধ্যে কিছু ফালতু প্রগতিশীলরা সেটাকে প্রতিযোগিতা,সম-অধিকার ইত্যাদি ভার্সনে রুপান্তরিত করে উল্টো পুরুষের নরমাল বিশ্বাস ভালোবাসা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সব হারাচ্ছেন।প্রাকৃতিকভাবেই একে অপরের পরিপূরক জিনিসটাকে কৃত্তিম রুপ দান করে যখন অধিকারে উন্নীত করবেন তখনই যত সমস্যা দেখা দেবে।
একটা পুরুষ যখন টগবগে যুবক তখন তাকে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বিয়ে না করালে কিংবা নারী সান্নিধ্য নিশ্চিত না করলে,প্রকৃতির এগেইনস্টে যাওয়া হয়,ফলাফল সরূপ হয় সে পাগল হবে না হয় সে পশুর চেয়ে বেশি হিংস্র আচরন করবে।সুতরাং শান্তির জন্যে নারীর বিকল্প কিছু নেই,বিনিময়ে পুরুষ নারীর ভরন পোষন থেকে শুরু করে যত যা লাগে তা দিতে বাধ্য থাকবে,ইভেন নিজ সম্পদের নির্দিষ্ট ভাগ,ওয়াইফ ছাড়তে গেলে লোক লজ্জার ভয়,ছাড়ার আগে স্ত্রীর পর্যাপ্ত পাওনা প্রদান,ভবিষ্যতে দ্বিতীয় বিয়ে করতে গেলে সুপাত্রি পেতে প্রতিকূলতার সম্মূখীন হওয়া ইত্যাদি সুবিধা নারীদের জন্যে রিজার্ভ করা।
কিন্তু সেই নারীই যদি অশান্তির মূল হয় তখনি বাঁধে যত সমস্যা।
আর এইসব মেয়েদের আল্লায় হেদায়েত না করলে তারা আবারো নতুন মৌমাছির সন্ধানে যাবে,এভাবেই চলতে থাকবে একের পর এক,দোষ দিয়ে যাবে পুরুষদের,নারী বাদি হয়ে ফাল পেড়ে উঠবে,হয়তো মিডিয়া কর্মী হিসেবেও কাজ করবে,মানুষে চিনবে,এদের মধ্যে অনেকে আত্মহত্যাও করবে,নারী স্বাধীনতার গান শুনিয়ে অন্য ৯৯ পার্সেন্ট মেয়েগুলোর মাথা নষ্ট করবে,লক্ষ লক্ষ পরিবারে ভাঙ্গন ধরবে (মাগার শান্তি পাবে না),এই ধরনের মেয়েদের মোড়ক লাগিয়ে প্যাকেজ হিসেবে বিক্রি করা হবে,ছেলেদেরকে ম্যানেজার বানিয়ে রাখতে ২০ হাজার টাকা না দিয়ে একটা রক্ষীতাকে ৬০ হাজার দিতেই বা সমস্যা কোথায়?২০ হাজার জবের পারিশ্রমিক আর ৪০ হাজার সবাই মিলে শরীর ভোগের পারিশ্রমিক,আর ২-৪-১০ টা মেয়ে দেখিয়ে ব্যাবসা করতে বসলে এমনিতেই ভালো এমাউন্টের ক্লায়েন্ট আসবেই (কারন দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে মোহনীয় বস্তু হচ্ছে নারী)।
আর এই জন্যেই ইভেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসগুলোতে গেলে দেখবেন রিসিপশান থেকে শুরু করে কাষ্টমার ফ্রন্ট লাইন পর্যন্ত মেজরিটিই নারী।কিন্তু কেন স্পেশালি শুধু নারীদের এইসব পজিশানে প্রাধান্য দেওয়া হয় কখনো কি ভেবে দেখেছেন?এগেইন জাষ্ট টু মেইক সিউর,আমি নারীদের কর্ম ও স্বাধীনতা বিরোধী নই,কাজের পরিবেশ ও সার্বিক দিক সার্বজনীনভাবে ঠিক থাকলে আমার বিন্দুমাত্র কমপ্লেইন ও নেই।চাকরির নামে তাদেরকে সস্তাভাবে ব্যাবহার করতে গেলেই আমার অবজেক্শান।
এইজন্যেই বলি আপুরা পরিবারের গন্ডিতে থেকে ধর্মীয় মূল্যবোধ রাখেন আর না রাখেন মডারেট সামাজিক মূল্যবোধ বজায় রেখে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনুসরণ করুন,আপনার বাচ্ছাদেরকে ঠিক ইসলামিক রিতি কিংবা আমাদের চিরায়ত বাংলার রিতিনীতি মেনে সভ্যভাবে বড় করুন।নতুন অথবা অতি আধুনিক হইতে গেলেই ঠকবেন হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিউর।অতি আধুনিকতা আর উগ্রবাদীতা একই জিনিস,কোন সভ্য সমাজের যেকোন ক্ষেত্রেই উগ্রবাদীতা বর্জনীয়।কি দরকার এতো বেশি আধুনিক হয়ে নিজেকে সস্তা করে রিপ্রেজেন্ট করার?নিজেই নিজেকে বাঁশ মারার?
তাই আমাদের সকলের শান্তি,পরিবারের মিষ্টি বাধন,সভ্য সমাজ ও জাতি রক্ষায় আমার মনে হয় বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে নীতিটিই অনুসরন করা উচিত।
আমি ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কিন্তু আমার ব্যাক্তি স্বাধীনতার নির্দিষ্ট একটা লাইন-সীমারেখা ড্র করা আছে।আমার নন-মুসলিম বন্ধুদের কাছে আমার এই পোষ্টটি হয়তো ভালো লাগবে না কারন তাদের কেউ কেউ মাঝে মধ্যে নারী স্বাধীনতা ও ইকুয়ালিটির আর্গুমেন্টে আবালের মতো পুরুষদেরকেও বোরখা পরানোর দাবি তুলে বসে যেটা আমার কাছে টোটালি ছাগলামির মতোই মনে হয়,যদিও তাদের দোষ দেইনা কারন তাদের অনেকেই সত্যিকার ইসলামের মূল্যবোধ শব্দটি বুঝতেই অক্ষম কিংবা অপরাগ,কিংবা তাদের কেউ কেউ ইসলামও মুসলিম বিদ্বেষী,অথবা বিশ্ব রাজনীতির সাথে তাল মেলানো আবাল (কারন তারা আইএস আইএস,আলকায়দা,বাংলাদেশে মুর্তি ভাঙ্গার কারিগরদেরকে আর ইসলামকে এক পাল্লায় মাপে।ভাইরে তোগো বুঝা উচিত হাতি খাদে পড়লে চামচিকাও এসে লাথি মারে,ইসলাম-মুসলিম বিশ্ব এবং তাদের বর্তমান অবস্থা হচ্ছে ঐটা।
ব্রিটেনে আমার গতকয়েক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা থেকে কথাগুলো লিখলাম,হয়তো কেউ কেউ আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন,সেই পূর্ন অধিকার আপনার,আপনাদের আছে।আপটার অল আমার উপসংহারে আমি পক্ষপাতপূর্ণ মেন্টালিটি না নিয়েই ইসলামিক স্টাইলের নারী অধিকারের কাছেই আত্ম-সমর্পন করতে বাধ্য হলাম,কারন পারস্পরিক শান্তিপূর্ন ও মর্যাদা রক্ষায় ইসলামিক নারী মর্যাদাবোধই এখন পর্যন্ত আমার কাছে বেষ্ট মনে হয়।বউ হবে শান্তি শৃঙ্খলা সৌন্দর্য নমনীয়তা ভবিষ্যত প্রজন্মের শুশিক্ষার প্রতীক, বাজারের মেয়ে হয়ে টাকার মেশিনের প্রতিক নয়।
আপনাদের নারীবাদী অথবা অভার স্মার্ট মেয়ে কিংবা ছেলে বন্ধু থাকলে পোষ্ট খানা তাদেরকে পড়তে বাধ্য করবেন,অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতকরনীয় অনেক দিক যুক্তিসহ চরম বাস্তবতার আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই অতি স্বল্প পরিসরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯