somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওঁরা সন্ত্রাসবাদী,ওঁরা জঙ্গি, ওরা খুনী, ওঁরা সবাই অদেখা সৃষ্টিকর্তার মানুষ।

১৪ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন : জমসর আলী

Written by : Jamshor Ali

এই লেখা কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই লিখা কিংবা এই ব্লগের কোনো লেখা অনুমতি ছাড়া কেউ কপি করলে তাকে কপিরাইট লঙ্ঘন আইনের আওতায় এনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওঁরা সন্ত্রাসবাদী,ওঁরা জঙ্গি, ওরা খুনী, ওঁরা সবাই অদেখা সৃষ্টিকর্তার মানুষ।

জানি সম্পূর্ণ লিখা বাক স্বাধীনতা ও ন্যায়ের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও আমার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে ,অতীতের ঘটে যাওয়া হুমকির অনুসারে।

WE NEED FREEDOM OF SPEECH :JAMSHOR ALI

আধুনিকতার ছুয়া আমরা মন ভরে উপভোগ করছি প্রযুক্তির স্বাদ কেউ-ই ত্যাগ করছে না।তবু্ও আমারা অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার এবং কাল্পনিকতা থেকে কতটুকু বের হতে পেরেছি??এটা বলাবাহুল্য যে প্রাণীজগতের মধ্যে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী। এই পৃথিবীতে মানবজাতির মধ্যে ৮৫% মানুষই তাদের পূর্ব পুরুষ অনুসারে ভিন্ন-ভিন্ন ধর্মের অনুসারী।আমার যারা পড়ালেখা করেছি সবার জানা আছে ছয় মিলিয়ন বছরের পূর্বপুরুষদের বিবর্তন ও আজকের মানবসভ্যতার ইতিহাস।

PHOTO : Human Evolution The first human ancestors appeared between five million and seven million years ago, probably when some apelike creatures in Africa began to walk habitually on two legs. .. When, and where, was human culture born? ”It’s the hot issue, and we all have different positions,”said Dr. John E. Yellen, an archaeologist with the National Science Foundation….The New York Times(By John Noble Wilford Feb. 26, 2002)

প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে,এখানে আমারা মানবসৃষ্টি বা পৃথিবীসৃষ্টিকে কেন্দ্র করে আলোচনা করবো না।প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদী,জঙ্গি, খুনী, অন্ধবিশ্বাসী এবং মানবতাবিরোধীদের কঠিন জবাব দেওয়ার জন্য।ধর্মীয় বই কিভাবে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা এ সম্পর্কে কয়েকটি ধর্মীয় বইয়ের লেখার ব্যখ্যা নিচে আলোচনা করা হয়েছে তাছাড়া বিশেষভাবে এশিয়াতে মুক্তমনা বিজ্ঞানমনস্কদের কিভাবে হত্যা ও দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয় এসব উপস্তাপন করা হয়েছে।

Photo From:Pixabay We all should speak against terrorist to protect human rights and freedom of speech : JAMSHOR ALI

আরবীয়যোগ ও আদি-মানবেদের ধর্ম নিয়ে হানাহানির ইতিহাস আমাদের সবার ধারণা আছে।আমি এখানে কোনো ধর্মকে ছোট করতে আসিনি, আমি কোনোভাবেই ধর্ম প্রাণদের অসম্মান বা আঘাত করতেছি না।প্রতিটি ধর্ম সৃষ্টি করা হয়েছিল মানবতার কল্যাণের জন্য। যদিও এটি সম্পূর্ণ অন্ধবিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত।তবুও ধর্ম সৃষ্টিকারী নেতারা মানবতার পক্ষে ছিলেন, খুন,সন্ত্রাসী এমনকি পাপ কাজ থেকে বিরতি থাকার জন্য অনুসারীদের উপদেশ দিয়েছিলেন।তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় উগ্রপন্থী মৌলবাদীরা কিভাবে সৃষ্টি হয়?এখানে মুহাম্মদের প্রতিস্থাপিত কোরাণের সূরাহ আল বাকারাহ'র ২৪৪ নাম্বার আয়াতে লেখা আছে যে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে । তাই

যেহেতু সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গি ও খুনিদের নিয়ে আমাদের আলোচনা। তাই এসবের বিস্তারিত প্রমাণ সাপেক্ষে নিচে উপস্তাপন করা হল।

আর আল্লাহর تعالى পথে যুদ্ধ (ক্বিতাল) করো। জেনে রেখো, আল্লাহ تعالى সব শুনছেন, সব জানেন। [আল-বাক্বারাহ ২৪৪] And fight(JIHAD)in the way of Allah. Know that Allah is All-Hearing, All-Knowing. [Al-Baqarah 244] এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর যোগে সবচেয়ে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি, খুনীদের মদদদাতা এবং প্রদান কেন্দ্র হচ্ছে ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদের অনুসারীরা।এখানে মুহাম্মদের প্রতিস্থাপিত কোরাণের সূরাহ আল বাকারাহ'র ২৪৪ নাম্বার আয়াতে লেখা আছে যে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো । তাই ওঁরা অন্ধবিশ্বাসী, নবী মুহাম্মদের অনুসারীরা মনে করে জিহাদের মাধ্যমে(খুন)ভিন্ন মতাদর্শের লোকদের বা যারা বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে কিংবা বিজ্ঞান-মনস্ক অনুসন্ধান করে, এমনকি পৃথিবী সৃষ্টি এবং মানব সৃষ্টি বিজ্ঞানের মত অনুসারে ব্যাখ্যা দেয়।তাদেরকে খুন করলে নবী মুহাম্মদ ও তাহার আল্লাহ সন্তুষ্টি হবে এবং মৃত্যু পরবর্তী যুগে তারা জান্নাত লাভ করবে।এবং এই আয়াত তারা জীবনের চেলেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে ।কুরআনের সূরাহ আল বাকারাহ'র ১৯০-১৯৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে তাদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো। তার মানে যে বা যারা আল্লাহর বিপক্ষে কথা বলবে তাকেই হত্যা করতে হবে। তহলে চলেন দেখে আসি মুহাম্মদ ও তার আল্লাহর অনুসারীরা এই আয়াত গুলোকে অনুসরণ করে কিভাবে বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা মানুষদেরকে তাদের শিকারে নিয়েছে।
যাহা সম্পূর্ণ একটি অন্ধবিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

Have you not seen those who left their homes in the thousands for fear of death? Then Allaah said to them, “Die.” Then one day he brought them back to life. Allah Almighty does a lot of good to people, but most people do not show gratitude. [Al-Baqarah 243] Example of this ayath: আল্লাহর تعالى পথে যুদ্ধ করা থেকে পালিয়ে গিয়ে কোনো লাভ নেই। যার মারা যাওয়ার কথা, সে মারা যাবেই। যার জন্য আল্লাহ تعالى হায়াত লিখে রেখেছেন, সে একটার পর একটা যুদ্ধে অংশ নিলেও মরবে না, জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবেই। আর যার জন্য আল্লাহ تعالى মৃত্যু লিখে রেখেছেন, সে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে গুহায় গিয়ে বসে থাকলেও মারা যাবেই। শুধুই পার্থক্য হলো, যুদ্ধে গেলে মৃত্যু হবে একটা বিরাট অর্জন, আর পালিয়ে গেলে মৃত্যু হবে অর্থহীন, অপমানকর এক সমাপ্তি।

এই আয়াত এটা প্রমাণ করে যে আল্লাহর জন্য অন্যকে হত্যা করা কিংবা,নিজেকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নিলে আল্লাহ কখনো তার দলের লোকদের সাথে নেই।এবং এই আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণভাবে উস্কানীমূলক।যাহা মানবতার পক্ষে কাজ করে না।

PHOTO FROM:FOREIGN POLICY

Kill them wherever you find them – Al-Baqarah 190-194 এই সমস্ত আয়াত জঙ্গিবাদের মদদদাতা।কুরআনের সূরাহ আল বাকারাহ'র ১৯০-১৯৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে তাদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো। তার মানে যে বা যারা আল্লাহর বিপক্ষে কথা বলবে তাকেই হত্যা করতে হবে। তহলে চলেন দেখে আসি মুহাম্মদ ও তার আল্লাহর অনুসারীরা এই আয়াত গুলোকে অনুসরণ করে কিভাবে বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা মানুষদেরকে তাদের শিকারে নিয়েছে।
উদাহরণ নীচে দেওয়া হয়েছে। এশিয়া থেকে শুরু করা যাক ,এশিয়ার ইসলামধর্মের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গুলোর অন্যতম মদদদাতা দেশগুলোর মধ্যে প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ প্রদান। যেখান থেকে প্রতি বছর হাজার -হাজার ইসলামী জিহাদি জঙ্গি তথা সন্ত্রাসী তৈরী হয়।এই তিনটি দেশে মুক্তমনা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখকদের অবস্থা সূচনীয়! বাক স্বাধীনতার পক্ষে অথবা বিজ্ঞানের আলোকে যদি কেউ এইসমস্ত দেশে পৃথিবী ও সৃষ্টিকর্তার ব্যাখ্যা দেয়,তবে ইসলামপন্থী উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী মৌলবাদীরা সেই বিজ্ঞানমনস্কদের কুপিয়ে হত্যা করে আল্লাহুয়াকবার বলে আনন্দ উপভোগ করে।

PHOTO: SOME KILLED ATHEIST IN ASIA

13 Muslim countries officially punish atheism or apostasy by death, while “the overwhelming majority” of the 193 member states of the United Nations “at best discriminate against citizens who have no belief in a god and at worst can jail them for offences dubbed blasphemy.

Atheist Death Penalty Map Countries in which apostasy or blasphemy against the local or state religion was punishable by execution under the law as of 2013.In some Muslim-majority countries, atheists face persecution and severe penalties such as the withdrawal of legal status or, in the case of apostasy, capital punishment. নারীদের অবস্থা সেখানে সূচনীয়।নারীবাদী আন্দোলন যে-ই করবে তাকে হত্যা অথবা দেশ ত্যাগ করতে বাদ্য করা হয়।

PHOTO:SOME LADIES AND GIRLS WAS FORCED TO LIVE THEIR OWN COUNTRY BECAUSE THEY SPOKE ABOUT WOMENS RIGHTS

ইসলামপন্থী উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী মৌলবাদীরা বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। According to the latest Special Eurobarometer 493(2019) the Muslim population in France is estimated to be 5% or 3.350. 000 million. Pew Research Center predicts the Muslim population would rise to 8.6 million or 12.7 percent of the country in 2050.তারা ইউরোপ,আমেরিকা এসে নিজেদের সাবলম্বী করছে এবং একটা সময় প্রকাশ্যে তথাকথিত জিহাদের ঘোষণা দিয়ে ,এমনকি স্থানীয় ইউরোপীয়ান নাগরিকদেরকে ও তাদের জিহাদের শিকার হিসাবে আমলে নিয়ে হত্যা করছে।

PHOTO:PARIS ATTACKS AND PARISIAN KILLED BY ISLAMICS JIHADI KILLERS আমার মতে ধার্মিকরা পৃথিবীতে সমস্ত সমস্যা সৃষ্টি করে।

কয়েকদিন পূর্বে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো সাবাই হয়তো সেটি দেখেছেন। যেখানে একটি মহিলা তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে খ্রিস্টানের ধর্মের গির্জায় গিয়েছিলেন, শিশু বাচ্চাটি কোনো কারণে কান্না করছিল। গির্জার রক্ষককে বলা হয় ফাদার যিনি গির্জার দেখাশোনা করেন এবং খ্রিস্টানের ধর্মে তাকে একজন পবিত্র বা সম্মানিত ব্যক্তি ধরা হয়।শিশু বাচ্চাটির কান্না এই ফাদার সহ্য না করতে পেরে বাচ্চাটিকে মারধর করা শুরু করলেন, তখন বাচ্চাটির মা ফাদারের সাথে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। এটা কি কোনোভাবে একজন ফাদারের কাছ থেকে কাম্য ছিল?এরকম হাজারো ইতিহাস আছে যাহা বলতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে।

(A video shows a priest slapping a baby in an effort to calm him down when he won't stop crying. The priest can be heard telling the child to calm himself, and when that appears to fail slapping him on the cheek.)link below. Source: Click This Link

Violence against Muslims in India এই যদি হয় ধর্মের নামে গণহত্যা তাহলে ধর্ম কিভাবে হতে পারে মানুষের কল্যাণের মানবতা।নাস্তিকরা তো গণহত্যা করে না, নাস্তিকরা ধর্মের দালালী ও করে না। নাস্তিকরা তো প্রকৃত অর্থে সমাজের জন্য কাজ করে মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে। তবুও ধার্মীকরা নাস্তিকদের কেন হত্যা করে, কথা বলার কারণে গলায় ফাসি দিয়ে হত্যা করে?

আমার জন্মের পর হতে এখন পর্যন্ত কোনোদিন শুনিনি যে একজন নাস্তিক বা ধর্মে অবিশ্বাসী ব্যাক্তি কোনো ধার্মিককে হত্যা করেছে। না আমি আজও শুনিনি একজন নাস্তিক ধার্মিককে হত্যা করেছে। হলেও সেটা হতে পারে তবে আমার জানা নেই!তাহলে আমার কি বলতে পারিনা ধার্মিকরাই খুনি ওঁরা সন্ত্রাসবাদী?

“For those who believe in God, most of the big questions are answered. But for those of us who can’t readily accept the God formula, the big answers don’t remain stone-written. We adjust to new conditions and discoveries. We are pliable. Love need not be a command nor faith a dictum. I am my own god. We are here to unlearn the teachings of the church, state, and our educational system. We are here to drink beer. We are here to kill war. We are here to laugh at the odds and live our lives so well that Death will tremble to take us.”

― Charles Bukowski

WE RAE ATHEIST WE ARE OPEN MINDED “To you, I’m an atheist.

To God, I’m the loyal opposition.”

― Woody Allen

যদিও বিভিন্ন ধর্মের প্রাধান ধর্মগ্রন্থ গুলো কখনো,কখনো শিকার করে না যে । তুমি এই ধর্ম অবলম্বন করে খুনী হও বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরী কর।প্রতিটি ধর্মের প্রাধান গ্রন্থ গুলো ও প্রধান নেতারা ধর্ম তৈরী করেছিলেন শান্তি প্রতিস্থাপন করার জন্য।ধর্মগ্রন্থ গুলোর অপব্যাখ্যা ও অস্পষ্টতা এবং ধর্মীয় নেতাদের পূর্ব উস্কানিমূলক নীতি উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন জংগী সংগঠন এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের রীতি বা বাংশ টিকিয়ে রাখার জন্য হত্যা করা হয় মুক্তমনাদের।

()এখন চলেন কয়েকটি ধর্মের সমাজ রক্ষার শান্তির বাণী দেখি।তা না হলে অন্ধবিশ্বাসীরা আমাকে বলে উঠবে আমি তাদের ধর্মগ্রন্ত্রের ভালো দিক গুলো উপস্থাপন কেন করলাম না।

সূরা মাইদা (৫) : ১৫-১৬

তোমাদের কাছে আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চায় এ দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং অন্ধকারসমূহ থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন নিজ ইচ্ছায়। আর তাদের পথ দেখান সরল পথ। -সূরা মাইদা (৫) : ১৫-১৬

এ আয়াতে ‘সালাম’ শব্দ আছে। সাধারণত ‘সালাম’ শব্দের অর্থ করা হয় ‘শান্তি’। এ অর্থ ভুল নয়, তবে সূক্ষ্ম অর্থ হচ্ছে ‘মুক্তি’। বিপদ ও অশান্তি থেকে মুক্তিই তো শান্তির বড় উপায়।

the Lord says

the Lord says

In the Scriptures, the Lord says, “I am the one who punishes; I will pay people back.” To have peace, we must put on an attitude of peace in our relationships with others. An attitude of peace is one that does not seek revenge. It does not seek to hurt those who have hurt them or punish those who do them wrong.( gossip4jesus / February 20, 2018­­).

Krishna Photos

৩১. ঈর্ষা থেকে হৃদয়কে মুক্ত করো । সহিংসতা থেকে বিরত থাকো ।

[সামবেদ-২৭৪]

২৪. সমাজকে ভালোবাসো । ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও । দুর্গতকে সাহায্য করো । সত্য ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করো । [ঋগবেদঃ ৬.৭৫.৯]

উপরন্তু:

যদিও বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ সমূহ আংশিক শান্তি ও মানবতার ব্যাখ্যা দেয় তারপর ও বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ থেকেই ধার্মিকরা উস্কানীমূলক শিক্ষা একটু বেশি পায়।এসবের উদাহরণ আমরা উপরে খুব পরিস্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি।ধর্ম গ্রন্থ সমূহে যেসব মানবাধিকার ও শান্তির পথের কথা বলা হয়েছে ধার্মিকরা তার সামান্য পরিমাণ ও বাস্তব করছে বলে আমার মনে হয় না বরং ধর্মের নামে দালালী, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, খুন, হত্যা প্রতিনিয়ত চলছেই।

পাশাপাশি, এশিয়াতে ধার্মিকরা যে হারে মুক্তমনাদের হত্যা করছে এমনটি চলতে থাকলে এশিয়াতে বাক স্বাধীনতা বলতে কোনো কিছু ভবিষ্যতে থাকবে বলে আমার মনে হয় না।

SOME SUFFERED ATHEIST OF BANGLADESH
মজার বিষয় হল যে,জংগী জিহাদিরা শুধু মাত্র খুন/ মানুষ হত্যা করে পরকালের জান্নাত লাভ করতে চায়।আর এসব হত্যার তালিকায় মুক্তচিন্তার মানুষদের রাখা হয়।যেখানে মুক্তচিন্তার মানুষ গুলো সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে এবং মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে।আর এটাই বুজি ধার্মিকদের গায়ে আঘাত দেয় যার জন্য তারা নাস্তিকদের হত্যা ফাসি ছাড়া আর কিচ্ছু বুজে না।

তাছাড়া, পৃথিবীতে এখনো মানবতা ঠিকে আছে একমাত্র মুক্তমনাদের ও ধার্মে অবিশ্বাসীদের কারণে। আমর ধারণা মতে যদি বর্তমান সময় ধার্মিকরা যেভাবে উগ্র হয়ে উঠছে, এমনকি তারা তাদের নিজেদের গোত্রে হানাহানী করছে এক পর্যায়ে তারা মুক্তচিন্তার পক্ষে কাজ করা মানবাধিকারের দলগুলোর সহায়তা নিয়ে নিজেদের রক্ষা করছে।

আমার অনুসন্ধানে অনুসারে ধার্মিকদের চেয়ে অধার্মিকরাই জীবে প্রেমি ও মানবতাবাদী।

অন্ধবিশ্বাসী হয়ে অদেখা আল্লাহকে খুশি করতে যাকে ইচ্ছে তাকেই আল্লাহুয়াকবার বলে খুন করে উল্লাস করা বন্ধ করুণ।

বন্ধ করুণ ধর্মের নামে ব্যাবসা, বন্ধ করুণ ধর্মের নামে রাজনীতি। ধর্মের দোহাই দিয়ে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না।

জয় হবে মানবতার জায় তাদেরই হবে যারা পৃথিবীটাকে প্রযুক্তির ছুয়া দিয়েছে। জয় হবে মুক্তমনাদের, জয় নাস্তিকদের হবে কারণ নাস্তিকরা খুনি না।

জয় আমারও হবে কারণ আমি মানবতার কথা বলি আমি বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলি।

এই পৃথিবী অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি হবে,এই পৃথিবী কোনো সৃষ্টিকর্তা চায় না। আমরা সবাই মানুষ এটা হোক আমাদের পরিচয়। প্রতিটি প্রাণীই হচ্ছে তার প্রতিটি নিঃশ্বাসের এক একটি সৃষ্টিকর্তা।

জয় হোক মানবধর্মের।

ভবিষ্যতে : ধাপে-ধাপে সব কয়েকটি ধর্মের উস্কানিমূলক বইয়ের উক্তি সমূহ এমনভাবেই সাধারণ মানুষের সামনে উপস্তাপন করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৩৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো - ছবি ব্লগ

লিখেছেন শোভন শামস, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

"পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো", কিংবা "পোস্টকার্ড রো" বা "সেভেন সিস্টারস" নামে পরিচিত, বাড়িগুলো। এটা সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ার, স্টেইনার স্ট্রিটে অবস্থিত রঙিন ভিক্টোরিয়ান বাড়ির একটি সারি। বহু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×