তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, ১৯৯৯ অথবা ২০০০ সালের ঘটনা। শহর থেকে বাসে করে ভার্সিটি আসছিলাম। পথে উঠলো এক হুজুর- বয়স ৫০ এর বেশী হবে, মাঝারি উচ্চতা, পড়নে পাজামা পান্জাবী, ঘাড়ে গর্দানে প্রচুর লোম আর মাথায় টুপি। এসে বসলো আমার পাশের সিটে।
কিছুক্ষণ পর আলাপ জমানোর চেস্টা করলো, কোথায় পড়ি, থাকি ইত্যাদি। হুজুর নিজের পরিচয় দিল, হাটহাজারীতে কোন এক মাদ্রাসায় চাকরী করে। এভাবে আলাপ করতে করতে এক সময় দেখি হুজুরের হাত আমার উরুর উপরে। বুঝলাম ভাল বিপদেই পড়েছি। কিন্তু তারপরও কৌতুহল হলো দেখি সে কদ্দুর যায়। বাস ভর্তি এত লোকের সামনে এই রকম একটা বুড়া লোক দেখি আমার কি করে।
এরপর সেই বুড়া হুজুর আমার উরুর উপর হাত ঘষতে লাগলো। ঘষতে ঘষতে হাত একবার হাঁটু পর্যন্ত যায় তারপর আবার রিটার্ন করে। মজার ব্যাপার হলো এই কাজটা করার সময় সে সামনের দিকে তাকিয়ে বেশ জোরে জোরে বলতে থাকে 'আল্লা আল্লা আল্লা'। অর্থাৎ হাত হাঁটু পর্যন্ত যায় আর বলে 'আল্লা আল্লা আল্লা' আবার হাত হাঁটু থেকে রানে আসে পুনরায় বলে 'আল্লা আল্লা আল্লা'।
এভাবে ২/৩ বার চলার পর আল্লাহ তার ডাক না শুনলেও আমার ডাক শুনলেন। একটা স্টপেজে বেশ কিছু লোক নেমে গেল আর আমি সামনের খালি একটা সিটে বসে স্বস্তির নি:শ্বাস ছাড়লাম। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছিল পরে। কয়েকজন বন্ধু বান্ধবকে বলেছিলাম ঘটনাটা, তারা আমাকে দেখলেই অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে আকাশের দিকে তাকাতো আর বলতো.............হ্যাঁ ঠিক ধবেছেন 'আল্লা আল্লা আল্লা', 'আল্লা আল্লা আল্লা', 'আল্লা আল্লা আল্লা'।