somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের সব মুসলমানকে প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাত হতে সাবধান ও দূরে থাকতে হবে

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈমান অতি সূক্ষ্ম ও স্পর্শকাতর বিষয়। ঈমান মূলতঃ বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমলের উপর নির্ভরশীল। কাজেই বাতিল ৭২ ফিরকার সাথে উঠা-বসা ও সম্পর্ক রাখার কারণে অশুদ্ধ কুফরীমূলক আক্বীদায় বিশ্বাস করা ও আমলের দ্বারাও তাৎক্ষণিকভাবে ঈমান ও আমল নষ্ট হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ পাক বলেন, “কেউ যদি আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে কোন কথা বলে, তবে আমি দক্ষিণ হস্তে তাকে পাকড়াও করবো অতঃপর তার গ্রীবা বা প্রাণ রগ কেটে দিব, তোমাদের কেউ এতে বাধা দিতে পারবে না।” (সূরা-হাক্কাহ, ৪৪-৪৬)
মহান আল্লাহ পাক আরো বলেন, “তাদের নিকট তাদের মধ্যে থেকেই একজন রসূল আগমন করেছিলেন, অনন্তর তারা (কাফিরেরা) তাঁর প্রতি মিথ্যারোপ করলো। তখন আযাব এসে তাদেরকে পাকড়াও করলো এবং নিশ্চিত তারাই ছিল যালিম।” (সূরা-নহল, ১১৩)
উল্লিখিত আয়াত শরীফদ্বয় এটাই প্রমাণ করে যে, যারা কাফির ও যালিম তারাই মহান আল্লাহ পাক এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ-এর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে থাকে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ যা বলেননি, তা বলেছেন বলে এবং যা বলেছেন তা বলেননি বলে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মালফুজাতে বলেছে, “হ্যাঁ, ইহা ঠিক যে, নামায, রোজা উচ্চাঙ্গের ইবাদত; কিন্তু দ্বীনের সাহায্যের কাজ নয়।” (নাঊযুবিল্লাহ) (মাওলানা ইলিয়াসের অমর বাণী/পৃষ্ঠা-১৮)
অথচ, দ্বীন ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে দু’টি হচ্ছে নামায ও রোযা।
সে আরো বলেছে, “আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম যদিও মা’ছূম (নিষ্পাপ) এবং মাহফুজ (সংরক্ষিত) এবং ইল্ম ও শিক্ষা-দীক্ষা সরাসরি আল্লাহ পাক-এর তরফ হইতেই লাভ করিয়াছেন, তথাপি যখন তাঁহারা সেই তালীম ও হিদায়েতের তাবলীগের জন্য সাধারণ তবকার লোকের সহিত মিলামেশা করিতেন তখন তাঁহাদের মুবারক ও নূরানী অন্তরসমূহে সেই সাধারণ লোকদের অন্তরের ময়লা ও আবর্জনা প্রতিফলিত হইতো। অতঃপর নির্জনে বসিয়া জিকির ফিকিরের দ্বারা সেই ময়লা আবর্জনা ধৌত করিয়া ফেলিতেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)
সে আরো বলেছে যে, সূরায়ে মুজাম্মেলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাহাজ্জুদের জন্য হুকুম দিয়া যে বলা হইয়াছে, “হে রসূল! দিনের বেলায় আপনাকে অনেক চলাফেরা করিতে হয়” ইহার মধ্যে এই কথার দিকেও ইশারা রহিয়াছে যে, নবীদের সাইয়্যিদ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও মানুষের ময়দানে ঘুরাফেরা করার দরুন রাত্রির অন্ধকারে নির্জনে বসিয়া ইবাদত করার প্রয়োজন ছিল।” (নাঊযুবিল্লাহ) (মাওলানা ইলিয়াসের অমর বাণী/পৃষ্ঠা-৬৬)
মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাক-এর লা’নত। নবী-রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপকারী মাওলানা ইলিয়াস মেওয়াতী আরোও বলেছে, “মিলাদের ব্যাপারেও ঐ একই উক্তি যে, যদি কেউ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হাযির-নাজির মনে করে কিংবা বিদয়াতীদের সাথে সামঞ্জস্যতা হয় তাহলে তা নাজায়িয।” (মাকাতীবে মাওলানা ইলিয়াছ/ পৃষ্ঠা-৮৮)
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর আক্বীদা হচ্ছে- আল্লাহ পাক উনার কুদরত ও ইল্ম দ্বারা হাযির ও নাযির। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের জন্যই “রহমতুল্লিল আলামিন” করেই সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম “রহমতুল্লিল আলামিন” হিসেবে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানেই হাযির ও নাযির। (সুবহানাল্লাহ)
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আখিরী যামানায় কিছু সংখ্যক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা তোমাদের নিকট এমন সব (মিথ্যা-মনগড়া) কথা উপস্থাপন করবে, যা তোমরা কখনো শুননি এবং তোমাদের বাপ-দাদা অর্থাৎ পূর্বপুরুষগণও শুনেনি। সাবধান! তোমরা তাদের থেকে দূরে থাকবে এবং তাদেরকেও তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তবে তারা তোমাদেরকে গুমরাহ করতে পারবে না এবং ফিৎনায় ফেলতে পারবে না।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখে না যে, বিশ্বের সব মুসলমানকে প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাত হতে সতর্ক-সাবধান ও দূরে থাকতে হবে।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×