সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ট এক মন্ত্রীর কারণে তা প্রকাশ করতে অপারগ পুলিশ প্রশাসন। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দুই সাংবাদিককে খুন করার কিলিং মিশেনর দায়িত্ব পালন করেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই। খুনের পর দিনই সে গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে ছেড়ে দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, সাংবাদিক রুনি বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও তার সামিট গ্রুপের দূর্নীতির একটি সেনসেটিভ এন্ড এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। কিন্তু এটিএন বাংলা সেটা প্রচার করেনি। রুনি পরে সেই রিপোর্টটি তার স্বামীকে দেয় মাছরাঙায় প্রচারের জন্য। এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ফেঁসে যেত। তাই এ খবরটি এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছে দেন। ফারুক খান মাহফুজুর রহমানসহ পরিকল্পনা করেন। সাগরের ল্যাপটপ কব্জা করার দায়িত্ব পড়ে মাহফুজুর রহমানের ছোটভাইয়ের ওপর। রুনিকে আয়ত্বে আনতে না পেরে খুনীরা দুই সাংবাদিককেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়।
গোয়েন্দারা সরকারের আজ্ঞাবহ দাস বলেই এ চাঞ্চল্যকর খুনের মামলায় একেকজন কর্মকর্তা একেকরকম কথা বলছে। তাই বাধ্য হয়ে সংবাদ মাধ্যমে গোপনে তাদের রির্পোট ফাঁস করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আরো আপডেট আসবে সামনে। অপেক্ষায় থাকুন প্রিয় দেশবাসী।