Click This Link
আজকেও একজন নিরপরাধ প্রান হারালেন গনপিটুনিতে। একজন ভিক্ষুক মহিলা। তাকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মেরেছে আম জনতা। পরে দেখা গেছে তিনি ছেলেধরা ছিলেন না।
মানুষের কি প্রানের দাম নেই? ৪৫ বছর বয়স্ক এই মহিলা তো কারও মা ছিলেন, তার ছেলে মেয়েরা এখন কি নিয়ে বাচবে? কাকে মা ডাকবে? তিনি ভিক্ষুক, কিন্তু তিনিও তো মানুষ। আমার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।
সপ্তাহ দুই আগে দেখেছি একই জেলায় একই দিনে পৃথক দুটি ঘটনায় দুইজন গনপিটুনিতে মারা গেছেন। দুইজনই নিরপরাধ ছিলেন। এক ঘটনায় একটা টেম্পুতে চড়া মহিলা যাত্রীর সাথে দুই বাচ্ছার দুইটি কাদছিল, মহিলা সামলাতে পারছিলেন না, তার পাশের সীটে বসা বয়স্ক একজন মানুষ তাকে সাহায্য করতে একটি বাচ্চাকে কোলে তোলে নিয়ে আদর করতে গেলে মহিলা চিতকার দিয়ে উঠলে আশে পাশের মানুষ পিটুনি দিয়ে সেই বয়স্ক লোকটিকে মেরে ফেলে!
আমাদের দেশে কি হচ্ছে এসব? কেন মানুষ না জেনে মানুষকে গনপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলছে। এই ব্লগ যারা পড়ছেন। তারা প্লীজ দয়া করে এমন পরিস্থিতিতে পড়রে কাউকে মারবেন না প্লীজ।
সরকারের উচিত এ ব্যাপারে গন সচেতনতা তৈরি করা। কঠোর আইন করা। গনপিটুনি দিলে এর সাথে জড়িত সবাইকে এমন হেনস্তা করা যাতে ভয়ে আর কেউ এমন না করতে পারে।
আজকের ভিক্ষুক মহিলার কথা আবারও মনে পড়ে কষ্ট হচ্ছে। ৪৫ বছরের মায়াময় একজন মহিলা। আল্লাহ তাকে বেহেসত নসিব করুন।