somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্লিজ, একটু দেখবেন কি?

০৯ ই জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সেই প্রথম যেদিন স্কলারশিপের টাকা পেয়ে ওকে নুপুর বানিয়ে দিয়েছিলাম সে কি খুশি তার। ছোট্ট দু'পায়ে রুমুঝুম রুমুঝুম শব্দ তুলে পুরো বাড়ি মাথায় তুলেছিলো। কতোবার যে আমাকে বলেছে, 'মামা আমাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দাও। আমি নাচ শিখব।' আমি মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছি, 'হ্যাঁ মামুনি, দেবো। এই তো কয়দিন পরেই পরীক্ষা শেষ হবে তখন ভর্তি করিয়ে দেবো।' এভাবেই বছর পেরিয়ে যায় কিন্তু নাচের স্কুলে ভর্তি করানো হয় না। ওকে নিয়ে যখন ঘুরতে বেড়োয় তখন আইসক্রিম খাওয়ার বায়না ধরতো। কিন্তু আপার কড়া নির্দেশ ছিলো, ওর টনসিলের প্রবলেম আছে, আইসক্রিম যেন কোনমতেই খেতে না দেই। কয়েক বছর পরে অপারেশন করা হলে তখন খেতে পারবে। সেই কয়েক বছর আসবে কিনা আমার জানা নেই। টিভিতে কার্টুন দেখার সময় ভলিউম বাড়িয়ে দিতো, পড়ার ডিস্টার্ব হতো বলে মাঝে মাঝে এসে বকা দিতাম। 'জিম, তোমাকে এতোবার করে বলেছি, এত জোরে টিভি চালাবে না। তবু তুমি কথা শোন না কেন? আর এখন কি টিভি দেখার সময়। যাও পড়তে বসো। ' অহেতুক অকারণ মামাগিরি ফলানো, কখনো বা অযথা বাড়াবাড়ি। তখন তার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেত, তার প্রিয় বন্ধু মামাটা মাঝে মাঝে কেন ব্যাখ্যাতীত কিছু কাজ করে তার ছোট্ট মাথায় সেটার কূলকিনারা করা সম্ভব হতো না। সে গুটিগুটি পায়ে একবুক কান্না নিয়ে তার ঘরের দিকে চলে যেত।

আমি যখন এসব পুরনো স্মৃতিগুলো, সুখগুলো, বেদনাগুলো নিয়ে ভাবছি তখন জিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। জানি না, সে বাঁচবে কিনা। হয়তো একদিন আমার হাতে অফুরন্ত সময় হবে তার সব আব্দার পূরণের কিন্তু তখন সে হয়ে যাবে দূর আকাশের তারা। শত আহ্বানেও সে আর আমার কাছে আসবে না তখন। দূর থেকে ক্রমশ: বহুদূরে চলে যাবে। এভাবেই বুঝি মানুষ হারিয়ে যায়!

বিস্তারিত জানতে নীচের লিংক দুটি পড়ুন।

ছোট্ট জিম

জিম-একটি স্বপ্নকে বাঁচান
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×