somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তখন বলেছিলাম, এরা হলো শিয়ালের মতো। একসাথে ডাকতে পছন্দ করে। বেশি দেরি হয়নি, শাহবাগের আরেক পান্ডা এখন নতুন মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছে। তার দাবী হলো যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। এই দাবীতে একাত্বতা জানিয়ে চ্যানেল আইয়ের ওয়েবসাইটে কলাম, ব্লগে ব্লগে পোষ্ট আর ফেসবুকের ষ্ট্যাটাস পয়দা হওয়া শুরু হয়েছে।

হু বুঝতে পারছি, বাঙালি প্রচুর যোদ্ধা জাতি। তারা অনেক যুদ্ধ করতে পছন্দ করে। বিচারের নামে পুলিশী শক্তি দিয়ে এক প্রজন্মের বিরুদ্ধে অনেক সাহসিক যুদ্ধ করছে। অন্য প্রজন্মের বিরুদ্ধে জার্মানি আর লন্ডনে বসে এরা বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
যুদ্ধবাজ শাহবাগি পানডা এবং তার নারীপুরুষ সাগরিদদের কলিজার পানি শুকিয়ে যাওয়া দেখে অবশ্য কিছুটা কৌতুক অনুভব করছি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি পরিবারভিত্তিক রাজনীতিকে ঘৃণা করি। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হত্যা করার ঘটনাবলীর মিডিয়া কাভারেজে তার ছেলের উপস্থিতিতে অনেকের উচ্ছাস দেখে বারবার মনে হয়েছে, বাংলাদেশীদের এই দাসসুলভ মনোবৃত্তির শেষ নেই কেন!
তবে সেই ছেলের কালো সানগ্লাস, জেল মাখানো পরিপাটি চুল এবং কড়া কথা যখন কোন শাহবাগির রাতের ঘুম হারাম করে দেয় তখন অবশ্য আমি কিছুটা আরাম পাই। ভয়ের চোটে মনুষ্যরুপী শুয়োর শাহাবাগিটি যখন তার বউয়ের কানে কানে ফিসফিস করে চিৎকার করে আশংকার কথা বলতে থাকে, তখন মনে হয় দাগ থেকে যদি কিছু হয় তবে দাগই ভালো হে ভ্রাতা। তারা অনেক আশা করেছিলো উস্কুখুস্কু চুল দেখবে, ভয়ার্ত চেহারা দেখবে। কিন্তু উল্টা দুই আঙ্গুল উঁচানো ভি চিহ্ন দেখে মুক্তিযোদ্ধাদের বাথরুম বন্ধ হয়ে যায়। কি দুঃখের কথা!
জানোয়ারটার কিছু কথা অবশ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলানিউজে ছাপা হওয়া কলামে সে বলেছে 'আমরা তো চেয়েছিলাম এই বিচার শেষ হলে দেশকে নিয়ে অন্য পর্যায়ে কাজ করব। ভেবেছিলাম বিচারের পরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সামাজিক মূল্যবোধ, এই সময়ের তরুনদের শিক্ষা-দীক্ষা কিংবা তাদেরকে নানাভেব সহযোগিতা আর পরামর্শ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। কত দিনা আর তৃতীয় বিশ্ব কিংবা উন্নয়নশীল দেশের তকমা লাগিয়ে বসে থাকতে হবে। ভেবেছিলাম এই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে আইন-শৃংখলা এগুলো নিয়ে চিন্তা শুরু করব, কাজ করব। ভেবেছিলাম এক নতুন বাংলাদেশ শুরু হবে।হুকার কিংবা একাত্তরের ঘাতকদের এক একটা ছেলে মেয়েদের শাস্তি পরবর্তী কথা বার্তা দেখে তো মনে হচ্ছে এরা আমাদের ভালো থাকতে দেবে না। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে চিন্তা করবার মনে হয় সময় এসেছে।'


এই জারজ সন্তানটির কথাগুলো যে কোন দেশপ্রেমিক মানুষকে অনেক ভাবাবে। আমরা তাদেরকে চিনতাম না। তারা দেশকে অনেক ভালোবাসে। তারা দেশ নিয়ে কাজ করতে চায়। দেশকে উন্নত বিশ্ব বানাতে চায়। গত পয়তাল্লিশ বছর ধরে পারেনি শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের জন্য। যুদ্ধাপরাধীরা দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে। রাজাকাররা বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা বিনষ্ট করেছে। শেয়ার বাজার ফোকলা করে দিয়েছে। রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরাই সব দুর্নীতি করেছে। তাই মুক্তিযুদ্ধারা দেশটাকে উন্নত বিশ্ব বানাতে পারলো না। এখন যখন উন্নত বিশ্ব বানানোর সময় এসেছে তখন যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান সন্ততিরা বাগড়া দিতেছে। কত্ত খারাপ হু চিন্তা করা যায়!!
সুতরাং আমি অনেক আপ্লুত হয়ে আছি। নবলদ্ধ এই জ্ঞানের ভার সহ্য করবো? না কি চ্যা-তেনাজীবির নতুন ত্যানা মাথায় পেঁচিয়ে নতুন মুক্তিযুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়বো বুঝতে পারতেছি না আর কি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×