ঘটনা একঃ- আমি বাড়িতে গেলে আমাদের স্কুল মাঠটাতে গিয়ে বিকেলে আড্ডা মারি… সেখানে এলাকার পোলাপান সবাই হাজির হয়। তো এই পোলাপানদের একদিন বললাম যে সাইফ আলি খানের বাবা মনসুর খান পতৌদি খুব ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার ছিল। তার এক চোখে সমস্যা ছিল। কিছুদিন সে প্রত্যেকটা জিনিসকে দুইটা দেখতো… ক্রিকেট খেলায় সে দুইটা বল দেখতো.… বল আ শট করার সময় দুই বলের মাঝ খানে ব্যাট চালাইতো..… এই কথা শুনে পোলাপানের সে কি হাসি..… তারা এমন রিয়্যাক্ট করা শুরু করলো যে আমি মনে হয় সদ্য পাবনা মেন্টাল হইতে পালায়ে আসছি.… তাদের কাউকেই বোঝাতেই পারিনি যে ঘটনা সত্য..……
ঘটনা দুইঃ- এটা আরো আগের ঘটনা… স্থান সেই স্কুল ফিল্ড… তাদের সেদিন মানুষের আজব কিছু অভ্যাসের কথা বলছিলাম..… তার মাঝে একটা হলো একজন আছে যে বালু খায়… কেউ কাচের গুড়ো খায়… আরেকজন আছে যে লোহা খায়! (এই বিষয়টা আমি কালের কন্ঠের শিশুতোশ ম্যাগাজিনটায় পড়েছিলাম) এই কথা গুলো বলার পর সেদিন মাঠের সবাই একবাক্যে রায় দিয়ে দিলো যে আমি মোবাইল টিপতে টিপতে মাথা খারাপ কইরা ফালাইছি.… আমার জরুরি চিকিৎসা দরকার।
ঘটনা তিনঃ- আমি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ি.… আমাদের সেকন্ড ইয়ারে সব সাবজেক্টের জন্য ইংরেজি বাধ্যতামুলক..… ফুল মার্ক হলো একশ। তেত্রিশে পাস। এক থেকে চল্লিশ পর্যন্ত মার্কস যোগ হবে রেজাল্টে.… এর পর যদি নিরানব্বই ও পাই তবুও সেই চল্লিশ ই যোগ হবে। এই কথাটা প্রথম জানতে পারি আমাদের এক বড়ভাইয়ের কাছে.… কথাটা কেউ ই বিশ্বাস করতেছিল না! সবাই বলে যে কোনদিন কি শুনসেন নাকি যে পরীক্ষায় পাওয়া মার্ক যোগ হয়না। সবাই রীতিমত চাপা করা শুরু করলো.… উনি বলতেছেন যে আমি নিযে আমার কলেজের ইংরেজি স্যারের থেকে শুনেছি। না তবুও কেউ বিশ্বাস করেনা..… শেষে বড়ভাইটা শুধু বললো মানুষ একটা বিষয়ে না যেনে যে এতো জোরের সাথে তর্ক করতে পারে তা আজকে তোমাদের দেখে বুঝলাম।
এবার ভিন্ন প্রসংগঃ- আজ হঠাৎ কেন জানি মনে হলো, হুট করে আমার নোকিয়া মোবাইলের ডিফল্ট ডিকশনারিটা অপেন করে ghana লিখে listen এ ক্লিক করলাম.… ওমা! এখানেও দেখি ghana কে গানা ই উচ্চারন করে.… তারমানে অনন্ত জলিল ই ঠিক? মন মানলো না, আমার আইপডের হেডফোনটা লাগিয়ে আবার শুনলাম.… নাহ ঘানা কে সেখানে গানা ই বলতেছে.… তখন বুঝলাম আসলে অনন্ত জলিল ই ঠিক.… আমরাই ভুল..…..…।
.
এইবার ভিডিওটা দেখেন Click This Link