মরু সংস্কৃতির ধারক ধর্মান্ধ জামাতগোষ্ঠীর পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার আহমেদ রাজীব হায়দার। প্রায় দুই দিন হতে চলেছে এই হত্যাকান্ডের। রাজীব আমার পরিচিতিজনের কেউ নন। কিন্তু তারপরেও তার সাথে তার বিশ্বাস, প্রগতিচিন্তুার সাথে মিল রয়েছে বলেই বিষয়টা সতীর্থ হারানোর মতই। এটা ঠিক যে শুভ আন্দোলন বরাবরই রক্তপিপাসু, প্রতিটি শুভ অর্জন লাভ করার জন্য আমাদের কে মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলন সময়কালীন যে অপশক্তি দাপটের সাথে জাতিকে আক্রমন করছিল, আজ বিয়াল্লিশ বছর পরেও সেই মরু সংস্কৃতি প্রলুব্ধ গোষ্ঠীর আক্রমনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে এটা যেমন কোন শুভ লক্ষণ সয় তেমনি আমাদের নানামুখী ব্যর্থতারই পরিচয়। আমরা একাত্তর পবরর্তী প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে আমাদের জন্ম, কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটুকুই গ্রহণ করতে পেরেছি, জেনেছি আমাদের পূর্বসূরীদের কার কি ভূমিকা ছিল। তাই তো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা শামিল একটি শুভ আন্দোলনে। নতুন প্রজন্মের এই আন্দোলন কখনোই কোন দলের লেজুড়বৃত্তি গ্রহণ করেনি বা আস্তিকতা-নাস্তিকতার দ্বান্দ্বিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় নি। যদিও অপতৎপরতা আর উসকানি থেকে থেকেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে এই অভিযাত্রাকে ব্যহত করতে। আওয়ামী ও বিএনপি পন্থীরা একে-অন্যের মুণ্ডুপাত করছে, ধর্মান্ধরা ধর্ম গেল, জাত গেল বলে ঢেকুড় তুলছে… তারপরেও এ জাগরণ যেন বাংলার রেঁনেসা! আমরা স্বপ্নবিলাসী বাঙালী। আমরা সেই সম্ভাবনার স্বপ্ন চোখে নিয়ে পথ চলি। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী ড. আবদুল কালাম যথার্থই বলেছেন, স্বপ্ন সেটা নয় যা আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, বরং স্বপ্ন সেটাই যা পুরণের প্রত্যাশা আমাদের ঘুমাতে দেয় না। আমরা সেই প্রত্যাশা নিয়েই এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কে দেখতে চাই। এ বাংলা আমাদের! এ বাংলা মরু সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত হবেই! বিজয় আসন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




