নায্য হিস্যা তো নেই-ই, পিএসসি অনুসারে বিদেশি কোম্পানি গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস তুলে স্থল-ভাগে পৌঁছে দেবে না। এতে করে যে গ্যাস উত্তোলন করা হবে সেটা আনতে যে-ধরনের ব্যয়-বহুল পরিবহনের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে তা হবে সরকারের সাধ্যের বাইরে, এর ফলে বিদেশি কম্পানীর ৮০ ভাগ এবং বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ২০ ভাগ গ্যাসের পুরোটাই বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গতঃ কুতুবদিয়াতে অগভীর সমুদ্রে ১০ বছর আগেই সরকারী উদ্যোগে গ্যাস আবিষ্কার করা হলেও পরিবহন ব্যয়-বহুল হওয়ায় সেখান থেকেও গ্যাস আনার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।
বিদেশি কোম্পানীগুলো অতীতে এ-ধরনের পরিস্থিতি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলেছে। অতীতে কেয়ার্ন এনার্জি চাপ প্রয়োগ করে পেট্রোবাংলার বাইরে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমতি আদায় করে নেয়।
সবচেয়ে বড় কথা, এই মডেল পিএসসি প্রনয়ণ করেছে, অনির্বাচিত একটি সেনা-সরকার। এতে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজন ও ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়নি। এই চুক্তিতে দেশের উন্নয়নের মিথ্যা কথা বলে আসলে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর স্বার্থে দেশের সম্পদ পাচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ফলে এই চুক্তি সাংবিধানিক নীতি-বিরুদ্ধ।
বাংলাদেশকে নাইজেরিয়ার মত করুন পরিনতি ভোগ করা থেকে রক্ষা করতে সকলে চুক্তি বাতিলের দাবী তুলুন। দেশের স্বার্থবিরোধী, জনবিরোধী, সম্পদ পাচারের এই চুক্তি বাতিল করা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৮