জল রং কখন যেন বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায়।
চেনা মানুষেরা অচেনা মুখোশে কখনো বা খুঁত হীন অভিনয় করে।
একবার নদীর ধারে কাদামাটির বাঁধের উপর হাঁটতে হাটতে,
সূর্য যখন গোধূলির দিকে।
বিকেল যখন মায়াময় আদিগন্ত সবুজ অবস্থানে।
একটা খড়ের কুটির আর ছোট্ট একটা পথের ধারে,
চলতে চলতে তুমি আমায় বলেছিলে -
শান্তি যদি থাকে তবে এখানেই।
তারপর শহরের ইট কাঠ আর কংক্রিটের মাঝে
শান্তির খোঁজে
আমরা অনেকগুলি বছর কাটিয়ে দিলাম।
সূর্য উঠবার কিছু আগে
সূর্য ডোবার কিছু পরে।
সেই খড়ের কুটিরে মাটির দাওয়ায়
বট গাছের ছায়ায় ঢাকা।
শরতের মাঝামাঝি কোন এক শান্ত সকালে।
হেমন্তের শিশির ভেজা কোন এক ধান কাটা মাঠে
কিংবা চৈত্র মাসের ধুলোওড়া নির্জন দুপুরে ।
কিন্তু এক এক শীতের সন্ধ্যায় ।
শহুরে ধোঁয়াশায় জ্বালা ধরা চোখে
আমরা দেখলাম
মুখোশগুলোই কখন যেন আমাদের মুখ হয়ে গেছে।
সেইসব মুখ এক একটা চরিত্রের
যাদের পূর্বনির্দিষ্ট কথাবার্তা
অনেক আগেই ভেবেচিন্তে রাখা।
নদীর কথা
ফুলের কথা
ধানের ক্ষেত
বা
খড়ের কুটির
সেখানে ভীষণ রকমের অপ্রাসঙ্গিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২০