ঘটনাটা ৭ম শ্রেণীর। বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার খাতা দেখানোর দিন মল্লিকা আপা হন্তদন্ত হয়ে ক্লাস এ ঢুকলেন। খাতা দেখানোর আগেই একটু রেগে আশরাফ কে ডাকলেন। আমরা তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! ব্যাপার কি মল্লিকা আপা তো রাগতে পারে না!! এখন পর্যন্ত তার দেয়া বড় শাস্তি হল পাঁচ বার কানে ধরে উঠা বসা!! বয়েজ স্কুলে এই শাস্তি তো কোন ব্যাপার ই না!! আশরাফ একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাড়াল।
-এসব কি লিখসস?
-কেন আপা?
-কি কেন আপা। জেমস আবার কোন কবি? তাও আবার বাংলা লিখসে!
-না আপা। গায়করা তো এক ধরনের কবি ই বলা যায়!
-এয়্য!! ফাজলামো পাইসস! তোর আব্বারে কাল আমার সাথে দেখা করতে বলবি।
-আপা ভুল হয়ে গেসে। আর হবে না।!
-কি আর হবে না। এসব কথা শুনে কোন লাভ নাই। তোর আব্বারে নিয়ে আসবি। তোরে আমি রচনায় শূন্য দিছি!!
--আপা!! আশরাফ এইবার আপার কাছে গিয়ে অনুনয় বিনয় করতে থাকল।
আপা তো দয়ার সাগর। কিছুক্ষনের মধ্যে দেখি আপা ম্যনেজ!
আমরা ব্যাপারটা তখনো আঁচ করতে পারছিলাম না। ঘটনা ক্লিয়ার হল যখন আশরাফ খাতা নিয়ে আসলো। আমাদের রচনা ছিল শৈশব নিয়ে। আশরাফ এক জাইগায় লিখেছেঃ
------শৈশব নিয়ে কবি জেমস বলছেন-
"যদি ভুলে যাও কখনো, আম পাতা বৈশাখ,
এলোমেলো পথে হাটা, গাঁয়ের মেঠো পথ।
শৈশব,শৈশব, প্রিয় শৈশব" !!!!!!
পাঠক নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কোন জেমস এর কবিতা এটি!!