বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতাবলে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামী জোসেফের ফাঁসি মওকুফ করেছে। এই খবরটা আমরা জানি। আমাদের মিডিয়া এটা ফলাও করে প্রচার করেছে। এখন আল জাজিরা একটা পুরনো সংবাদ সম্প্রচার করে আমাদের সরকার এবং মিডিয়াকে অকারণ প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই অপচ্ষ্টোর সমুচিত জবাব আমাদের সরকার অবশ্যই দিবে। ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মূখপাত্র বলেছে যে আলজাজিরার এই সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক । হারিছ ও আনিসকে দেখানো হয়েছে খুনের মামলার পলাতক আসামী ও মাফিয়া হিসেবে। হারিছ দুটি এবং আনিস একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন এবং আমাদের সরকার অলরেডি তাদের দন্ডকে মওকুফ করে রেখেছেন। অথচ গাজাখোর আল জাজিরা জানেইনা যে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সরকার এদের মুক্তকরে দিয়েছে। বিষয়টা অবশ্য গোপন ছিল। সরকারের এমন কোন দায় পড়েনি যে সকল বিষয়ই সবাইকে বলে বেড়াতে হবে। এই কারণেই আমাদের আইনমন্ত্রী বিষয়টা জানতেন না।
এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হারিছ ও আনিস কোনো আপিল করেননি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বপ্রনোদিত হয়েই ২০১৯ সালের ২৮ মাচ এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে হারিছ ও আনিসের এই মামলার সাজা মাফ করে দেন। আইনের ফাঁকফোকর বলে আসলে কোন কথা নেই, আমাদের সরকার ডাইরেক্ট এ্যাকশানে বিশ্বাসী, পলাতক কোনো আসামি কোনো আইনগত অধিকার পেতে পারেন কি না এবং এই ব্যপারে আইনের বিধান কি? আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে ওটা মনের মাঝেই রেখেদিন অথবা গিলে ফেলুন সব বিষয়ে জানতে হয়না। কেমন বোকা বানানো গেল আল জাজিরাকে। সরকারের জয় হোক।
তথ্যসূত্র- প্রথমআলো
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬