somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন চিকিৎসা নেই। কোন ভরসা নেই।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সংসদে মাদক ব্যবসায়ী,
ব্যাংকে, রেলে, হাসপাতালে
শিক্ষামন্ত্রণালয়ে
থানায় আদালতে
পোষ্ট অফিসে
ভূমি মন্ত্রণালয়ে
পাসপোর্ট অফিসে
নির্বাচন কমিশনে
এয়ারপোর্টে
তিতাস গ্যাসে
পল্লী বিদ্যুতে
ওয়াসাতে এবং
আরো যত মন্ত্রণালয় আছে সব খানে ১০০% নিশ্চয়তায় অবাধে নিশ্চিন্তে এবং নির্ভরতায় ঘুস লেনদেন চলে। এনআইডিতে অথবা পাসপোর্টে নাম বাবার নাম ভুল উঠিয়েছে ওদেরই টাইপিং এরোর এর কারণে, সেইটা ঠিক করতে যে কি পরিমাণ ঝামেলা আর হাজার হাজার টাকার লেনদেন সেটা একমাত্র ভুক্তভোগিরাই জানে। এত অসহায় বোধ লাগে!! যারা এই ঝামেলায় পড়েনি তারা আসলে কিছুই বুঝবেনা। ওরা ওৎ পেতে আছে মানুষের পকেট খালি করার জন্য। পকেটে টাকা থাক বা না থাক, ওদেরকে আপনার টাকা দিতেই হবে। এবার আপনি চুরি করে টাকা আনবেন নাকি সুদে আনাবেন নো মেটার। ৩০ বছর ধরে গ্যাসের সমস্ত জমা বিল আমাদের কাছে আছে তারপরও আমাদের লাইন কেটে দিয়ে গেছে। নরসিংদির মেইন অফিসে গিয়ে দেখি আমাদের ৪৩হাজার টাকা বিল বাকি! অথচ আমরা যে বিল পরিশোধ করেছি সেই বিলের আরেক পার্ট আমাদের কাছে!! আমাদের বিল জমা হয় নাই ৪৩ মাস ধরে। আমাদের গ্যাস লাইন অন্যজনের নামে বরাদ্দ হয়ে আছে। এটা কি আমাদের দোষ? সেটা ঠিক করতে দশদিন ঘুরে দেখলাম এখন পর্যন্ত আমার কাজের একরত্তিও এগোয়নি। বুঝাতে আর বাকি রইলনা ঘুষ ছাড়া আর এক ইঞ্চিও এগোবেনা। এই অফিসের সবচেয়ে বড় চোরটার দেখা পেলাম ৭দিন ঘোরাঘুরির পর। তার কথা শুনে বুঝাগেল আমরা দেশের এই বেকুব জনতা যে কি পরিমান বেকায়দায় আছি।ওনার দৃষ্টিতে আমি খুব অধৈর্য্য মানুষ। ধৈর্য্য ধৈর্য্য আর ধৈর্য্য। নিজের জেদকে মাটি করার মন্ত্র জানা না থাকলে আপনি ওখানে গিয়ে আটকে যাবেন। থানা পুলিশ হয়ে যেতে পারে। দোষ অবশ্য আমারই ঘুষ ছাড়া কাজ করানোর যে অপচেষ্টা সেটাইতো আমি ট্রাই করেছিলাম। একটা অফিসের সীমাহীন হয়রানি ঘুস নীতির অলংঘনীয় বাধ্যবাধকতায় এত অসহায় বোধকরি যে ঘেন্না ধরে গেছে এই জীবনে।

সরকার এদের ৪গুন বেতন ভাতা বাড়িয়েছে। এদের লালন পালন করছে। সরকারী এত সুযোগ সুবিধা পাবার পরও ফকিন্নির পোলাগো গু এর দিকেই নজর। বাংলাদেশে এমন কোন সরকার পয়দা হয়নাই যে ওদের লাগাম টেনে ধরে। আমরা কি এমন ভাবেই ঘুসখোরদের জিম্মাতেই থাকব? ওদেরকে কুত্তার ইনজেকশান দিয়ে মেরে ফেলার কি কেউ নেই? নাকি সবাই আমারই মতো অসহায়! এই দেশটার সমস্ত গা জুড়ে থকথকে ঘাঁ। কোন চিকিৎসা নেই। কোন ভরসা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪০
১৪টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×