সংসদে মাদক ব্যবসায়ী,
ব্যাংকে, রেলে, হাসপাতালে
শিক্ষামন্ত্রণালয়ে
থানায় আদালতে
পোষ্ট অফিসে
ভূমি মন্ত্রণালয়ে
পাসপোর্ট অফিসে
নির্বাচন কমিশনে
এয়ারপোর্টে
তিতাস গ্যাসে
পল্লী বিদ্যুতে
ওয়াসাতে এবং
আরো যত মন্ত্রণালয় আছে সব খানে ১০০% নিশ্চয়তায় অবাধে নিশ্চিন্তে এবং নির্ভরতায় ঘুস লেনদেন চলে। এনআইডিতে অথবা পাসপোর্টে নাম বাবার নাম ভুল উঠিয়েছে ওদেরই টাইপিং এরোর এর কারণে, সেইটা ঠিক করতে যে কি পরিমাণ ঝামেলা আর হাজার হাজার টাকার লেনদেন সেটা একমাত্র ভুক্তভোগিরাই জানে। এত অসহায় বোধ লাগে!! যারা এই ঝামেলায় পড়েনি তারা আসলে কিছুই বুঝবেনা। ওরা ওৎ পেতে আছে মানুষের পকেট খালি করার জন্য। পকেটে টাকা থাক বা না থাক, ওদেরকে আপনার টাকা দিতেই হবে। এবার আপনি চুরি করে টাকা আনবেন নাকি সুদে আনাবেন নো মেটার। ৩০ বছর ধরে গ্যাসের সমস্ত জমা বিল আমাদের কাছে আছে তারপরও আমাদের লাইন কেটে দিয়ে গেছে। নরসিংদির মেইন অফিসে গিয়ে দেখি আমাদের ৪৩হাজার টাকা বিল বাকি! অথচ আমরা যে বিল পরিশোধ করেছি সেই বিলের আরেক পার্ট আমাদের কাছে!! আমাদের বিল জমা হয় নাই ৪৩ মাস ধরে। আমাদের গ্যাস লাইন অন্যজনের নামে বরাদ্দ হয়ে আছে। এটা কি আমাদের দোষ? সেটা ঠিক করতে দশদিন ঘুরে দেখলাম এখন পর্যন্ত আমার কাজের একরত্তিও এগোয়নি। বুঝাতে আর বাকি রইলনা ঘুষ ছাড়া আর এক ইঞ্চিও এগোবেনা। এই অফিসের সবচেয়ে বড় চোরটার দেখা পেলাম ৭দিন ঘোরাঘুরির পর। তার কথা শুনে বুঝাগেল আমরা দেশের এই বেকুব জনতা যে কি পরিমান বেকায়দায় আছি।ওনার দৃষ্টিতে আমি খুব অধৈর্য্য মানুষ। ধৈর্য্য ধৈর্য্য আর ধৈর্য্য। নিজের জেদকে মাটি করার মন্ত্র জানা না থাকলে আপনি ওখানে গিয়ে আটকে যাবেন। থানা পুলিশ হয়ে যেতে পারে। দোষ অবশ্য আমারই ঘুষ ছাড়া কাজ করানোর যে অপচেষ্টা সেটাইতো আমি ট্রাই করেছিলাম। একটা অফিসের সীমাহীন হয়রানি ঘুস নীতির অলংঘনীয় বাধ্যবাধকতায় এত অসহায় বোধকরি যে ঘেন্না ধরে গেছে এই জীবনে।
সরকার এদের ৪গুন বেতন ভাতা বাড়িয়েছে। এদের লালন পালন করছে। সরকারী এত সুযোগ সুবিধা পাবার পরও ফকিন্নির পোলাগো গু এর দিকেই নজর। বাংলাদেশে এমন কোন সরকার পয়দা হয়নাই যে ওদের লাগাম টেনে ধরে। আমরা কি এমন ভাবেই ঘুসখোরদের জিম্মাতেই থাকব? ওদেরকে কুত্তার ইনজেকশান দিয়ে মেরে ফেলার কি কেউ নেই? নাকি সবাই আমারই মতো অসহায়! এই দেশটার সমস্ত গা জুড়ে থকথকে ঘাঁ। কোন চিকিৎসা নেই। কোন ভরসা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪০