আজকের দিনে যখন একজন পরিপূর্ণ মুসলিম যুবক দাড়ি রাখে, তখন তারই অপর মুসলিম ভাইরা তির্যক প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, “কি রে ব্যাটা এই অবস্থা ক্যান তোর??” ছ্যাকা কাইছস নাকি ?
অথবা “কি যে হইসে পোলাপানের!!” মুসলিম নামধারী আত্মীয় স্বজনরাই ছুটে আসেন আর নসিহা দিতে থাকেন, যে বাবা! পাগলামি কইরোনা। জীবন অনেক বড়! বিয়া শাদী কর, চাকরি বাকরি কর, ৪০-৪৫ বছরে গিয়ে রাখো! এখন তো এগুলার সময় না!!
সেসব জ্ঞানী মানুষদের জ্ঞানে ইসলামের জন্যে এতটুকু স্থান নেই, যেই সামান্য স্থানে এটা প্রবেশ করানো যায়, যে ইসলামে কিছু
ফান্ডামেন্টাল বিষয়ে একজন বালেগের জন্যে যা রুলিং, একজন ৯০ বছরের বৃদ্ধের জন্যেও তা সমান।
যদি কোন মেয়ে পর্দা করার জন্যে বোরকা - ওড়না পড়া শুরু করেন, চারপাশ থেকে আসতে থাকে কন্টকের চাইতেও তীক্ষ্ণ মন্তব্য।
“ পর্দা হল নিজের মনের কাছে। মনের পর্দা হল বড় পর্দা। বোরকা করতে হয়না। এমনে গা ঢাকলে হয়, আমরা কি তাইলে গুনাহ করতেসি??”
কিংবা “এখন আধুনিক যুগ! স্টাইল
ফ্যাশানের যুগ! কি সব মধ্যযুগীয় বর্বর কাপড় চোপড় পরস!!”
এটাই সত্য। এটাই হচ্ছে। এবং এসব মন্তব্য কোন অমুসলিমের নয়। খোদ মুসলিমদের।