***ক্ষমতাসীন জোট ১৯৯৪-৯৬ ও ২০০৬-০৭ সালে আন্দোলন করে দুইবারের অসাংবিধানিক দাবি আদায় করে নির্বাচন করলেন, তারাই কিভাবে ওই আন্দলনের বিপকক্ষে অবস্থান নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারী ভুটারবিহিন এবং পার্থীবিহীন নির্বাসন করলেন? এবারও ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়া কে কেন্দ্র করে জনগন বোমা ও বন্দুক যুদ্দের শিকার হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে মাত্র ১৪ মাসের মধধে ২ বার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পরিদর্শন করতে হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি প্রথমবার বার্ন ইউনিটে পরিদর্শন কালে, পেট্রোল বোমায় দগদ গিতা সেন নামের এক নারী ভোটার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসুস্থ রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সুস্থ রাজনীতি করার আকুতি জানিয়েছিলেন। এই অনুরোধের কয়েকদিনের মাথায় তিনি ৩য় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করলেন। এরপর গত ৩৬৫ দিনে বড় বড় দলের লোকজন এতটাই সুস্থ রাজনীতির চর্চা করলেন যে, সুস্থ রাজনীতির আকুতি দ্বিগুণ বেগে ফিরে এলো। শুধু মাত্র ঢাকা বার্ন ইউনিটের ব্যাডের সংখ্যায় কাজ না হওয়ায় দেশের প্রতিটি জেলার হসপিটাল এ নতুন বার্ন ইউনিট খুলতে হলো।
***অতীতে রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্দের অভিযোগ ছিল, সম্প্রতি ওই বাহিনীর সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল অংশ ও তাঁর একটি বিশেষ শাখার বিরদ্ধেও একই মারাত্মক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই কারণে বন্দুক যুদ্দের ঘটনা যেমন বৃদ্ধি পেল, তেমনি হতহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি আগে গর্ভের সাথে স্বীকার করা হতো, বর্তমানে তা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বীকার করা হচ্ছে।
*** গনত্রান্তিক শাসনের ৩৩ তম বছরে এসে সুস্থ রাজনীতি এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীকে গত ১২ ই ফেব্রুয়ারী এবার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পরিদর্শন করতে হলো।
***তবে তাঁর বিজ্ঞ উপদেষ্টারা ২০১৩ সালের মতো এর ভুল করেননি, তারা প্রধানমন্ত্রী কে দিয়ে আগুনে দগ্ধ রোগীদের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক বিতরন শেষে একটি শিশুর ব্যাডের পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রির ক্রন্দনরত ছৃশ্য প্রচারের বেবস্থা করেছেন। একটি শিশুর পক্ষে তো গিতা সেনের মতো প্রধানমন্ত্রীকে অসুস্থ রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সুস্থ রাজনীতি চর্চার আকুতি করা সম্ভব নয়।
এখন দেখা যায় দুই জোটের সুস্থ রাজনীতিচর্চার যৌথ শিকার সাধারণ জনগণ।
অর্থাৎ, বোমায় যারা দগ্ধ হলেন এবং বন্দুকযুদ্দে হতাহতদের ৮০ শতাংশ একই শ্রেনিভুক্ত। সরকারী দল ও তাদের সমর্থক বুদ্দ্ধিজিবী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ নেতারা পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হওয়ার ঘটনার বিরদ্ধে যতটাই সোচ্চার, বন্দুক যুদ্দের ঘটনায় ততটাই নিচ্ছুপ। আবার বিরোধী দলের বেলায় উল্টোটো কেন?
***বিঃ দ্রঃ আমি আমার মন থেকে এই কথা গুলো বললাম, দয়া করে কেউ এর মাঝে রাজনীতির ঘ্রাণ খুৃজবেন না।