
বাজা দলে বর্তমানে ১৮ + শরিক। এই ১৮+ এর জোট বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার পতনের আন্দোলন করছে। যার মূল উদ্দেশ্য সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করা এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে নিজেদের আখের গোছানো। তাই যুদ্ধাপরাধের সাথে সম্পৃক্ত দল ও ব্যক্তিরা বাজা দলে যোগ দিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে।

বাজা দলও যুদ্ধাপরাধীদের পাতা পাঁ দিয়ে বিতর্কিত হচ্ছে দলে ও দলের বাইরের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের কাছে। এ যাবত বাজা দল বেশ কয়েকটি নিস্ফল হরতাল সহ তথা কথিত কঠো্র কর্মসূচী পালন করছে যা শুধু মাত্র সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া বিশেষ কিছু অর্জনে ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ হয়েছে। এর পরেও তারা একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে আর সরকারও তাদের প্রতিহত করার জন্য সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল হরতালের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটে সচিবালয়ে। এই দুই ঘটনায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করে শাহবাগ ও তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, আ স ম হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা, এলডিপি প্রধান অলি আহমদসহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এ দুই মামলায় আসামি করা হয়।

এই মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন না পেয়ে বিএনপি নেতারা বুধবার সকালে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন চান। মহানগর দ্রুত বিচার হাকিম মো. এরফান উল্লাহ হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিএনপি ১৮ দলীয় জোটের ৩৩ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ এবং তাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
মির্জা ফকরুল সহ ৩৩ জনকে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দিলেন আদালত
এখন হরতাল সারা দেশে সেই হরতাল চলছে, সাথে চলছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা, গাড়ি ঘোড়া ও রিক্সা। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে তাই তাদের জীবনযাত্রা চলছে তাদের নিজস্ব গতিতে। এতে করে হরতালের ভাবমূর্ত্তি তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।

ভাবখানা এমন তোমার হরতাল তুমি করো আমরা আছি তোমার দলে। আর এই সুযোগ নিচ্ছে সরকার। তারা বুঝাতে সক্ষম হয়েছে বাজা দল (গ্রাম্য ভাষায় যে নারীর সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নাই) যতই হম্বিতম্বি করুকনা কেন সরকার খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না।
আবার হরতাল কিংবা কঠোর কর্মসূচী দিলে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোক পাওয়া যাবেনা বিএনপিতে
কারণ বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, একের পর এক মামলায় শুধু বিএনপিকেই নয়, ১৮+ দলীয় জোটকেই নেতৃত্বহারা করে ফেলতে পারে সরকার বা প্রশাসন। আর সে পরিস্থিতির উদ্ভব হলে আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোকও থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩২