somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যি কথা কইলে কয় হাজী সা’বের মুখ খারাপ

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিছু দিন ধরে গভীর উদ্বেগের সাথে ল্য করছি দেশের হাইকোর্টের এক শ্রেণীর বিচারক ধর্মীয় পোষাক পরিধানের ব্যাপারটি নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি শুরু করেছে। যারা ধর্মীয় পোষাক পরিধান করছে, তারা যেন তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে। বন্ধু দোষ নিও না কথায়, বড় ব্যথায় কথাগুলো বলতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে ধর্মীয় পোষাক পরিধান করতে বাধ্য করা যাবে না। তাদের এই উক্তির পেছনের কারণটি কী?
এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। তবে আপনাদেরকে দেশের বর্তমান প্রেতি সম্পর্কে কিছু কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। দেশে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আদালতে পর্যন্ত যে আলোচনাটি সবচেয়ে বেশি শুনা যাচ্ছে তা হচ্ছে ইভটেজিং। আমরা গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রায় সময়ই দেখতে পাচ্ছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভটেজিং এর কারণে বিভিন্ন ভাবে সংশ্লিষ্টদেরকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো তারপরও কি ইভটেজিং নামক আপদ থেকে আমাদের মা-বোনেরা রা পাচ্ছে? শুধু শাস্তির ভয়ে যদি অপরাধ কমে যেত তাহলে বিশ্বের কোথাও অপরাধের চিহ্ন মাত্র থাকত না এটা আমি দৃঢ় মনে বিশ্বাস করি। শুধু শাস্তি দিলেই ইভটেজিং বন্ধ হবে এরকম কোন গ্যারান্টি দিতে পারেন কি? অবশ্যই না। কারণ কলা ছুলিয়ে যতই মাছি তাড়ান না কেন, সুযোগ বুঝে মাছি ঠিকই কলা খেতে আসবে। বাস্তবতার দিকে ল্য করলে দেখা যায় যে, যারা ধর্মীয় পোষাক অর্থ্যাৎ বোরকা পড়ে চলাফেরা করেন তারা এই জঘন্য ইভটেজিং নামক বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত। কারণ ধর্ম হচ্ছে তাদের জন্য সম্মান রার কবচ স্বরূপ।
একদিকে সরকার গণমাধ্যমেন দ্বারা ইভটেজিং বন্ধের জন্য তোড়জোড় প্রচারণা চালাচ্ছে, অন্যদিকে যা দ্বারা এই ভয়াবহ দূর্যোগ থেকে মানুষ মুক্তি পাবে, তার থেকে বিরত রাখার জন্য আইন প্রণয়ন করছে। এ থেকে কি আমরা এটা বুঝবো যে, সরকার ইভটেজিং রোধে আন্তরিক নয়, বরং দেশটাকে পশ্চিমাদের মত নোঙড়ামির দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। সরকার কেন আমাদের দেশটাকে পশ্চিমাদের মত নোঙড়ামির দিকে ঠেলে দিতে চায়? এর পেছনে সরকারে কী উদ্দেশ্য? সরকার কি চায় আমাদের দেশটা জরজ সন্তানে ভরে যাক? সরকার কি আমাদের দেশেও রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে পশ্চিমাদের মত ফ্রী সেঙের নামে নারীর জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠুক? সরকার যা ই চাক না কেন আমরা মুসলমান। মুসলমানের কাছে তার সতীত্ব অতি মূল্যবান। কেননা আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে এরকম ইরশাদ করেন যে, মুমিন নর-নারী যেন তাদের লজ্জাস্থানকে হেফাযত করে পর নর-নারী থেকে। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে, ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম। ইসলাম ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না। অতএব যতই ঝড়-তুফান আসুক না কেন আমাদের কে অবশ্যই কুরআনের অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
সেই সাথে সরকার কে একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আপনার মতায় আসার সময় এ দেশের ইসলাম প্রিয় জনগণের সাথে ওয়াদা করেছেন যে, আপনারা মতায় গেলে কুরআন, সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করবেন না। অথচ মতায় আসার পর সম্পূর্ণ তার বিপরীত কাজ করছেন। আপনারা আপনাদের ওয়াদা ভুলে গেছেন কি না জানি না। তবে এতটুকু মনে রাখবেন যে, আপনারা ভুলে গেলেও জনগণ ভুলবে না। সময় মত জনগণ ঠিকই ফুঁসে উঠবে। বিশ্বাস না হয় চট্রগ্রাম সিটি নির্বাচনের কথা একবার ভেবে দেখুন। দেশের মানুষের শান্তি বিনষ্ট হলে অবশ্যই তারা শান্তির পথে এগোবার চেষ্টা করবে। অতএব জনগণের শান্তি ভঙ্গ হয় এমন কর্ম আপনাদের থেকে কাম্য নয়। তাই আপনাদের গৃহিত পদপেগুলো পুনঃ বিবেচনা করার জন্য জোড় অনুরোধ জানাচ্ছি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×