প্রকৃতির বিষ্ময় রংধনুর সাথে কিছুক্ষন ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আজকের বিকালটা মনেহয় অন্য দিনের চেয়ে আলাদা । মৃদু হাওয়া বইতেচে । আকাশ কিছুটা মেঘলা । কাল মেঘের দল ভেঁসে যাচ্ছে । দক্ষিন থেকে উত্তরে । আমি রাস্তার ধারে গজেউঠা কঁচি ঘাস গুলোর উপর পা মাড়িয়ে চলছি । ভালই লাগছে । পূর্বের আকাশে চোঁখ পড়তেই আমি পাই রংধনুর চোঁয়া ।
আনুভব করলাম, আমার শরির শিহরন দিয়ে চাঙ্গা হয়েউঠেছে ।আমার ধারনা ছিল ,এমন একটা পরিবেশে থাকলে শরির এবং মন শিহরন দিয়ে উঠা অসাবাবিক । কিন্তু না ,এখন মনে হচ্ছে যেখানে ভয়ের ছোঁয়া নেই,কিন্তু সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান সেখানেও শরীর শিহরন দে।
মনকে প্রশ্ন করলাম রংধনু কেমনে সৃষ্ঠি হয় ?
মন কোন উত্তর দিলনা ।
সাথে সাথে হাতে থাকা মুটোফোন দিয়ে উইকিপিডিয়াকে একই প্রশ্ন করলাম ? উইকিপিডিয়া উত্তর দিল(বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প-মিশ্রিত বাতাসের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাবার সময় আলোর প্রতিসরণের কারণে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়। এই বর্ণালীতে আলো সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। এই সাতটি রঙ হচ্ছে বেগুনী (violet), নীল (indigo), আসমানী (blue), সবুজ (green), হলুদ (yellow), কমলা (orange) ও লাল (red); বাংলাতে এই রংগুলোকে তাদের আদ্যক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে বলা হয়: বেনীআসহকলা আর ইংরেজিতে VIBGYOR। এই সাতটি রঙের আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এদের বেঁকে যাওয়ার পরিমাণে তারতম্য দেখা যায়। যেমন লাল রঙের আলোকরশ্মি ৪২° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বেগুনী রঙের আলোকরশ্মি ৪০° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যান্য রঙের আলোক রশ্মি ৪০° থেকে ৪২°'র মধ্যেকার বিভিন্ন কোণে বাঁকা হয়। এই কারণে রংধনুকে রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়।
প্রাথমিক উজ্জ্বল রংধনুর একটু উপরে কম উজ্জ্বল আরেকটি গৌণ রংধনু দেখা যায়, যাতে রংগুলি বিপরীত পরিক্রমে থাকে। এই দুই ধনুর মধ্যবর্তী আকাশ (আলেক্সান্ডারের গাঢ় অঞ্চল) বাকি আকাশের থেকে একটু অন্ধকার হয়, তবে ভালো করে লক্ষ না করলে এই তারতম্য নজর এড়িয়ে যেতে পারে।
)
লক্ষকরলাম রংধনুটা আস্থে আস্থে মিলিয়ে যাচ্ছে ।আমার মনে হয় ,রংধনুটা অনেক আগে উঠেছে ,আমার দৃষ্টির আড়ালে । কিন্তু,যাওয়ার সময় আর আমাকে আড়াল করতে পারলনা । ছোট থেকে জানতাম রংধনুর সাতটি রং । কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করেও খালি চোঁখে ৪টি রংএর বেশি পরখ করতে পারলাম না । এখন ,রংধনু উদাও হয়ে গেছে । আকাশ আরো মেঘাচ্ছন হয়েছে । মনেহয় অছিরেই মুসলধারে বৃষ্টি নামবে ।ছোট বয়সে একটা কথা শুনথাম ।রংধনু উঠলে বৃষ্টি হয় । মনেহয় , এই কথাটি এখন সত্যি হতে যাচ্ছে । ভাবতে না ভাবতে বৃষ্টি আসার শব্দ শুনতে পেলাম । বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে । দ্রুত হেঁটে বাড়িতে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । কিন্তু না, বৃষ্টি আমার চেঁয়ে দ্রুত । সে এসে আমায় ভিজিয়ে দিল । বাড়িতে আসার সাথে সাথে মা বল্ল । তাড়া তাড়ি গোঁসল করেনে । নয়ত অসুক হবে ! মায়ের কথা শুনতে শুনতে পকেটে হাত দিলাম । মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেঁখি মোবাইলটা ভিজে নাই । জিন্সের পেন্টের পকেটে ছিল তায় মনেহয় ভিজেনি । গোসল করে ঘরে প্রবেশ করলাম উৎপুল্ল মনে ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন
লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা
ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।
মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন