somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মির্জা গালিব- এক মহা কবির নাম

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ মহাকবি মির্জা গালিবের জন্মদিন। ছোট বেলা থেকেই উনার অনেক বুদ্ধিদীপ্ত, জীবন ঘনিষ্ঠ শের শায়েরী শুনে আমরা বড় হয়েছি, মুগ্ধ হয়েছি! আমি কল্প চোখে দেখতাম শশ্রু মন্ডিত এক বনেদী পুরুষ কোন এক রাজ দরবারে বসে তার কবিতার সুধা ছড়িয়ে দিচ্ছেন আর সেই সুধায় আকন্ঠ ডুবে আছে রাজ দরবারের সভাসদ গণ। কেন যেন আমার মনে হয় আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই মহান কবিকে সেভাবে চেনে না। তাই সংক্ষীপ্তাকারে তার জীবনী তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

মির্জা গালিব কালার মহাল, আগরাতে একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন ইবাক তুর্কের বংশধর। সেলজুক রাজাদের পতনের পর সমরকন্দে (আজকের উজবেকিস্তানে) স্থানান্তরিত হন। তাঁর পৈতৃক পিতামহ, মির্জা কওকান বেগ খান ছিলেন সালজুক তুর্ক, যিনি সমরকন্দ থেকে আহমদ শাহের শাসনামলে (১৭৪৮-৫৪) ভারতে আসেন। তিনি লাহোর, দিল্লি ও জয়পুরে কাজ করেন, উপ-জেলা পাহাসু (বুলমানশর, ইউপি) এবং অবশেষে আগ্রা, ইউপি, ভারতে বসতি স্থাপন করে। তার চার পুত্র ও তিন কন্যা ছিল। মির্জা আবদুল্লাহ বেগ খান এবং মির্জা নাসরুল্লাহ বেগ খান তাঁর দুই পুত্র ছিলেন।

মির্জা আবদুল্লাহ বেগ খান (গালিবের বাবা) ইজতাত-উট-নিসা বেগমের সাথে বিয়ে করেন,ভদ্র মহিলা ছিলেন একজন জাতিগত কাশ্মীরী এবং বিয়ের পর তিনি তার শ্বশুরের বাড়িতে বসবাস করেন। তিনি প্রথমে লখনৌয়ের নবাব এবং তারপর হায়দরাবাদের নিজাম এর দাক্ষিণ্যে নিযুক্ত হন। তিনি আলভারে ১৮০৩ সালে একটি যুদ্ধে মারা যান এবং তাঁকে রাজগড়ে (আলভার, রাজস্থান) কবর দেওয়া হয়। তারপর গালিবের বয়স যখন ৫ বছর তিনি প্রথমে তার চাচা মির্জা নাসরুল্লাহ বেগ খানের দায়িত্বে ছিলেন।

তেরো বছর বয়সে গালিব বিয়ে করেন, তিনি নওয়াব ইলাহী বখশী (ফিরোজপুর জিরকা এর নবাবের ভাই) -এর মেয়ে উমরাও বেগমকে বিয়ে করেন। অতঃপর তিনি তাঁর ছোট ভাই মির্জা ইউসুফ খানের সাথে দিল্লিতে চলে যান, যিনি স্কিৎসোফ্রেনিয়া নামক একটি রোগে অল্প বয়সে আক্রান্ত হন এবং পরে ১৮৫৭ সালের বিশৃঙ্খলার সময় দিল্লিতে মারা যান।

উচ্চ শ্রেণীর মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে সমন্বয় সাধন করতে গিয়ে ১৩ বছর বয়সে তিনি একটি বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু তার সাতটি সন্তানই বাল্যকালেই মারা যায়। তার বিয়ের পর তিনি দিল্লিতে বসবাস করেন। তার এক চিঠিতে তিনি তার নিজের জীবনকে প্রাথমিক কারাবাসের পর বিবাহিত জীবনকে দ্বিতীয় কারাবাস হিসাবে বর্ণনা করেন। অর্থাৎ জীবন এক ক্রমাগত বেদনাদায়ক সংগ্রাম যা শুধুমাত্র তখনই শেষ হয় যখন জীবন নিজেই শেষ হয়। তার বেশীর ভাগ লেখাই ছিল বিষা্দ এবং হতাশা নিয়ে তবে তার কিছূ অসাধারন প্রেমের কবিতাও রয়েছে। মাত্র ১১ বছর বয়সে এই কবি তার লেখা শুরু করেন। তিনি প্রধানত উর্দুতে লেখালেখি করতেন তবে আরবী, ফারসি, তুর্কি ভাষাতেও তিনি পারদর্শী ছিলেন।

তার কিছু শের/শায়েরী নীচে শেয়ার করছিঃ

Is qadarr tora hai mujhaay uss ke be-wafaai nay "ghalib"
Abb koi agarr pyar se bhi daikhaay to bikharr jata hoon mai

Kitnaa khouff hota hai shaam kay andheroon mein,
Poonch un parindoo say jin kay gharr nahi hotay

Hum toh fanaah ho gaye uskii ankhen dekh kar Ghalib,
Naa janay woh Aainaa kiasay dekhte hogey ...!

Unkay dekhnay say jo aa jaati hai muh par raunaqq,
Woh samajhatey hai ki bimaar ka haal achcha hai ...

Dil say terey nigaah jigarr tak utarr gaye,
Dono ko eik adaa mein razaamand karr gaye ...

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৮
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×