somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর মোহ ১

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নদী তীরবর্তী অঞ্চল। চারপাশ গাছপালায় আচ্ছাদিত। সচরাচর এদিকটায় কেউ আসেনা। জেলেরা মাছ ধরাকালীন হয়তোবা দু একবার এদিকটায় দৃষ্টি ফেলে। এছাড়া কাঠুরিয়া বা মৌয়ালিরা তাদের জীবিকার সন্ধানে এখানে আসে। আপাতদৃষ্টিতে এ স্থানটির বিশেষত্ব কারো জানা বা চোখে পড়ার কথা নয়। নদীর এ পাড়টি ক্রমশ ভাঙনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু অত্র এলাকার অধিবাসীরা বিগত কয়েক দশকে এ নদীর কোনো ভাঙন দেখেনি।
নদীর এ পাড়ের একটি বিশেষ স্থান। লক্ষণীয় এখানে এমন একটি বৃক্ষ যা কিনা অনেকটা ক্রুশের আকৃতি ধারণ করেছে। গাছটি আগামী কয়েকদিনেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বা তারো কম সময়ে। এ গাছটিকে কেন্দ্র করেই কিছু লোকজনের সমাবেশ। সংখ্যায় পাঁচ ছয়জন হবে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় গির্জার ফাদার। আরেকজন সুঠামদেহী শক্ত সমর্থ এক যুবক। যে কিনা এখানে মাটি খুঁড়ছে। বাকিরা তার কাজে সাহায্য করছে।
‘তুমি কি এব্যাপারে নিশ্চিত, জন!’ কোনো ব্যাপারে ফাদারের মনে সংশয়। যা তিনি বিশাল দেহী লোকটিকে জিজ্ঞাসা করেন।
‘আমি নিশ্চিত হয়েই একাজ করছি।’ তার কন্ঠে দৃঢ় প্রত্যয়।
‘যদি তাই হয় তবে তুমি অতি পূণ্যের কাজ করছ। তোমাকে দিয়ে ঈশ্বর তার মনোবাসনা পূর্ন করছে। এর জন্য অবশ্যই তুমি তার কাছ থেকে পুরস্কৃত হবে।’
জন মাটি খুঁড়েই চলছে। অবস্থাটা একটা উত্তেজনাকর পর্যায়ে চলে এসেছে। সবাই অধীর আগ্রহে কোনো বিস্ময় বস্তু দেখার অপেক্ষা করছে।
‘জন, তোমাকে তো আগে কখনো এ এলাকায় দেখেছি বলে মনে হয়না। তোমার বাড়ি কোথায়! আর কোথায়বা তোমার জন্মস্থান!’
ফাদারের প্রশ্ন শুনে জনের মুখে রহস্যময় হাসি।
‘আমার জন্মস্থান সম্পর্কে আমি আসলে অবগত নই। কারো কাছ থেকে এ ব্যাপারে আমি কখনো কিছু শুনিনি। আর আমার নির্দিষ্ট কোনো বাড়ি নেই। জীবিকার তাগিদে যখন যেখানে যাই।’
‘তুমি তো দেখি অদ্ভুদ মানুষ! আচ্ছা জন, আরেকটা প্রশ্ন করি। যখন তুমি স্বপ্নটি দেখো তখন কি তুমি পবিত্র অবস্থায় ছিলে!’
‘ফাদার, আমি পবিত্র অবস্থায় নিদ্রিত ছিলাম।’
‘তুমি নিশ্চয়ই ঈশ্বরের প্রিয় পাত্র! আচ্ছা, আমাকে জানতে দাও- ঈশ্বর কি সরাসরি তোমাকে এ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছে!’
‘ফাদার, আমি ঘুমন্ত ছিলাম। হঠাৎ যেন আমার চারপাশ ঝলমলে হয়ে যায়। কোনো গির্জার একটি ক্রুশে এক পূণ্যব্যক্তির ছবি ভেসে উঠে। তিনি আমাকে অনুরোধ করে বলেন তার কবরে পানি ঢুকে যাচ্ছে। তাকে যেন খুব শীঘ্রই স্থানান্তরিত করা হয়। আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি তখন তার বর্তমান অবস্থান আমাকে জানিয়ে দেন।’
‘বৎস, তুমি যার কথা বলছ- তিনি আমাদের যিশুখ্রিষ্টের অতি ঘনিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। সত্যিকার অর্থেই আমরা ভাগ্যবান।’
অবশেষে তাদের উৎকন্ঠা ও অপেক্ষার পালা শেষ হয়। সবাই বিস্ময়ে অভিভ’ত হয়ে পড়ে। আপনাতেই তাদের মস্তক ঈশ্বরের প্রতি অবনত হয়। ঈশ্বরের কি অপার মহিমা! কবরের শবদেহটি যেন অপার শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে। তার পবিত্র দেহটি পুরোপুরি অক্ষত। কোনো ধরনের পচন অথবা কংকালের চিহ্ন নেই। পরিধেয় পোশাকসমূহ অক্ষত, মলিনতার লেশমাত্র নেই। উপস্থিত সবাই ঈশ্বরের এই লীলা দেখে প্রার্থণায় মগ্ন হয়।
‘জন, খুব সাবধানে। খুব সাবধানে কাজ করো। যেমন তিনি এখানে শুয়ে আছেন অবিকলভাবে তাকে গির্জার সামনে পুনরায় সমাহিত করতে হবে। খেয়াল রাখবে স্থানান্তরের সময় যেন কোনো অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। অথবা কোনো ধরনের বিকৃতি বা চ্যুতির কোনো ঘটনা না ঘটে।’
জন আলগোছে পবিত্র দেহটিকে তুলে নেয়। সবাই তার সক্ষমতায় বিস্মিত। কারণ শবদেহটি আকার আকৃতিতে তাদের চেয়ে বেশ বড়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনের মাঝে কোনো ধরনের ক্লেশ বা অসুবিধা পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। সে সাচ্ছ্যন্দে শবদেহটি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
‘ফাদার, একটা কথা বলতাম!’
‘অবশ্যই জন।’
‘এই শবদেহ স্থানান্তরের ঘটনাটি যেন প্রকাশ না পায়। এখানে আমরা যে কজন উপস্থিত শুধুমাত্র আমাদের মধ্যেই যেন ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থাকে। কারণ স্বপ্নে আমি এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত হয়েছি।’
‘তাই নাকি! যদি তাই হয় উপস্থিত সবাইকে বলছি- তোমরা এ ব্যাপারে কখনোই কাউকে কিছু বলো না। আমরা সরাসরি ঈশ্বরের কাজ করছি। তার ইচ্ছা আমাদের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে। এর ব্যতয় হলে কিন্তু তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।’
অনেকটা পথ হেঁটে তারা গির্জায় এসে পৌঁছেছে। আবহাওয়া বেশ গরম কিন্তু জনের মধ্যে ক্লান্তির লক্ষণ নেই। বাকিরা সবাই হাঁপাচ্ছে। জন তাদেরকে খনন কাজে তাগাদা দেয়। গির্জার সম্মুখ ভাগে আরেকটি কবর খোঁড়া হয়। এটি গাছের ছায়ায় অবস্থিত। জন পবিত্র দেহটিকে তখন পর্যন্ত কোলে তুলে রেখেছে। খনন কার্য শেষ হলে শব দেহটি পুনরায় সেখানে সমাহিত করা হয়। ফাদার এই মহৎ কার্য সম্পাদনে স্বস্তিবোধ করেন। উপস্থিত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। তারপর জনকে নিয়ে তিনি গির্জাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। তিনি ক্ষুধার্ত। ভাবছেন জনের অবস্থাও বুঝি তাই। খাবারের ডালা সাজিয়ে তিনি জনকে খাবার খেতে আহবান করেন। তিনি ভালোই বুঝেছেন জন বেশভ’ষায় অতি সাধারণ হলেও অত্যন্ত পূণ্যবান ব্যক্তি। তাই তার আপ্যায়নে তিনি কোনো কমতি রাখেন না। কিন্তু জন তাকে নিরাশ করেছে। কোনো খাবারই সে মুখে তুলছেনা।
‘জন, খাবারগুলো বুঝি তোমার পছন্দ হচ্ছেনা!’
‘ফাদার, ওভাবে বলবেন না! আমি আসলে কোনো কোনোদিন অনাহারে কাটাই। আজকে সেরকম একটা দিন।’
‘তাহলে সত্যিই আমার দুর্ভাগ্য! ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তোমাকে সমাদর করতে পারছিনা।’
‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি শুরু করে দিন। এই ফাঁকে আমি প্রার্থনাস্থলটা ঘুরে আসি।’
‘যাও বাছা। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।’
জন প্রার্থনাকেন্দ্রে চলে আসে। আরো কয়েকজন সেখানে ঈশ্বরের কৃপা লাভের চেষ্টায় রত ছিলো। জন কিছুটা নির্জনে যীশুখ্রিষ্টের ক্রুশের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রার্থনা শুরু করার পূর্বমুহুর্তে তার চোখ পতিত হয় এক রমনীর দিকে। মেয়েটি প্রার্থনা শেষ করে চলে যাচ্ছিলো। জনের সাথে কয়েকবার দৃষ্টি বিনিময় হয়। মেয়েটি বুঝতে পারছেনা তার প্রতি জনের কৌত’হলোদ্দীপক দৃষ্টি নিক্ষেপের কারণ। গির্জা হতে মেয়েটি বেরিয়ে যায়। জন মেয়েটির পিছু নেয়।
‘একটু শুনবেন!’
মেয়েটি পিছন ফিরে তাকায়।
‘হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। আমি এ অঞ্চলেই থাকি। আপনি প্রার্থনা করছিলেন আমি মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম।’
‘তার কারণ।’
মেয়েটি ঠিক সহজ হতে পারছেনা এই আগন্তুকের কাছে।
‘যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয় তখন সেটা নত মস্তকে হওয়া ভালো।’
‘আমি ছোটবেলা থেকে এভাবেই অভ্যস্থ। আমার বাবা আমাকে এভাবে শিখিয়েছেন।’ মেয়েটি মুচকি হেসে জবাব দেয়।
‘আমি আসলে এজন্য বলেছি তাহলে হয়তো আপনার মনোযোগটা আরো তীক্ষè হতো।’
‘আপনার পরামর্শের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
জন মেয়েটির সাথে সাথে হাঁটছে। মেয়েটি মনে হচ্ছে আগন্তুকের প্রতি আশ্বস্ত হয়েছে।
‘আপনার বাড়ি কি আশেপাশেই!’ জন মেয়েটির সাথে আলাপ জমাতে চাচ্ছে।
‘জ্বি, এখান থেকে বড়জোর এক কিলো।’
‘আকাশের অবস্থা ভালো না। ঝড় তুফান আসতে পারে । আমি যদি আপনাকে এগিয়ে দেই।’
‘ধন্যবাদ। আমি যেতে পারবো। আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা।’
‘এমন পরিস্থিতিতে আমি আসলে এটা আমার দায়িত্ব মনে করছি।’
বেশ কয়েককদম দুজনার মধ্যে কোনো কথা হয়না। আকাশে শুধু মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। চারপাশটা অন্ধকার হয়ে এসেছে।
‘আপনি কি প্রায়ই গির্জায় আসেন!’ মেয়েটি তাদের নীরবতার অবসান ঘটাতে চায়।
‘আসলে.......’
‘আমি আগে কখনো আপনাকে দেখিনি। অবশ্য আমি চারপাশটা অত খেয়াল করিনা- আপনি যেভাবে করেন।’ মেয়েটির মুখে স্মিত হাসি।
ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। বাতাসের বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এমতাবস্থায় মেয়েটির সামনে এগুতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। জন ইতস্তত বোধ করছে মেয়েটিকে সে কিভাবে সাহায্য করতে পারে! হঠাৎ দমকা হাওয়া মেয়েটিকে উড়িয়ে কয়েক হাত দূরে নিয়ে ফেলে। সে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছে। তার অভিব্যক্তিতে তা প্রকাশ পাচ্ছে। জন বুঝতে পারছে মেয়েটিকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়া দরকার। সে মেয়েটিকে কোলে তুলে নেয়। ছাতার চেয়েও বড় বেষ্টনী দিয়ে তাকে নিয়ে সামনে এগোতে থাকে। আশ্চর্য, যেখানে বড় বড় গাছপালা উপড়ে পড়ছে। ডালপালা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে- মানুষের পক্ষে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখাই কষ্টসাধ্য। জন সেখানে দিব্যি মেয়েটিকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। বাম ডান , সামনে পিছনে কোনোদিকেই সে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে না। তার গায়ে যেন অশরীরি শক্তি ভর করেছে। সে মেয়েটিকে পথ দেখাতে বলে। মেয়েটি ভীষণ ভয় পেয়েছে। তার বুকে মাথা গুজে আছে।
অবশেষে জন মেয়েটির বাড়িতে এসে পৌঁছায়। দুজনেই ভিজে জবজবে। সাঁড়া শব্দে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন এক ভদ্রলোক। তার বয়স হবে বছর পঞ্চাশেক।
‘মা, তুই এই ঝড় তুফানের মধ্যে কিভাবে বাড়ি ফিরলি!’
‘আমি কিছু জানিনা বাবা। উনি আমাকে নিরাপদে নিয়ে এসেছেন। দমকা হাওয়ায় আমি ছিটকে যাই।’ ভয়ার্ত কন্ঠে মেয়েটি জনের দিকে ইশারা করে।
‘সর্বনাশ! তুই ঠিক আছিস তো মা!’
‘কোমরে চোট পেয়েছি। বাবা, তুমি উনাকে বসতে বলো।’
এতক্ষণে ভদ্রলোক জনের প্রতি মনোযোগী হয়। তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই সাক্ষাৎ দেবদূত। আমার মেয়েকে এই দুর্যোগ মুহূর্তে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।’
‘ও কিছু না । আমি মানুষের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।’
‘আপনি বসুন।’ বলে লোকটি তার মেয়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
জন বসে । লোকটি মেয়েটিকে নোরা বলে স¤েবাধন করছে। জন বুঝতে পারে মেয়েটির নাম নোরা। জন এইফাঁকে চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে নেয়। বাড়িটি সুন্দর। কাঠের তৈরি একটি দোতলা বাড়ি। সামনে আস্তাবল। বেশ পরিপাটি, গোছানো। বোঝাই যাচ্ছে- সবকিছুতে নোরার যতেœর ছোঁয়া রয়েছে। আর বাড়িতে এ দুজন ছাড়া অন্য কোনো সদস্যকে দেখা যাচ্ছেনা।
এভাবে বেশ কিছু সময় পার হয়। নোরার বাবা তাকে নিয়ে ভিতরে গিয়েছে। জন ঠায় বসে আছে। তবে তার মধ্যে উঠার কোনো তাগিদ পরিলক্ষিত হয় না। তার অবস্থান দীর্ঘায়িত করতেই যেন নোরার বাবা তার জন্য নাস্তা নিয়ে আসে।
‘আপনি কিছু খেয়ে নিন।’
‘ধন্যবাদ। আমি আজকে উপবাসে আছি।’
‘ওহ সরি। আমি আসলে বুঝতে পারিনি।’
‘আপনার অবশ্য জানার কথাও না।’ জন মুচকি হেসে বলে।
‘নোরাকে বিশ্রামে রেখে এসেছি। মেয়েটা আসলে অনেক ভয় পেয়েছিলো।’
‘স্বাভাবিক। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ভয় কাটিয়ে উঠতে পারবে।’
‘তাই যেন হয়।’
‘আমি তাহলে আজকে উঠি।’
‘সে কি! আপনার সাথে তো কোনো আলাপই হলো না। পরস্পর সম্পর্কে আমরা কিছু জানলাম না। আর আপনি আমার এত বড় উপকার করলেন!’
‘সে হবে। আরেকদিন আসবো।’
‘তা বাইরের ঝড় কি থেমেছে!’
‘হ্যা থেমে গেছে।’
‘আবারো বলছি- আপনি না থাকলে সত্যিই একটা দূর্ঘটনা ঘটে যেত।’
‘ও কিছু না।’
জন একটু ইতস্তত করছে। তার চোখ যেন কাউকে খুঁজছে। কিন্তু মুখে কিছু বলতে ভিতর থেকে বাধা পাচ্ছে। জন বেরিয়ে এসেছে। তাকে দেখে কিছুটা অসুখিই মনে হচ্ছে। যাবার পথে বেশ কয়েকবার পিছন ফিরে বাড়িটির দিকে তাকায়। কাউকে দেখার আকুতি তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।
(চলবে)

View this link
for part 2



tanim zubair
all rights reserved
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×