somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তথ্য প্রযুক্তি : পৃথিবীকে যারা দিয়েছেন হাতের মুঠোয়........

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার চারদিকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে পৃথিবী হাতের মুঠোয়। এটি যেমন মানুষের জীবনকে করেছে সহজ তেমনি করেছে গতিময়। কম্পিউটার , ইন্টারনেট, টেলিভিশন , মোবাইল কারনে বিশ্ব আজ ছোট হয়ে এসেছে। পৃথিবী নানা ঋণী হয়েছে সেই সব মহান ব্যক্তির কাছে যারা এ সব পৌছে দিয়েছেন মানুষের দোড়গোড়ায়।



চার্লস ব্যাবেজ : ১৭৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর লন্ডনে জন্ম গ্রহন করেন ' কম্পিউটার জনক ' বলে খ্যাত আবিষ্কারক গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ। ধনী পিতার সন্তান ব্যাবেজ ব্যাক্তিগত শিক্ষক সহ শিক্ষা গ্রহন করেছেন কিং এডওর্য়াড ষষ্ঠ গ্র্যামার স্কুল, হল্মউড একাডেমী, ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ যোগদান করেন ১৮১০ সালে। পরবর্তীতে তিনি পেটেরহাউস, কেমব্রিজে পড়াশুনা করেন। ব্যাবেজ ১৮১৪ সালে জরজিনা হোয়াইটমোর কে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে আটটি সন্তান এর জন্ম হয়। ১৯২২ সালে ডিফারেন্স মেশিন নামে তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার। পরবর্তীতে অ্যানালাইটিক্যাল নামের আরও একটি গননা যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ১৮২৪ ' রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনোমিকাল সোসাইটি অফ গোল্ড ' লাভ করেন তার আবিষ্কৃত গননা যন্ত্রের জন্য। ১৮ অক্টোবর ১৯৭১ সালে ৮৯ বছর বয়সে মৃতুবরন করেন এ মহান ব্যক্তি।



অগাস্টা আডা বায়রন : ক্ষনজন্মা এ মহীয়সী নারী ১০ ডিসেম্বর ১৮১৫ সালে লন্ডনে জন্ম গ্রহন করেন। বিখ্যাত কবি লর্ড বায়রনের কন্যা ছিলেন অগাস্টা আডা বায়রন, যার ডাক নাম ছিল ' কাউন্টেস অফ লাভলেস ' বা ' অ্যাডা লাভলেস '। পিতার থেকে ভিন্ন প্রতিভার অধিকারী আডা বায়রন, চার্লস ব্যাবেজ আবিস্কৃত কম্পিউটারের বা ডিফারেন্স মেশিনের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন। ছোট বেলা থেকে পিতার কাছ থেকে বিছিন্ন হয়ে যান আডা বায়রন। ছোট বেলা থেকেই আডা বায়রন মাথাব্যাথা ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধতায় ভুগতেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তার গানিতিক প্রভিভার স্ফুরন ঘটে। ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজের সাথে পরিচয় আডা বায়রনের। চার্লস ব্যাবেজের আবিষ্কার কে আরো গতিময় করে ছিলেন অগাস্টা বায়রন। বর্তমানে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে অগাস্টা আডা বায়রন। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে জরায়ুর ক্যানসার ও অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে ২৭ নভেম্বর ১৮৫২ সালে মৃতুবরন করেন।



আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল : বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল ছিলেন টেলিফোন এর আবিষ্কারক। ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে জন্মগ্রহন করেন আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল। বেল শিক্ষা লাভ করেন ' রয়েল হাইস্কুল, ওয়েসটন হাউস একাডেমী , এডিনবার্গ ইউনির্ভাসিটি , পরে লন্ডন ইউনির্ভাসিটিতে। বেল কে, ' ফাদার অফ দ্য ডিফ ' বা ' বোবাদের পিতা '। বেলের মা এবং স্ত্রী উভয় ছিলেন বোবা। টেলিফোন আবিষ্কার এর আগেই তিনি এ সংক্রান্ত গবেষনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এসব ছারাও বেল, উরোজাহাজ, বিমানচালনা বিদ্যার সংকান্ত কাজের সাথে জরিত ছিলেন। ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেলকে প্রথম টেলিফোন আবিষ্কারক এর সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ' বেল টেলিফোন কোম্পানী '। মজার একটি বিষয় হলো, বেল নিজের পড়াশুনা বা গবেষনার সময় কোন টেলিফোন নিজের কাছে রাখতেন না, কারন এটি তার কাছে ঝামেলা মনে হত। ২ আগস্ট ১৯২২ সালে মৃত্যুবরন করেন প্রতিভাধর এ বিজ্ঞানী। তার মৃত্যুর সম্মানে আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিট রিং বাজানো হয়।



মার্টিন কুপার : জন্ম আমেরিকার শিকাগোয় ২৬ ডিসেম্বর ১৯২৮ সালে। মোবাইল ফোন এর আবিষ্কারক। ১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপারই বিশ্বে প্রথম মোবাইল ফোন কলটি করেন। ইলেকট্রিক্যাল ইন্ঞ্জিনিয়ারিং এর উপর পড়াশোনা শেষ করেন ' ইলিনয় ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজি ' থেকে। ছিলেন মটোরোলার ভাইস প্রেসিডেন্ট।



স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু : ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহন করেন এ মহান বাঙ্গালী বিজ্ঞানী। পৈত্রিক বাড়ি মুন্সিগন্জের বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। শিক্ষা লাভ করেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজ, লন্ডন ইউনির্ভাসিটি থেকে। আবিষ্কার করেন অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাইক্রো ওয়েভ। ১৮৯৫ সালে তৈরি করেন অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ এবং তার বিহীন ভাবে অন্য জায়গায় প্রেরনে সফলতা পান। আধুনিক রাডার , টেলিভিশন মহাকাশ যোহাযোগ এর ক্ষেত্রে এই তরঙ্গর ভুমিকা অন্যতম। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে গাছের প্রান আছে। তৈরি করেন ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র। ১৯৯৬ সালে নাইটহুড উপাধি লাভ করেন। ১৯২০ সালে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হন। ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুত্ব ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।



লিওনার্ড ক্লেইনরক : ইন্টারনেট বিপ্লবের এই মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন্মগ্রহন করেন ১৯৩৪ সালের ১৩ জুন। শিক্ষালাভ করেছেন ব্রন্জ হাইস্কুল অফ সাইন্স, সিটি কলেজ অফ নিউইর্য়ক, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে। ১৯৬৯ সালের অ্যাপ্রানেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ডাটা পাঠান লিওনার্ড ক্লেইনরক।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×