শচীন দেব বর্মণ গেয়ে গেছেন
তোমার সাপেরো বেণী দুলে না
দোলে না হাওয়ার বাশি শুনে
গুনগুন করো না অসময়
তুমি আর নেই সে তুমি!
আমরা কেউ কি সে তুমি থাকি? ১৪১৭ থকে ৩৬৫ দিন পর কি একটা ৮ এসে ৭ কে খসিয়ে জায়গা দখল করে নেয় না? আমরা সবাই কি আমাদের সেই আমি থেকে অন্য আমিতে বদলাই না?
বদল নিয়ে নানা মত-রত! মতি ভাই বলেন
বদলে যাও,বদলে দাও!
বেক্সিমকো গ্রুপ বলে
সব কিছু বদলে দিতে নেই
তবু বদলানো কি থেমে থাকে? ভাষা বদলায়,রাবীন্দ্রীক ইন্দ্রজাল ভেদ করে মানুষ রপ্ত করের নেয় ডি-জুস ল্যাঙ্গুয়েজ।প্রতিবাদ হয়,তারপর একসময় মেনে নেয়।মানুষের শরীর ও কি বদলায় না? শিশুকালের ভুবনভোলানো হাসিমাখা নিস্পাপ শরীরে কি ধীরে ধীরে যৌনতা বাসা বাধে না? অনুভূতি,সেটা কি কোন ধ্রুবকের ধার ধারে? একজন মায়ের পাচ বছরের একটা সন্তান মারা গেলে যতটা কাতর হন,২৫ বছরের যুবক মারা গেলেও কি সেই একই পরিমাণ শোক তাকে কাতর করবে?
সেই আদ্দিকাল থেকে পরিবর্তিন দেখে,শিখে,গায়ে মেখে এত অভ্যস্ততার পরেও কেন শচীন দেব এত অভিমানী? কেন আমরা মানুষের, আমাদের কাছের মানুষের বদলানোতে এত অনুভবী হয়ে পড়ি? যুগ-যুগান্তের এত স্বাভাবিক এক প্রক্রিয়ায় আমাদের মন এখনো এতটা অপটু-অনভ্যস্ত কেন?
এলেবেলে কথন,তার চাইতে নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে।নতুনে অভ্যস্ত হবার নিমন্ত্রণ থাকলো!!