somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"Dr. Strange: Multiverse of Madness" নানান পদের পাগলামী?

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘদিন পরে সামুতে লিখছি। গতকাল সদলবলে Dr. Strange: Multiverse of Madness দেখলাম থ্রিডিতে। এরপর বাসায় ফিরে দর্শকদের সাথে কাহিনী নিয়ে আলাপে আলাপে নানান বিষয় উঠে এলো। ভাবলাম বিক্ষিপ্ত আলাপগুলোকে এক সুতোয় গেঁথে নিয়ে দেখি কি দাঁড়ায়।



আমাদের দর্শকদের মধ্যে একজন ছিলেন যার কাছে মাল্টিভার্স কনসেপ্টটা একদম নতুন ছিল। যেহেতু Dr. Strange: Multiverse of Madness মুভির কাহিনীর প্লটটা মাল্টিভার্সের উপরে, সেহেতু মাল্টিভার্স না বোঝায় কাহিনী ধরতে তার কষ্ট হচ্ছিল। তাকে মাল্টিভার্স নিয়ে ধারণা দিতে গিয়ে দেখি আরো অনেকেরই এই ব্যাপারে কিছু মিস কনসেপ্ট আছে। তাই মাল্টিভার্স বুঝানোর জন্য আগে স্ট্রিং থিওরি বুঝা দরকার।



আমরা জানি যেকোন পদার্থকে ভাঙলে ক্ষুদ্রতম কণা হিসেবে ঐ পদার্থের অণু পাও্য়া যায়। অণুকে ভাঙলে পরমাণুকে পাওয়া যায়। আর পরমাণু গঠিত হয়েছে মূলত তিনটি কণা প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন দিয়ে। আর নিউট্রন মূলত কোয়ার্ক থেকে তৈরি। স্ট্রিং থিউরি অনুযায়ী,

বিশ্ব জগত সৃষ্টিকারী সমস্ত মৌলিক কণিকা অর্থাৎ কোয়ার্ক, লেপটন, গেজ বোসন ইত্যাদি মূলত স্ট্রিং ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে এগুলো আমাদের দেখা স্ট্রিং যেমন তার বা গুনা জাতীয় কিছু নয়। এগুলো হল এনার্জি বা শক্তির স্ট্রিং যেগুলো বিভিন্ন কম্পাংকে কম্পিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক কণিকাসমূহ তৈরি করছে। এখানে স্ট্রিং অর্থাৎ সুতোটি কোয়ার্ক তৈরি করে। কোয়ার্ক তৈরি করে নিউট্রন। এভাবে যদি আমরা সবগুলোকে আবার একত্রিত করি তাহলে পাবো সেই মূল মৌলিক পরমাণুটি। এখন, বিজ্ঞানীরা এ স্ট্রিং থিওরি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একপর্যায়ে দেখলেন, এগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য বেশ কিছু মাত্রার প্রয়োজন হচ্ছে, যা কি না আমাদের চতুর্থমাত্রিক মহাবিশ্বের থেকেও অধিক মাত্রার। অর্থাৎ, স্ট্রিং থিউরি মূলত কাজ করে থাকে ১১ ডাইমেনশনাল মহাবিশ্বে, যাদের ভিতর ১০ টি হল স্পেস বা স্থান সংক্রান্ত ডাইমেনশন এবং বাকী একটি হল "সময় বা টাইম" সংক্রান্ত ডাইমেনশন। আমাদের অতি পরিচিত প্রথম তিনটি ডাইমেনশন অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা বাদে অবশিষ্ট ৭ টি স্থান সংক্রান্ত ডাইমেনশন এতই ছোট যে (প্লাংক দৈর্ঘ্য-এর সমমানের, ১০^-৩৫ মিটার) এরা সংকুচিত হয়ে আমাদের চারপাশের স্থানের প্রতিটি বিন্দুতে অবস্থান করছে, যাদেরকে আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না।

শুধুমাত্র সুপার স্ট্রিংগুলিই ওইসব উচ্চতর ডাইমেনশনে বিচরণের ক্ষমতা রাখে এবং সেখানে এরা বিভিন্ন ভাইব্রেশন মুডে কম্পিত হয়ে বিভিন্ন মৌলিক কণিকা এবং বলকে আমাদের সামনে উন্মুক্ত করছে।

উপরে উল্লেখিত উচ্চতর ডাইমেনশন থেকেই মূলত "মাল্টিভার্স" বা "বহু মহাবিশ্ব" ধারণার উৎপত্তি।

অর্থাৎ যদি উচ্চতর ডাইমেনশনগুলি সত্যিই বিরাজ করে থাকে (যা লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার গবেষণাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণের জন্য চেস্টা চলছে), তাহলে এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে যে আমাদের মহাবিশ্ব বাদেও রয়েছে অগণিত মহাবিশ্ব।
আমাদের মহাবিশ্ব হল তাদের মধ্যে একটি।

প্রশ্ন জাগতে পারে, ডাইমেনশনের ভেতরে আবার ডাইমেনশন কীভাবে থাকে! একটু কঠিন লাগছে? আরেকটু সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যাক!

ধরে নেই, আমি একটি একটি সরু বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। বাঁশটি আমার কাছে একটি সরলরেখার মতোই, একমাত্রিক। আমি শুধুমাত্র এর দৈর্ঘ্য বরাবরই হাঁটতে পারবো। কিন্তু একটি পিঁপড়ার কাছে বাঁশটি দ্বিমাত্রিক। কারণ সে চাইলে বাঁশের পরিধি বরাবরও ঘুরে আসতে পারবে। ঠিক একইভাবে, আমাদের চারপাশের মাত্রাগুলোর মধ্যেও এমন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা থাকা সম্ভব, যেসকল মাত্রায় আমাদের অধিগমনের ক্ষমতা না থাকলেও অন্য মাত্রায় অধিগমন করার ক্ষমতা অন্য কারোর থাকতেই পারে। আবার, যে পিঁপড়াটি যখন বৃত্তাকার বাঁশের ভেতরের ঢুকবে, তখন তার মনে হবে সে একটি বেলনাকার ত্রিমাত্রিক তলের মধ্যে আছে। এখন ভেবে দেখুন, বাঁশের দ্বিমাত্রিক তলে চলাচল করার সময় সে কিন্তু বাঁশের উপরে শুধুমাত্র একমাত্রিক তলে হেঁটে যাওয়া আমাকে দেখতে পাচ্ছে না। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রবেশ সাপেক্ষে আমরা একে অন্যকে অনেক সময় দেখতে পাইনি। ১১ টি ডাইমেনশনে এই মহাবিশ্বের ধারণা থেকেই মাল্টিভার্স ধারণা আসে। ধারণা করা হয়, আমাদের এই মহাবিশ্বের মাঝেই অন্য কোনো মহাবিশ্ব বিদ্যমান আছে, কিন্তু মাত্রাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে আমাদের সেসকল মহাবিশ্বে অধিগমনের ক্ষমতা নেই।

আমাদের আলাপের একজন দর্শক এর মতামত হলো, আল্লাহর গুণবাচক নামের সাথে ব্যাপারটা সাংঘর্ষিক। আল্লাহ তায়ালার স্বত্তাটাই এমন যে তিনি প্রতিনিয়ত নতুন কিছু সৃষ্টি করে চলেছেন এবং তাঁর সৃষ্টিকুলের মধ্যে কোন সাদৃশ্য নেই। প্রতিটি সৃষ্টিই অনন্য। একটি পৃথিবী নির্মাণের পরে তিনি হুবহু আরো পৃথিবী কেন বানাবেন? এই প্রশ্নের সূত্র ধরে আমাদের আলাপে সূরা তালাক এর সর্বশেষ আয়াত চলে আসে। সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন-

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত। [ সুরা তালাক ৬৫:১২ ]

শ্রেষ্ঠ তাফসিরকার সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘সাতটি পৃথিবী আছে, প্রতিটিতে তোমাদের মতো নবী আছেন, তাদেরও নুহ আছেন যেমন তোমাদের ছিল, তাদেরও ঈসা ও ইবরাহিম আছেন।’ এ হাদিসকে দুর্বল বলে মনে করা হয়। তবে আয়াতের অর্থ সঙ্গতিপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক হওয়ায় হাদিসটি গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া আরেকটি ব্যাখ্যা দিলে সব সংশয় দূর হয়। এ হাদিসে নুহ, ইবরাহিম ও ঈসা (আ.)-এর উল্লেখ রূপকভাবে করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের আদিপিতা আছে, যেমন পৃথিবীবাসীর জন্য ছিলেন আদম। পৃথিবীতে যেমনি ইবরাহিম, নুহ ও ঈসা (আ.)-এর মতো বিশিষ্টজন ছিলেন, তেমনি তাদেরও বিশিষ্টজন থাকবেন। অর্থাৎ ইবনে আব্বাসের উক্তির অর্থ এই নয় যে, গ্রহগুলোতে মানুষই থাকবে বা একেবারে হুবহু আদম, ইবরাহিম ও নুহ থাকবেন, বরং তার কথার অর্থ হলো, তাতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে, তাদেরও আদিজন থাকবে, বংশপরম্পরা থাকবে, বিশিষ্টজন থাকবেন। মজার ব্যাপার হলো Dr. Strange: Multiverse of Madness মুভিতে ইবনে আব্বাসের বর্ণনার মতই হুবহু একটি দৃশ্য আছে যেখানে ঐ পৃথিবীর Avengers দের দেখানো হয়।



আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে এই ব্যাখ্যা বোধগম্য বলে মনে হয়। ভিনগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা ও অনুসন্ধানের আলামত পাওয়ার আগ পর্যন্ত ইবনে আব্বাসের এই দূরদর্শী ব্যাখ্যা দুর্বোধ্য ছিল। ইবনে আব্বাস (রা.) প্রথমে এই তাফসির করতেই চাননি, সাঈদ ইবনে যুবাইর থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন; ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি যদি তোমাকে এর অর্থ বলি তাহলে তুমি কাফের হয়ে যাবে না তার নিশ্চয়তা কি হতে পারে?" (ইবনে জারীর, 'আব্দ ইবনে হুমাইদ)। তবে, ইবনে জারীর, ইবনে আবি হাতেম, হাকিম ও বায়হাকী শু'আবে আল-ইমান এবং কিতাব আল-আসমা' ছিল সিফাত, আবুদ-দোহার কর্তৃত্বে, ইবনে আব্বাসের এই তাফসীরটি বিভিন্ন শব্দে উদ্ধৃত করেছেন।
পৃথিবীর মতো আরও সাতটি পৃথিবী আছে, আল্লামা জামাখশারি তাফসিরে কাশশাফে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে এসব গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্বের ব্যাপারে তার সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না। অবশ্য আল্লামা আল-মাওয়ারদি বলেছেন, ওই গ্রহগুলোতে মানুষ বা প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে, তবে তাদের জন্য ইসলামের বিধান প্রযোজ্য নয়। ইসলামের বিধান কেবল পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য।

وَ مِنۡ اٰیٰتِهٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَثَّ فِیۡهِمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ ؕ وَ هُوَ عَلٰی جَمۡعِهِمۡ اِذَا یَشَآءُ قَدِیۡرٌ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এতদোভয়ের মধ্যে তিনি যে সব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এগুলোকে একত্র করতে সক্ষম। [ সুরা আশ-শূরা ৪২:২৯ ]

এখানে دَابَّةٌ (যমীনে বিচরণশীল জীব) একটি ব্যাপক শব্দ; যাতে মানুষ ও জ্বিন ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত জীব-জন্তু শামিল। যাদের আকৃতি, রঙ, ভাষা, স্বভাব ও রুচি এবং প্রকার ও শ্রেণী একে অপর থেকে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন। পৃথিবীতে এসব প্রাণীর অস্তিত্ব আছে, তা তো চাক্ষুষ বিষয়। কিন্তু আকাশমণ্ডলিতে প্রাণী ছড়িয়ে দেওয়ার অর্থ কী? এর অর্থ নিশ্চয় এটা নয় যে, বায়ুমন্ডলে প্রাণী ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং এর অর্থ হলো, আকাশমন্ডলিতে অবস্থিত পৃথিবী-ভিন্ন অন্যান্য জ্যোতিষ্কে আল্লাহতায়ালা প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ভিনগ্রহ বা ভিন্ন জ্যোতিষ্কে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনার ব্যাপারে এটি অনেকটা সুস্পষ্ট আয়াত। তাই অনেক তাফসিরকার এটা স্বীকার করে বলেছেন যে, পৃথিবী-ভিন্ন অন্য গ্রহে প্রাণী থাকতে পারে। তবে সাফওয়াতুত-তাফাসিরে আল্লামা আলি আস-সাবুনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ভিনগ্রহে প্রাণী থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু মানুষ থাকবে না। তার যুক্তি হলো, পবিত্র কোরআনের আয়াত-

সেখানেই তোমরা জীবনযাপন করবে, সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হবে এবং সেখান থেকেই তোমাদের বের করে আনা হবে।’ [সুরা আরাফ, আয়াত : ২৯]



Dr. Strange: Multiverse of Madness মুভিতে এক ইউনিভার্স থেকে অন্য ইউনিভার্সে, বা এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করতে দেখা গেছে। এই লেখার শুরুতেই ১১টি ডাইমেনশনের কথা বলেছিলাম যার একটি হলো সময় সংক্রান্ত। বিজ্ঞানীদের ধারণা মানুষ যখন সময় সংক্রান্ত ডাইমেনশনে নিজে নিতে পারবে, তখনি মানুষের পক্ষে এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে। এই ধারণার উৎপত্তি একটি মজাদার সমস্যা থেকে যাকে বলা হয় 'গ্রান্ডফাদার প্যারাডক্স'
মনে করুন, কোনো একজন ব্যক্তি সময় পরিভ্রমণ করে অতীতে গিয়ে তার শিশুবয়সী দাদুকে মেরে ফেললো। কিন্তু এটি যদি কেউ সত্যি সত্যি করতে পারে, তবে তার দাদুর তো প্রাপ্তবয়সে পৌঁছানোর কথা না, বিয়ে করার কথা না, বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দেয়ার কথা না, এমনকি নাতী-নাতনী থাকারও কথা না। তাহলে, যদি কেউ অতীতে গিয়ে তার দাদুকে মেরেই ফেলে, তাহলে সেই হত্যাকারী নিজেই বা আসলো কোথা থেকে?



বিজ্ঞানীদের মতে, কেউ যদি অতীত পরিভ্রমণ করতে চায়, তবে সে ওয়ার্মহোলের মধ্যে প্রবেশ করার পরে একই রকমের দেখতে অন্য একটি মহাবিশ্বে প্রবেশ করবে, সেখানে গিয়ে সে যদি তার দাদুর মতো কাউকে হত্যাও করে, তবে তা বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ ওয়ার্মহোলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করা সেই সমান্তরাল মহাবিশ্বে হত্যাকারীর কখনোই কোনো অস্তিত্ব ছিলো না! তাছাড়াও, যেহেতু সময় সবসময় সামনের দিকে এগোয়, কখনোই পেছনের দিকে যায় না, সুতরাং অতীতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে এমন এক মহাবিশ্বে প্রবেশ করা যেখানে সময় উল্টোদিকে প্রবাহমান। আর এই বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা এমন কোনো মহাবিশ্বে সম্ভব যেখানে সময় উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। মূলত এভাবেই সময় পরিভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার উত্তর খুঁজতে গিয়ে মাল্টিভার্সের সম্ভাবনাটি সামনে আসে।

ভাবছেন বিজ্ঞানীদের যতসব গাঁজাখুরী থিওরী! নিম্নের আয়াতগুলোর ব্যাখ্যায় অনেকে মনে করেন ওয়ার্মহোলের কথা কোরআনেও আছে-

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ الَرَ تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ وَقُرْآنٍ مُّبِينٍ
আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো পরিপূর্ণ গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কোরআনের আয়াত। [সুরা হিজর - ১৫:১]
رُّبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَوْ كَانُواْ مُسْلِمِينَ
কোন সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, কি চমৎকার হত, যদি তারা মুসলমান হত। [সুরা হিজর - ১৫:২]
ذَرْهُمْ يَأْكُلُواْ وَيَتَمَتَّعُواْ وَيُلْهِهِمُ الأَمَلُ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
আপনি ছেড়ে দিন তাদেরকে, খেয়ে নিক এবং ভোগ করে নিক এবং আশায় ব্যাপৃত থাকুক। অতি সত্বর তারা জেনে নেবে। [সুরা হিজর - ১৫:৩]
وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلاَّ وَلَهَا كِتَابٌ مَّعْلُومٌ
আমি কোন জনপদ ধবংস করিনি; কিন্ত তার নির্দিষ্ট সময় লিখিত ছিল। [সুরা হিজর - ১৫:৪]
مَّا تَسْبِقُ مِنْ أُمَّةٍ أَجَلَهَا وَمَا يَسْتَأْخِرُونَ
কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না। [সুরা হিজর - ১৫:৫]
وَقَالُواْ يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ
তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ। [সুরা হিজর - ১৫:৬]
لَّوْ مَا تَأْتِينَا بِالْمَلائِكَةِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
যদি আপনি সত্যবাদী হন, তবে আমাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে আনেন না কেন? [সুরা হিজর - ১৫:৭]
مَا نُنَزِّلُ الْمَلائِكَةَ إِلاَّ بِالحَقِّ وَمَا كَانُواْ إِذًا مُّنظَرِينَ
আমি ফেরেশতাদেরকে একমাত্র ফায়সালার জন্যেই নাযিল করি। তখন তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না। [সুরা হিজর - ১৫:৮]
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। [সুরা হিজর - ১৫:৯]
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ فِي شِيَعِ الأَوَّلِينَ
আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি। [সুরা হিজর - ১৫:১০]
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُواْ بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
ওদের কাছে এমন কোন রসূল আসেননি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করতে থাকেনি। [সুরা হিজর - ১৫:১১]
كَذَلِكَ نَسْلُكُهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
এমনিভাবে আমি এ ধরনের আচরণ পাপীদের অন্তরে বদ্ধমূল করে দেই। [সুরা হিজর - ১৫:১২]
لاَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَقَدْ خَلَتْ سُنَّةُ الأَوَّلِينَ
ওরা এর প্রতি বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীদের এমন রীতি চলে আসছে। [সুরা হিজর - ১৫:১৩]
وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا مِّنَ السَّمَاء فَظَلُّواْ فِيهِ يَعْرُجُونَ
যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে। [সুরা হিজর - ১৫:১৪]
لَقَالُواْ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُورُونَ
তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। [সুরা হিজর - ১৫:১৫]
وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَاء بُرُوجًا وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ
নিশ্চয় আমি আকাশে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছি এবং তাকে দর্শকদের জন্যে সুশোভিত করে দিয়েছি। [সুরা হিজর - ১৫:১৬]
وَحَفِظْنَاهَا مِن كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ
আমি আকাশকে প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছি। [সুরা হিজর - ১৫:১৭]
إِلاَّ مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ مُّبِينٌ
কিন্তু যে চুরি করে শুনে পালায়, তার পশ্চাদ্ধাবন করে উজ্জ্বল উল্কাপিন্ড। [সুরা হিজর - ১৫:১৮]

এখানে "আকাশের কোন দরজা খুলে দেওয়া" বোঝাতে অনেকের ধারণা ওয়ার্মহোলের কথা বলা হয়েছে। কারণ আল্লাহ তায়ালা আগে বলছেন "কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না", এরপরেই তিনি বলছেন যদি তিনি আকাশের দরজা খুলে দিয়ে মানুষকে তাতে সারাক্ষণ আসা যাও্য়ার করে সুযোগ দেন, তাতেও মানুষ আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে না। উল্টো মোহগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করবে। এই ধারণাটা রাসূল সাঃ-র চাচা "আবুল হিকাম" থেকে "আবু জেহেল" উপাধি পাওয়াকেও ব্যাখ্যা করে। বর্তমানে যারা মাল্টিভার্স, টাইম ট্রাভেল নিয়ে ব্যাপক হইচইয়ে মত্ত আছে, আল্লাহ যদি তাদের সামনে এটিকে উন্মুক্ত করে দেনও তাও তারা জেনে শুনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আনবে না।



Dr. Strange: Multiverse of Madness মুভিতে কালো জাদুর প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। কালো জাদুর ব্যাপারে বিজ্ঞানের কোন সমর্থন নেই। কালো জাদুর কনসেপ্টটি ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। যেমন ইসলাম ধর্ম কালো জাদুর অস্তিত্বকে স্বীকার করে এবং এটির চর্চাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জাদুর ব্যাপারে ইসলামী আকিদা বুঝতে হলে আগ্রহীদের জন্য বয়ানুল কোরআন এবং তাফসিরে ইবনে কাসির রয়েছে, আর সংক্ষিপ্ত আলোচনার তাওযিহুল কোরআন অথবা মা’রিফুল কোরআন তো আছেই। সুরা বাকারা, ১০২ আয়াতের অংশ- “অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন যাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না” এই আয়াত নিয়েই মুফাসসিরিনে কিরাম অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এখানে সংক্ষেপে একটা আক্বিদা না বললেই নয়, ‘যাদুর শক্তি ইনভিজিবল, মূসা আঃ এর যুগে কিভাবে দড়ি দিয়ে সাপ বানিয়ে ফেললো তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারমানে এটা না, যাদুর নিজস্ব ক্ষমতা আছে। বরং আর দশটা শক্তির মত যাদুও ঐশ্বরিক শক্তির ওপরেই নির্ভরশীল।’ খেয়াল করুন উপরোল্লেখিত আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন “আল্লাহ না চাইলে যাদু দিয়ে তারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না”। সুলায়মান (আঃ)-এর রাজত্বকালে বেঈমান জিনেরা লোকদের ধোঁকা দিত এই বলে যে, সুলায়মান জাদুর জোরে সবকিছু করেন। তিনি কোন নবী নন। শয়তানদের ভেল্কিবাজিতে বহু লোক বিভ্রান্ত হচ্ছিল। এমনকি শেষনবী (সাঃ)-এর সময়েও যখন তিনি সুলায়মান (আঃ)-এর প্রশংসা করেন, তখন ইহুদী নেতারা বলেছিল, আশ্চর্যের বিষয় যে, মুহাম্মাদ সুলায়মানকে নবীদের মধ্যে শামিল করে হক ও বাতিলের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছেন। অথচ তিনি ছিলেন একজন জাদুকর মাত্র। কেননা স্বাভাবিকভাবে কোন মানুষ কি বায়ুর পিঠে সওয়ার হয়ে চলতে পারে? (ইবনু জারীর)। সুলায়মান (আঃ)-এর নবুঅতের সমর্থনেই আল্লাহ তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে হারূত ও মারূত ফেরেশতাদ্বয়কে বাবেল শহরে পাঠিয়ে ছিলেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّيَاطِيْنُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـكِنَّ الشَّيْاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُوْلاَ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلاَ تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُوْنَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللهِ وَيَتَعَلَّمُوْنَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنْفَعُهُمْ، وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ- وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُوْا واتَّقَوْا لَمَثُوْبَةٌ مِّنْ عِنْدِ اللهِ خَيْرٌ، لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ- (البقرة ১০২-১০৩)-

(ইহুদী-নাছারাগণ) ঐ সবের অনুসরণ করে থাকে, যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। অথচ সুলায়মান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে জাদু বিদ্যা শিক্ষা দিত এবং বাবেল শহরে হারূত ও মারূত দুই ফেরেশতার উপরে যা নাযিল হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। বস্ত্ততঃ তারা (হারূত-মারূত) উভয়ে একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা এসেছি পরীক্ষা স্বরূপ। কাজেই তুমি (জাদু শিখে) কাফির হয়ো না। কিন্তু তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যার দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। অথচ আল্লাহর আদেশ ব্যতীত তদ্বারা তারা কারু ক্ষতি করতে পারত না। লোকেরা তাদের কাছে শিখত ঐসব বস্ত্ত যা তাদের ক্ষতি করে এবং তাদের কোন উপকার করে না। তারা ভালভাবেই জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করবে, তার জন্য আখেরাতে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্মবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ, যদি তারা জানতো’। ‘যদি তারা ঈমান আনত ও আল্লাহভীরু হ’ত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত, যদি তারা জানত’ (বাক্বারাহ ২/১০২-১০৩)।



এছাড়াও মুভিতে অন্যের মনকে প্ররোচিত করাও দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে পরাবাস্তব। একচোখা অক্টোপাস এবং সেই অক্টোপাসকে নিয়ন্ত্রণকারীরও এক কপালে একচোখ।



আমাদের আলাপের এই পর্যায়ে একজন দর্শকের মতামত হলো, এইসব কন্ট্রোভার্সিয়াল কনসেপ্ট নিয়ে বর্তমানে মুভি নির্মাণের উদ্দেশ্য দুটি। প্রথমত, খোলা দৃষ্টিতে এখন প্রচলিত জনরার মুভির প্রতি দর্শকের আকর্ষণ কম। তাই এসব পূর্ব আকর্ষিত বিষয়ে মুভি নির্মীত হলে দর্শক টানা সহজ। তাছাড়া ইচ্ছে মত কাহিনী নিয়ে খেলার সুযোগ থাকে। তবে নিগূঢ় দৃষ্টিতে দেখলে দ্বিতীয় কারণ ধরা পড়বে। সেটি হলো এইসব বিষয়গুলোকে নরমালাইজ করে ফেলা। মানুষ যখন একটি বিষয় প্রতিনিয়ত দেখতে শুনতে থাকে, তার কাছে সেটি কম গুরুত্ববহ হয়ে উঠে। ফলে কালো জাদু, মাল্টিভার্স, দজ্জাল, পরাবাস্তব, ইলুমিনিটি এসব একটা সময় মানুষের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ হবে। তখন দাজ্জালকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাবে, তার ফেতনার ব্যাপারে মানুষ কম সচেতন থাকবে। এবং এটি একটি আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের ফসল। আমি তার এই মতামতকে অগ্রাহ্য করতে পারছি না। কেননা-

১। ইবনে আব্বাস এর যে হাদিস আমি প্রথমে উল্লেখ করেছিলাম, সেটি একটি বহুল আলোচিত ও সমালোচিত যইফ হাদিস। এর রাবীদের ত্রুটির কারণে এটিকে যইফ হাদীসের কাতারে ফেলা হয়েছে। যদি সহীহ হতো, তাহলেও এটা ইবনে আব্বাসের নিজের ব্যাখ্যা। এটি তিনি নবী সাঃ এর মুখে শুনে বলেন নি। বরং নিজের ইজতেহাদ দ্বারা বলেছেন, যা বাতিল। তথাপি, সাহাবীদের ইজতেহাদ অবশ্যই উচু মর্যাদা রাখে।
২। মোল্লা আলী ক্বারী তাঁর মউদু আত কাবীর (পৃঃ ১৯) গ্রন্থে ইবনে আব্বাসের এই বর্ণনাকে ফেব্রিকেটেড বলেছেন এবং বলেছেন এই ব্যাখ্যার উৎস ইয়াহুদীদের প্রাচীন ঐতিহ্য হতে।
৩। সোলেমান আঃ এবং জাদুবিদ্যা নিয়েও এরুপ অনেক কল্পিত বর্ণনা আছে। যেমন একটি হলো তাঁর জাদুর আংটি। যা তিনি খুলে রেখে গোসলে গিয়েছিলেন আর এক জ্বীন সেটি পরে নিয়ে তাঁর রূপ ধারন করে সিংহাসনে বসে পড়ে। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) গল্পটি ইহুদি-খ্রিস্টানদের কল্পিত কথা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/৬৭)

অনেক বিক্ষিপ্ত আলাপকে জুড়ে নেও্য়ার এই চেষ্টাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি। এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামতও আমাদের এই আলাপে আরো কড়িকাঠ জোগাতে পারে। সকলকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৫২
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×