অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এ আসছে আমার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ গুণগত অভিমান।
পরিচিতি:
নাম: গুণগত অভিমান
ধরণ: গল্পগ্রন্থ
লেখক: জুনায়েদ খান
প্রচ্ছদ: সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রকাশক: পরিবার পাবলিকেশন্স (স্টল নং- ২৭০)
গুণগত অভিমানের ফ্ল্যাপ লিখেছেন কথাসাহিত্যিক সোহেল নওরোজ।
ফ্ল্যাপ:
জুনায়েদ খানের অনেক পরিচয়। এর মধ্যে গল্পকার পরিচয়টাকেই আমি বড় করে দেখি। গল্পে আটকে রাখার কৌশল সে দারুণভাবে রপ্ত করেছে। তার গল্পে একবার ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না। একটা ঘোর তৈরি হয়। সম্ভবত জুনায়েদের গল্প আমিই সবচেয়ে বেশি পড়েছি কিংবা না পড়ে থাকতে পারিনি! তার বর্ণনার সাবলীলতা প্রবলভাবে টানে। উপমা ব্যবহারের পারঙ্গমতা মুগ্ধ করে। যেমন ‘গুণগত অভিমান’ গল্পে বাবা মারা যাওয়ার অসহায়ত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেছে, ‘তীব্র ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে গেলে যেমন শূন্য শূন্য লাগে, আমার তেমন শূন্য শূন্য লাগতো।’ কিংবা কল্পনার আকাশে ভাসিয়ে নিতে লিখেছে- ‘বৃষ্টিতে সমুদ্র যে এতো মোহ ছড়ায় জানা ছিল না। কত আয়োজন করেই না নোনা জলের সাথে মিঠে জল মিশে যাচ্ছে! নাকি মিশতে বাধ্য হচ্ছে? মিঠে মানুষের সাথেও কি নোনা মানুষ এভাবে মিশে যায়? যায় না বোধহয়! গেলে চন্দ্রও আমার সাথে মিশে যেত!’ আবার হিউমারের সূক্ষ্ম প্রয়োগ তার গদ্যকে রসালো করে তুলেছে। ‘রেবেকা’ গল্পে যেমন করে বলেছে, ‘আনাস বলতো, রেবেকা বদলে গেছে। রেবেকা বলতো বদলেছে আনাস। তারপর একদিন বদলাবদলির বদপ্যাঁচে ওদের ব্রেকআপই হয়ে গেল!’
আগের গল্পগুলোর সঙ্গে এ বইয়ের গল্পগুলোর কিছু তফাৎ ধরা পড়েছে। ঘটনা বর্ণনায় আরও পরিপক্ক হয়েছে জুনায়েদ খানের হাত। কাহিনির গভীরতা ও বিষয়-বৈচিত্রও বেড়েছে ঢের। সুপারন্যাচারাল বা প্যারানরমাল বিষয়েও হাত মশকো হচ্ছে তার। যেটা গল্প-পাঠকদের জন্য আনন্দের। গুণগত এই পরিবর্তন ‘গুণগুত অভিমান’ -এর মান অনেকটাই বাড়িয়েছে, এ কথা বলতেই হচ্ছে।
- সোহেল নওরোজ, কথা সাহিত্যিক
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮