ইন্ডিয়ার ভিসা ফেস করা এক বিরক্তিকর ব্যাপার... টুরি্স্ট ভিসার জন্যও নিজেই গিয়ে হাজিরা দাও। তাই সাফ কথা জানিয়ে দিলাম যাবো না। আমার সিনিয়র কলিগ আমার বন্ধুই.. তো জোর করে ধরলো যেতেই হবে। শুধু তাই নয় সব কলিগের অনলাইন ফর্ম ও পূরনের দা্য়িত্ব দিয়ে দিলো অবলিলায়। কি আর করা... ভিসার দিন তারাহড়া করে ভিসা অফিসে গিয়ে দেখি মা্ত্র ১০ মিনিট আছে জমা দেওয়ার কিন্তু করোরই NOC আনা হয়নি।বহু অনুরোধ করে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ব্যবস্থা করতে হলো।
রাজ্যের নাম মেঘালয়, ঢুকতে হবে সিলেটের তামাবিল দিয়ে। তাই একদিন আগেই রওনা দিলাম।হরতাল মাত্র ভান্গছে আর রাতের ট্রেনের টিকেট তাও আবার অনলাইনে কাটা। যেতে হবে নিদেন পক্ষে আধা ঘন্টা আগে। ইমু আগেই সব ব্যগ গুছিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু বের হতে হতে যথারীতি দেরি। ওদিকে আমার ভাইগ্না ভাইগ্নী ভাইস্তা আর প্রিয় পুত্র সবাই কোরাস যোগ করে দিলো আমার সাথে যাবে। অনেক বুঝটুঝ দিয়ে সবগুলোরে ঠান্ডা করে যেই না বের হইছি কিন্তু কোনো টেক্সি পাই না। অবশেষে না পারতে ব্যাটারী রিক্সাই শেষ ভরষা....।
যখন পৌছআলাম আমার কলিগরা উদিগ্ন মুখে আমারে খুজতাছে। সারা রাত লোহালক্কড়ের আওয়াজ শুনতে চললাম উদয়ন এক্সপ্রেসে...ট্রেনের যা বাহার।
সকালে পৌছে যে হোটেলে উঠলাম বেশ ছিমছাম। তবে পানির বদলে ট্যাংএর শরবত বাথরুমের পানি। বুঝলাম এ দিয়ে গোছল দিলে খবর আছে।
তো কোনরকমে গোছল সাইরে দিলাম একটা ঘুম। জুম্মার দিন আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো হযরত শাহজালাল (র এর মসজিদে জুম্মাটা পরবো।
গিয়ে দেখি জনাকির্ন অবস্থা.... কোন রকমে রাস্তাতেই গামছা বিছিয়ে নামাজ পড়লাম, পরে নামাজ শেষে গেলাম মসজিদের ভিতর। ছায়া ছায়া কেমন জানি শান্ত ভাব এই মহান ব্যক্তিত্বের মাজার ঘিরে। আর পাশেই মাদ্রাসা..কত ছাত্র তাতে ইসলামের মাধুর্য আহরনে ব্যস্ত।
মাজার জিয়ারত শেষে গেলাম জাফলং...বেশ উচুনীচু রাস্তা।
আশেপশে কেবল পাথর ভান্গা মেশিনের ঘরঘর শব্দ আর ধূলি দূষন। জাফলংএ হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত। শিলপাটা আর পাথরের রকমারি পন্যের দোকানে ভরপূর চারধার। ছোট ছোট নৌকো করে চলে যাওয়া যায় একবারে ইন্ডিয়া সীমান্তের কাচাকাছি।
আমরাও একটা ছোট নৌকা ভাড়া করে চললাম। নীচে পাথর আর পাথর উপরে টলটলে পানি। নৌকা চলছে ধীরে ধীরে..লোকজনের বড় আগ্রহ ইন্ডিয়া সীমান্তের কছে যাওয়ার।
ওদিকে বিএসএফ গুলি চিৎকার করে বলছে আর এগুলেই গুলি করে দিমু...। এপাশে বিডিআর রা মুখ পাংশা করে চা খাচ্ছে। বড়ই দুঃখ পেলাম!!
চলবে.।
আলোচিত ব্লগ
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন