আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে আমি একটি কারণেই সমান অপছন্দ করি। কারণ তারা কবরে ফুল দিতে ভালোবাসে, জীবিত মানুষকে ফুল দেয় না। তারা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে অতীতমুখী হতে হতে এ জামানা থেকে আপনাকে চাই কী ফেলে আসা জামানাতেও নিয়ে যেতে পারে। এক দল পাগল মেখ মুজিবকে নিয়ে, অন্যদল জিয়াকে নিয়ে।
মুজিব আমাদের অবিসংবাদিত নেতা। তার ডাকে মানুষ সাড়া দিয়ে যুদ্ধে নেমেছে। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছে। ইতিহাস এই দু'টি কাজের জন্য তাদের চিরকাল মুল্যায়ণ করবে। কিন্তু তাই বলে কি তারা ফেরেস্তা? দেবতা? তাদের সমালোচনা করার কোনো অধিকার সাধারণ মানুষের নেই নাকি? সমালোচনা করলেই দু'দলের নেতারা চরম ক্ষেপে ওঠে। এতো আবেগ রাখবো কই? কিন্তু সেই আবেগের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক কোথায়? সেই সমালোচনা সহ্য করতে পারেনি, কাছের লোকদের দূরে ঠেলে স্তুতিবাজদের ঠাঁই দিয়েছিলেন ব বলে দুই নেতাকেই মরতে হয়েছে। এইবার দেশে মনে হয় আবেগপ্রবণদের আরেকটা দল গঠিত হবে। ইউনুস পার্টি। আসুন আমরা শ্লোগান দেই ইউনুস পার্টি জিন্দাবাদ। আর সব পার্টি মুর্তাবাদ।
শুধু চিক ফ্রেমের চশমা পড়ে উদাস ভঙ্গীতে তাকিয়ে ছাবি তুলে নিয়ে ব্লগে দিয়ে নিয়মিত পোস্ট করলেত তো আর প্রগতিশীল হওয়া যায় না। তাই নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন তাই ইউনুস হাগু করতেও যাবেন না এমন ধারণা যারা পোষণ করেন তাদেরকে আমি মৌলবাদীই বলবো।
দেখেন পাকা ব্যবসায় িকাকে বলে। স্বৈরাচার এরশাদের আমলেও কীভাবে বাগাতে বাগাতে বুশ-ব্লেয়ারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন এই টাকার কুমীর। ভরা মজলিসে এই কথা স্বীকার করে স্বৈরাচার এরশাদকে উচ্ছসিত প্রশংসা করতে একটুও গায়ে লাগছে না ইউনুসের। যদি আমার এই কথা আবেগ হয়, তাহলে যারা শুধু বাঙালি, নোবেল পেয়েছে, জাতি হিসাবে বুক টান করে দাঁড়াবো বলে তার সমালোচনা সহ্য করছেন না তাদের এতো আবেগও কি যুক্তিসংগত?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০