somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রূপকথার গল্প

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"লরন্ত চরন্ত বসন
নাগিনী কন্যা ঘুমাইলে মরন!
ক্রোধ হইয়া করিলে কাজ
অনবিচারে সর্বনাশ।"

আমরা দিনদিন অনেক আধুনিক হচ্ছি। বদলে যাচ্ছে আমাদের চাহিদা, প্রকৃতি। এখন আর মায়েরা ঘুম পারানির গান গেয়ে তাদের সন্তানদের ঘুম পারায় না। কিংবা বাচ্চারাও আর রূপকথার সেসব গল্প শুনার বায়না ধরেনা। এখনতো ছেলে বুড়ো যে কারও হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই হল। ওমনি দিন দুনিয়া ভুলে যায়।
কিন্তু আমাদের শৈশবকাল ছিল ব্যতিক্রম। শৈশবে আমাদের হাতেও স্মার্টফোন ছিল। তবে সেটা ছিল উইপোকার বাসার নরম মাটি দিয়ে বানানো স্মার্টফোন। যার মাথায় নারিকেলের পাতার শলা দিয়ে এন্টিনাও ছিল। আজ অবশ্য স্মার্টফোনের কথা বলবনা। আজ বলব একটি রূপকথার গল্প। ছোটবেলা স্কুল ছুটি পেলেই আমার খালার বাসায় বেড়াতে চলে যেতাম। আমার খালু বেশ কিছু রূপকথার গল্প জানেন। কিছুটা ঠাকুরমার ঝুলির মত গল্পও বলা যায়। মূলত এই গল্প শুনার লোভেই খালার বাড়ি বেড়াতে যেতাম। আর যাওয়ার পর থেকেই খালুকে জালানো শুরু করে দিতাম গল্প বলার জন্যে। রূপকথার গল্পকে আঞ্চলিক ভাষায় একেক এলাকায় একেক নামে বলতে পারে হয়ত। আমাদের এলাকায় এটাকে বলে 'পরস্তাব'। তো নাশতা খাওয়ার পর থেকেই খালুকে বিরক্ত করা শুরু করে দিতাম ১ টা পরস্তাব বলার জন্যে। আর খালু বলতেন, দিনের বেলা পরস্তাব বললে নাকি চোখ কানা হয়ে যায়! তাই অনেক আকুতি করলেও তিনি কখনও দিনের বেলা গল্প বলে শুনাতেন না। আসলে এখন বুঝি, তিনি চাইতেন আমি যেন রাতটাও সেখানে থাকি। আর দিনের বেলা এসব গল্প শুনে আসলেও তেমন মজা পাওয়া যেতনা। সব কিছুরই একটা যথাযথ পরিবেশ লাগে। ঠিক যেমন ভূতের ছবি দেখার জন্যে মাঝ রাত হল উত্তম সময়।
যাকগে, এক সন্ধ্যার কথা বলি। গ্রামের সন্ধ্যা শহরের চাইতেও দ্রুত নামে। চারদিক ততক্ষনে ঘন অন্ধকার হয়ে গেছে। খালু মাগরিবের নামায পরা শেষ করলেন। আমার ছোট্ট মনে তখনই অনেক রাত! খালুকে বললাম, খালু এবার একটা পরস্তাব বলেন। যেহেতু সারাদিন এই একটা জিনিসের জন্য অনেক ভুখিয়ে ছিলাম, আর রাতে গল্প বললে চোখ কানা হয়ে যাবারও ভয় নেই তাই খালু আর আপত্তি করলেন না। তিনি পরস্তাব বলা শুরু করলেন,

এক দেশে ছিল এক সওদাগর। যে কিনা কিছুদিন পরপর সওদা করার জন্যে দলবল নিয়ে জাহাজে করে বেরিয়ে পরতেন। অনেক মাস সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে চেনা অচেনা দ্বীপ, দেশ ঘুরে ঘুরে সওদা করাই ছিল যার কাজ। একবার সওদা করতে বের হলে কেটে যেত মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। সওদাগরের ঘরে ছিল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। কিন্তু এমন এক সময় আসল যে তার আহার সম্পদ সব কিছুই প্রায় শেষের পথে। নতুন সওদাতে না গেলেই নয়। এদিকে স্ত্রীর এমন অবস্থায় সওদা করতে যাবে ভাবতেই মন সায় দিচ্ছিল না। কিন্তু সওদা না করলে তো না খেয়ে মরতে হবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল সওদাতে যাবে। সঙ্গি সাথিদের একত্র করে জাহাজে সওদার জন্যে প্রয়োজনীয় সব মাল নিয়ে সওদার জন্যে রওনা দিয়ে দিল সে। অনেকদিন হয়ে গেল কিন্তু কোন তীর খুজে পাচ্ছিলনা তারা। শেষে বেশ কয়েক মাস ভাসতে ভাসতে ছোট্ট একটা দ্বীপে গিয়ে ঠেকল তাদের জাহাজ। ওখানে নেমেই সওদাগরের মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারন সেখানে সওদা করার মত তেমন কিছুই ছিলনা। সেখান থেকে অন্য কোথাও যাবে এমন চিন্তায় যখন ফিরে আসবে ভাবল, তখনই দেখতে পেল একটা বৃদ্ধ এক টুকরো কাগজ হাতে নিয়ে বসে আছে। সওদাগরের কিছুটা উৎসাহ হল বৃদ্ধকে দেখে। সে তার দলবল সহ বৃদ্ধের কাছে গেল। বৃদ্ধ কে জিজ্ঞেস করল, এটা কি নিয়ে বসে আছ তুমি? বৃদ্ধ বলল, এটাতে কিছু ভবিষ্যত বানী লিখা আছে। সে এটা বিক্রি করতে চায়। সওদাগর কাগজটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করল,
'লরন্ত চরন্ত বসন
নাগিনী কন্যা ঘুমাইলে মরন!
ক্রোধ হইয়া করিলে কাজ
অনবিচারে সর্বনাশ।'
পড়েই সওদাগর হাসতে শুরু করল। কি না কি পাগল ছাগল কি না কি লিখে রেখেছে ভেবে সে বেশ হাসল। কিন্তু আবার কি মনে করে যেন সে কাগজটি বৃদ্ধের কাজ থেকে কিনে নিল। তারপর সেই দ্বীপ থেকে জাহাজ ভাসাল অন্য কোন নতুন জায়গার উদ্দেশ্যে।
কয়েক বছর জাহাজ সমুদ্রে ভাসল কিন্তু কোন কুল কিনারা খুজে পেলনা তারা। শেষে একটা নির্জন দ্বীপে গিয়ে নোঙর ফেলল। চারদিক বেশ নিরব। কোন জনমানব নেই সেখানে। ঘুরতে ঘুরতে একটা আসনালয় খুজে পেল। অনেক সুন্দর করে কিছু আসন পাতা আছে সেখানে। সবাই ঘুরে ঘুরে অনেক ক্লান্ত তাই ভাবল এখানে বসে কিছুক্ষন জিরিয়ে নেয়া যাক। হঠাৎ সওদাগর তার জামার পকেটে হাত ঢুকাতেই বৃদ্ধের কাছ থেকে কেনা কাগজটি হাতে পরল। প্রথম লাইনে লিখা, লরন্ত চরন্ত বসন। সে লিখাটার অর্থ চরিতার্থ করতে লাগল। লরন্ত চরন্ত বসন, মানে কি? লরিয়া চরিয়া বসো। তারপর সে তেমন কিছু না ভেবেই সেই নির্জন দ্বীপের আসনালয়ের একটি আসন ধরে হালকা নাড়া দিল। আর অমনিতেই সবগুলো আসন ভেঙ্গে চূরমার হয়ে শত শত হাত মাটির নিচে পরে গেল। সওদাগরের আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা ছিল একটি মরন ফাদ। দূর দূরান্ত থেকে সওদাগরদের এভাবেই ফাদে ফেলে ওদের সব অর্থ সম্পদ লুট করে নিত সেই দ্বীপের লোকেরা। সেখানে আর এক মুহূর্তও দেরী না করে তারা নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা হল।
আরও বেশ কিছু মাস ভাসতে ভাসতে সওদাগরের জাহাজ একটা জনবহুল দ্বীপে গিয়ে ভিড়ল। সেখানে নেমেই তারা প্রচুর জিনিসত্র কেনাকাটা করল। সেই দ্বীপে প্রধান ছিল এক রানী। তার রাজ্যে দূর দেশের এক সওদাগর এসে প্রচুর মালপত্র কেনাকাটা করার খবর রানীর কানে পৌছে গেল। রানী ভাবল এত কিছু সওদা করছে যেহেতু নিশ্চই প্রচুর ধনী সওদার হবে। তাই সে সওদাগরকে তার দলবল সহ রানীর সাথে মজলিসে বসে খাবারের দাওয়াত দিল। সওদাগর তো এ দাওয়াত পেয়ে ভীষন খুশি হল। সে দলবল নিয়ে হাজির হল রানীর মজলিসে। সেখানে রানীকে দেখে সওদাগর মুগ্ধ হয়ে গেল। এত রূপবতী রানী সে আগে কখনও দেখেনি। যেমন রূপ তেমনি তার যৌবন। খেতে খেতে কথা বলার এক পর্যায়ে রানী সওদাগরকে তার সাথে বিয়ে করার প্রস্তাব দিল। সওদাগরের মনেহল এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। এক মুহূর্তে সে তার বাড়িতে ফেলে আসা বউ এর কথাও ভুলে গেল। রানীর সৌন্দর্যের কাছে ম্লান হল সবকিছু। সওদাগর বিনা বাক্যে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল। এবং তাদের বিয়ে হল।
বাসর রাতে সওদাগর তার মনের রানীকে আপন করে কাছে পেল। ঘুমাতে যাবার আগে কি মনে করে যেন সে বৃদ্ধের কাছ থেকে কেনা ছোট চিরকুটা এমনিই পড়তে লাগল। 'লরন্ত চরন্ত বসন, নাগিনী কন্যা ঘুমাইলে মরন!' এতটুকু পড়েই সে থামল। এবার তার মনেও একটু খটকা লাগল। সে শুয়ে পড়ল কিন্তু ঘুমালো না। ঘুমানোর ভান করে চুপ করে শুয়ে থাকল। গভীর রাতে যখন রানী ঘুমিয়ে পরল, সওদাগর দেখতে পেল রানীর নাকের ছিদ্র দিয়ে বিশাল সাপ বেরুচ্ছে। সাথে সাথে সে তার তলোয়ার দিয়ে সাপসহ নাগিনী রূপি রানীকে হত্যা করল।আর সেই দ্বীপ থেকে প্রস্থান করল।
এভাবে ঘুরে ঘুরে সওদা করতে করতে প্রায় দের যুগ ধরে সে সওদা করল। তারপর সওদাগর ভাবল, অনেক তো হয়েছে। এবার তবে দেশে ফিরা যাক। সে তার দলবল ও জাহাজাদি নিয়ে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হল। অনেক বছর পর বাড়ি ফেরাতে সবকিছুই কিছুটা অচেনা লাগছিল। সে যখন নিজ গৃহে ফিরল তখন সূর্য অস্ত যায় যায় অবস্থা। ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় দেখল তার স্ত্রী এক পরপুরুষ যুবকের সাথে কথা বলছে। এটা দেখে সওদাগরের পায়ের রক্ত মাথায় গিয়ে উঠল। সে প্রচন্ড রেগে গেল। ভাবল, তার অগোচরে তাহলে তার স্ত্রী পরপুরুষের সাথে থেকেছে। সে সিদ্ধান্ত নিল এই পরপুরুষ যুবককে সে মুন্ডু কেটে হত্যা করবে। তলোয়ার বের করে হত্যার জন্যে পা বাড়াবে এমন সময় তার মনেহল, বৃদ্ধের কাছ থেকে কেনা চিরকুট টা একটু পড়ে দেখা দরকার। সে পকেট থেকে কাগজটা বের করে পড়তে লাগল।
'লরন্ত চরন্ত বসন
নাগিনী কন্যা ঘুমাইলে মরন!
ক্রোধ হইয়া করিলে কাজ
অনবিচারে সর্বনাশ।'
শেষের লাইন দুটা পড়ে সে থমকে দাড়াল। যার অর্থ রাগের মাথায় কোন কাজ করলে তার ফলাফল কেবল সর্বনাশই ডেকে আনে। তাই সে নিজের রাগ কে কিছুটা দমন করার চেষ্টা করে ঘরের ভেতরে ঢুকল। এত বছর পর সওদাগরের স্ত্রী তার স্বামীকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। সওদাগর তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, এই ছেলেটি কে? তার স্ত্রী উত্তর দিল, উমা, নিজের ছেলেকে চিনতে পারছোনা? মুহূর্তেই সওদাগরের সব মনে পড়ল।
সে সওদা করতে যাবার সময় যে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল এ কথা সে ভুলেই গিয়েছিল। প্রায় দের যুগ পেরিয়ে গেছে। তার নিজের সন্তানও এখন যুবক হয়েছে। আর সে কিনা ভুল বুঝে আর একটুর জন্যে নিজের ছেলেকেই হত্যা করতে চেয়েছিল! সে মনে মনে অনেক খুশি আর আশ্চর্যিত হল বৃদ্ধের লিখা সেই চিরকুটটির কথা ভেবে। যে ভবিষ্যত বানীগুলো তার প্রান বাঁচিয়েছে একাধিকবার। সে তার দলবলদের হুকুম দিল এই বৃদ্ধকে যেখান থেকেই পারুকনা কেন খুজে নিয়ে আসতে। বৃদ্ধের জন্যে রয়েছে অনেক পুরষ্কার। বৃদ্ধের খোজে সেদিনই একটি জাহাজ রওনা হল।

মূল গল্পটা এখানেই শেষ। গল্পের পড়া ও বুঝার খাতিরে আমি অল্প কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করেছি। তবুও খারাপ লেগে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আজকালের জমানায় এরকম গল্প জানা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যারাও অল্প কিছু জানেন কিন্তু তাদের গল্প শুনার মত মানুষ নেই বললেই চলে। অথচ একটা সময় এ গল্পগুলো শুনার জন্যে আমি মুখিয়ে থাকতাম। বক্তা যখন গল্প বলত তখন আমি হারিয়ে যেতাম গল্পের সেই রাজত্যে। মাথার ভেতরে মস্তিষ্ক তার আপন মহিমায় গল্পের সাথে মানানসই চিত্র এঁকে যেত প্রতিনিয়ত। আমরা সবাই জানি বই পড়া ব্রেইন ডেভলাপের জন্যে কতটা জরুরি। কারন বইতে কোন কিছু পড়লে সেই লিখিত কথাগুলো যখন আমাদের ব্রেইন কল্পনা করতে থাকে তখন ব্রেইনের একটা অদ্ভুত ব্যায়াম হয়। যা কিনা আমাদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এর জন্যে অত্যন্ত সহায়ক। লাইব্রেরি শব্দটা শুনলে আমাদের প্রায় সবার মনেই এমন একটা চিত্র ভেসে আসে যে সেখানে শুধু হাজার হাজার বই থাকবে। মানুষ বই ধার নিয়ে পড়বে আর ফেরত দিবে। অনেকের হয়ত অজানা থাকতে পারে যে, বড় বড় লাইব্রেরি গুলোতে স্টোরি টেলিং নামের প্রোগ্রাম হয়ে থাকে। যা কিনা বিশেষ কোন ফিচার না। বরং লাইব্রেরির সাধারন কাজেরই একটি অংশ। ইদানিং তো মানুষের পড়ার আগ্রহ এতটাই কমে গেছে যে আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস যদি পাঁচ লাইনের বেশি হয় তাহলে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ সেটা পড়বেনা। সবাই শুধু এখন দেখতে চায়। শুনার ক্ষেত্রেও অপারগতা এসেছে প্রায় সবার মনে। আমি মনেকরি এরকম পুরাতন রূপকথার গল্পগুলো আমাদের সংগ্রহ করা উচিত। আর যারা এমন গল্প জানেন, তাদেরও উচিত উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে না কাউকে গল্পগুলো শিখিয়ে যাওয়া। যেন আরও কিছু বছর অন্তত গল্পগুলো টিকে থাকতে পারে। এসব গল্প যে একটি কোমল ছোট্ট মনে কতটা পজিটিভ ইফেক্ট ফেলতে পারে আমি নিজেই তার জলজ্যান্ত প্রমান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×