মনে হয় তালেবানরা তাদের পুরানো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কাবুল বিজয়ে তারা যথেষ্ট মানবিকতর পরিচয় দিয়েছে। কাবুলে হয় নাই কোন লুটতরাজ, দাঙ্গাহাঙ্গামা, খুন-খারাবি। জঙ্গি ভাবধারা আর তাদের ভিতর পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তারা যদি ইসলামের সঠিক শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনা করে এবং বহির্বিশ্বের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। তবে তাদেরকে ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক ভাবধারায় ফিরে আসতে হবে।
কিন্তু তারা যদি আগের মতো মূর্খতার পরিচয় দেয় এবং আশেপাশের দেশগুলোর জঙ্গি গোষ্টিকে উসকে দেয় তবে তারা ১ম ভুলের খেসারত যেমন ২০ বছর দিয়েছে দ্বিতীয় ভুলে হয়তো আরো বেশি কিছু হারাতে হতে পারে।
এদিকে আমাদের দেশের কোন কোন সম্প্রদায় তাদের বিজয়ে পুলকিত হচ্ছে। এতো পুলকিত হওয়ার কোন কারণ আমি দেখছি না। তাদের বিজয় সহজ হওয়ার কারণ তারা লড়েছে বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে। এজন্য তারা তাদের নিজ সেনাবাহীনির প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা পেয়েছে। এই সেনা সদস্যরা এতোদিন আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহারের সাথে সাথে তারা একপ্রকার আত্মসমর্পনের নাটক করে তালেবানদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করল। যাহোক প্রাণহানী না হওয়ায় শুকরিয়া।
এখন তাদের শাসন ব্যবস্থা কি রকম হয় তা অবলোকন করবে বিশ্ববাসী। ১৯৯৬-২০০১ সময়কার সেই দম বন্ধ করা অন্ধকার যুগের শাসনে তারা নিশ্চই আবার ফিরে যাবে না। এখন আর শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী স্বাধীনতার মত গুরুত্বপুর্ণ ইস্যুগুলোর ব্যত্যয় ঘটাবে না। যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে তাদের। এবার হয়তো বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার আফগানিস্থানকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাবে তারা। বিজয় পরবর্তি তাদের আচরণে তাই অনুমেয়। তোমাদের জনগণের শান্তি, আমাদের স্বস্তি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৮