ছবিঃ নেট
আমরা আগুনে ঘি ঢেলে মজা দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা/মানসিকতা কয়জনের আছে? একটা সন্ত্রাসকে কখনো আরেকটা সন্ত্রাস দিয়ে বন্ধ করা যায় না। এতে সন্ত্রাসের লেলিহান শিখা আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পরে।
২০ বছর আগে এক সন্ত্রাসকে দমনের নামে আফগানিস্থানে যে সন্ত্রাস গেড়ে বসেছিল – আজ তার অবসান হলো। লক্ষাধিক নীরিহ প্রাণ সন্ত্রাসের বলি হয়েছিল এবং হচ্ছিল। বাইডেন প্রশাসনের যোগ্য কূটনীতির কারণে আজ সেই সন্ত্রাসের অবসান হয়েছে। এক সময়ে যাদের ভিতর ছিল উগ্রতা, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা – আজ তারা রাষ্ট্রিয় শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। বাইডেন প্রশাসনই পেরেছে নিজেদের ইগোকে বিসর্জন দিয়ে তালেবানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।
অনেক ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, উদারপন্থি গোষ্ঠি বাইডেনের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেন? আসলে তারা অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশের আড়ালে পুরোটাই সাম্প্রদায়িক। তাদের মন মানসিকতা একটা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবসময় কাজ করে। তারা উদার পন্থার নামে উগ্র পন্থাকে উসকে দেয়। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে তাদের অপছন্দের শ্রেণীকে ধর্ম পালনে বাধার সৃষ্টি করে। আজ বাইডেনের যুগান্তকারি সিদ্ধান্তে সে সব শ্রেণীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তারা বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিল। মনে হচ্ছে তারাই আইএসকে উস্কে দিয়েছিল কাবুল বিমান বন্দরের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে বোমা হামলা করতে। যাতে বাইডেন তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পাল্টা হামালায় লিপ্ত হয়। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টায় প্রভাবিত না হয়ে বাইডেন প্রশাসন তার সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে শান্তির ইতিহাস রচনা করলেন। হয়তো তার দেশে সাময়িক জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু অচিরেই এর সুফল আমেরিকাবাসি ভোগ করবে। তখন তার জনপ্রিয়তা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করবে।
সমালোচকদের মুখে চুনকালি দিয়ে বিশ্বে যে শান্তির সুবাতাস তুমি বইয়ে দিলে, এজন্য স্যালুট তোমায় ”বাইডেন”।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৭