১. রণন আর নাছের দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
রণন: বুঝলি নাছের, সুলেখাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন আর বাসি না।
নাছের: কেন?
রণন: মেয়েটা কানে কম শোনে।
নাছের: কী করে বুঝলি?
রণন: আমি ওকে বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ও বলল, আমার পায়ের স্যান্ডেলটা নতুন!
২. শিক্ষক: পাঁচ থেকে দুই বিয়োগ করলে হাতে কত থাকে? ছাত্র: জানি না, স্যার। শিক্ষক: তুই একটা আস্ত গরু। ছাত্র: স্যার, আমি তো এখনো ছোট। আমাকে বাছুর বলবেন, স্যার।
৩. মালিক : আচ্ছা, দোকানে যে পচা ঘি ছিল সেটা কে কিনেছে? কর্মচারী : সফিক সাহেব। মালিক : পচা আটা, পচা ডিম আর মেয়াদোত্তীর্ণ নকল সেমাই? কর্মচারী : সেগুলিও সফিক সাহেবই নিয়েছেন। মালিক : এ্যাঁ!! কর্মচারী : কেন! কী হয়েছে? মালিক : তুই করেছিস কী? আরে, আজ তো সফিক সাহেবের বাসাতেই আমার দাওয়াত!!
৪. মহাশূন্যে কী করা সম্ভব নয়? :
গলায় দড়ি দেওয়া।
৫. রঞ্জু মিয়া বড়ই কৃপণ। একবার তিনি গেছেন কলা কিনতে।
রঞ্জু মিয়া: কি ভাই, এই ছোট্ট কলাটার দাম কত?
বিক্রেতা: তিন টাকা।
রঞ্জু মিয়া: দুই টাকায় দেবে কি না বলো?
বিক্রেতা: বলেন কি! কলার ছোকলার দামই তো দুই টাকা।
রঞ্জু মিয়া: এই নাও এক টাকা। ছোকলা রেখে আমাকে কলা দাও!
৬. শিক্ষক: বলো তো ছটকু, তোমার বাবা শতকরা ১০ টাকা হার সুদে ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিলেন, এক বছর পর তিনি ব্যাংককে কত টাকা দেবেন?
ছটকু: কোনো টাকাই দেবেন না, স্যার।
শিক্ষক: গাধা! এখনো এই অঙ্কই জানো না?
ছটকু: আমি অঙ্ক জানি, কিন্তু আপনি আমার বাবাকে জানেন না, স্যার!
৭. এক কিপটে গেছে চিরুনি কিনতে।
কিপটে: ভাই সাহেব, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে কিনা…।
দোকানদার: একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে নেওয়া যায়।
কিপটে: না রে, ভাই, ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে!
৮. এক সুন্দরী মহিলা গেছে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে: ছার, আমার ইজ্জত লুইট্যা লইসে এক বজ্জাত, লম্পট ক্রিকেটার।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ক্রিকেটার?
মহিলা: ওই লুকের হাতে গলাভস, মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড আছিলো। আর আমার মুনে হ্য় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান আশরাফিল আছিলো।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ওইডা আশরাফিল?
মহিলা: আরে বেশীক্ষণ টিকে নাই তো। শুরুর লগেই শ্যাষ।
৯. এক পোস্টমাস্টার গেছে দাওয়াত খাইতে, কিন্তু ভুলে বেচারা প্যান্টের চেইন লাগায় নাই
পার্টিতে এক লোকের তা দেইখা তো আক্কেল গুড়ুম। সরাসরি তো আর বলা যায়না যে চেইন খোলা। তাই সে কায়দা কইরা বলল, ভাই, আপনার পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু পোস্টমাস্টার ইংগিতটা বুঝলো না, সে কয়- না না , পোস্টঅফিসে আমি নিজের হাতে তালা মাইরা আইছি। খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়, পোস্টমাস্টার বুঝে না, কয় বন্ধ, বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ।
তো লোকটা হাল ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো। পরে পোস্টমাস্টার বাসায় ফিরা দেখে তার চেইন খোলা। সাথে সাথে সে সব বুঝলো, বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক শরম। কিছুক্ষণ ঝিম মাইরা থাইকা ফোন করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই, এইবার আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন। তা ভাই যখন খোলা আছিলো, তখন কি পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?
১০. বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।
বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।
হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, ‘বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?’
রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, ‘পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।’
আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।
নার্স আবারো মুচকি হাসলো। ‘হুম, রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন।’
রিয়াদ সাহেব আবারো গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, ‘পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।’
বছর দুয়েক পর আবার খোকা হলো তাঁর।
নার্স কিছু বলার আগেই রিয়াদ সাহেব বললেন, ‘পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।’
নার্স মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে এবার তেল পাল্টে নিন স্যার। আপনার এবারের বাচ্চাটার চুল সোনালি।’