জরীপে দেখা গেছে যে প্রতি মাসে টার্গেট রিভিউ করে এমন ৫০% এরও বেশি কোম্পানী আর্থিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে শীর্ষ ২৫টির মধ্যে রয়েছে, যেখানে মাত্র ২৪% প্রতিষ্ঠান বছরে একবার রিভিউ করে নিম্নহারের একই বৃত্তাবদ্ধ হয়ে আছে । এটাও দেখা গেছে যে প্রতিষ্ঠানগুলো যারা লক্ষ্যমাত্রা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্জনের জন্য কাজ করে, তারা বার্ষিক লক্ষ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত তাদের সমকক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ৩০% বেশি রেভিনিউ পায়
ম্যানেজমেন্ট চিন্তাধারার নেতারা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছেন যে পারফরমেন্স ম্যানেজমেন্ট মানব-সম্পদ ব্যবস্থাপকের দৈনিক কাজের অংশ হওয়া উচিত এবং বছরে একটি বা দু’টি পারফরমেন্স মূল্যায়ন এখন আর সময়োপযোগী নয় ।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯৫% ম্যানেজার তাদের প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কর্ম-মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সাথে একাত্ম নন, এবং ৭৫% কর্মী বার্ষিক রিভিউকে অন্যায্য হিসাবে দেখেন। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাত্র ৮% কোম্পানি বিশ্বাস করে যে সনাতন পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া তাদের লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখে; এর অর্থ হল, ৯২% কোম্পানী বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে অচল মাল মনে করে ।
বার্ষিক মূল্যায়নের বিকল্পের খোঁজ করার সময়, চলমান পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট (Continuous Feedback System) একটি কার্যকর সমাধান হিসাবে আবির্ভূত হয় যা আধুনিক ব্যবসার গতির পরিপূরক এবং এর গতিকে সমর্থন করে ।
এটাই প্রমানিত সত্য যে বহু সংখ্যক কোম্পানী তাদের ট্রাডিশনাল মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ম্যানেজারদের অদক্ষতা এবং সীমাবদ্ধতার কারনে যোগ্য লোক হারিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে, সূতরাং, এখনই হচ্ছে চলমান পারফরমেন্স ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে ট্রানজিশনের সর্বোত্তম সময় ।
কোন প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রক্রিয়া পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্টকে ধারাবাহিক, সার্বিক ও একটি পরম্পরাগত সম্পর্কের ভিত্তিতে সবসময়ের জন্য সারা বছর ধরে চলমান রেখে কর্মীদের পার্ফরমেন্স মূল্যায়ন করা হলে তাকে চলমান পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট বলা হবে । এটি এমন একটি পদ্ধতি, যা বছরে একবার বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্দতিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং এর বিরোধিতা করে।
এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট হচ্ছে দ্রুত ও স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারন ও মূল্যায়ন, যেহেতু পার্ফরমেন্স ফিডব্যাক প্রায়ই হয়ে থাকে, তাই এটি ব্যবস্থাপক এবং কর্মীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর, বিশ্বস্ত এবং প্রামাণিক কাজের সম্পর্ক সহজে গড়ে ওঠে।
চলমান পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির তিনটি অংশ রয়েছে-
১ । স্বল্প-মেয়াদী উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নির্ধারণ,
২ । ওয়ান-টু-ওয়ান রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক,
৩ । নিয়মিত ত্রৈমাসিক মিটিং
....চলমান..পরবর্তী পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০