কেন্দ্রীয় কারাগার।
জেলার এসে আমায় জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কি খেতে ভালো লাগে ?
আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, স্যার আজই কি আমার ফাঁসি হবে ?
জেলার বললেন, না, আমার স্ত্রী ভালো রান্না করেন, তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম।।
যদিও কিছুক্ষণ পরই জানতে পারলাম আজই আমার শেষ দিন !!
জীবনের ক্রান্তি লগ্নে এসে অনেক কিছুই মনে পরে যাচ্ছে,
প্রথমদিন স্কুলে যাওয়া, হাইস্কুলের বন্ধুদের আর স্কুল পালানো,
প্রেমিকার প্রথম হাত ধরা, কিংবা প্রথম চুম্বন!!
মনে পড়ে যাচ্ছে পরিবারের সবাইকে,
আচ্ছা স্বর্গে গেলে পরিবারের সবাইকে পাওয়া যায় তো ?
নাহলে আমি স্বর্গেও যাবো না।।
আমাকে যে খাবার দেয়, সে এসে গল্প শুরু করে দিলো,
: ভাইজান, এখানে আসলেন কিভাবে ?
:ভার্সিটি পাস করে জবে ঢুকেছি, ৩দিন পর ঈদ আর ৫দিন পরে আমার বিয়ে,
প্রেমের বিয়ে হতে যাচ্ছিল, তাই আমার দিনগুলি কাটছিল না,
সেদিন ছিল সবে কদরের রাত,
বাসার সব ছেলেরা গ্রামে ঈদ করতে গেছে, আমরা ছিলাম মাত্র ২জন,
অফিস থেকে ফিরে টিউশনিতে যেতাম। আমার স্টুডেন্ট দের ঈদের ছুটি দিলাম।
ঈদ আর আমার বিয়ের জন্য ছুটিও নিলাম।
আমার বিয়ের দাওয়াত কার্ড দিলাম ।
: ভাইজান, আপনার বিয়ের আর স্টুডেন্ট দের গল্প শুনতে চাচ্ছি না,
কাকে খুন করেছিলেন সেটা বলুন।
: তো হঠাৎ আমার রুমমেটের নাম্বার থেকে কল আসলো,
আমি রিসিভ করলাম কিছুই শোনা গেল না, কিছুক্ষণ পর কল কেটে গেল,
আমি কলব্যাক করতেই দেখি ফোন বন্ধ।
আমি টিউশনি থেকে খুব দ্রুত রুমে ফিরলাম। এসেই দেখি আমার রুমমেটের রক্তাক্ত লাশ !!!
লেখকঃ কাক্তারুয়া আল-আমীন
১৪-১০-২০১৬