১। বাংলাদেশের লোকজন এর খাওয়ার ভিডিওগুলি দেখলে চমকে উঠি..। খাওয়ার ভিডিওতে ইউটিউব সয়লাব (জ্ঞান আহরন এর ভিডিও হাতে গোনা)। খালি মুখরোচক খাওয়া, নিউট্রিশন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই। ফলাফল ডায়াবেটিক হাসপাতাল এর মেঝেতেও রোগী রাখার ও যায়গা নাই। বাংলাদেশী দের খাওয়ার অভ্যাস বিশেষ করে ভাত খাওয়ার পরিমান দেখে টাশকিত। ভাত বিশেষ করে সাদা গরম ভাত খাওয়ার পর সুগার এর যে সুপার সার্জ//স্পাইক হয়, সেটা দিন ভর চলতে থাকে..দুপুর এর সার্জ/স্পাইক কমতে কমতে বেইস লাইনে আসার আগেই আবার বিকাল এর নাস্তার স্পাইক, সেটা কমতে না কমতেই রাতের ভাত এর স্পাইক। তো আপনার আর্লি এজই এমন সারাক্ষন সুগার স্পাইক এর মাঝে থাকলে, ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা কমতে কমতে ফুল ব্লোন ডায়াবেটিস হতে বয়স বেশী লাগে না (তার উপর সাউথ এশিয়ান জিন তো আছেই)। জাস্ট ভাত খাওয়ার আগে এবং পরে সুগার এর কত পরিমান স্পাইক হয়, তার উপর শয়ে শয়ে ভিডিও আছে ইউটিউবে। তবে ভাত থেকে সুগার স্পাইক কমাতে নিচের পদ্ধতি ইউজ করতে পারেন।
সাদা গরম ভাত অলমোস্ট পিউর কার্বহাইড্রেট, তাই সহজেই সুগার স্পাইক হয়, তবে আপনি যদি রান্না করার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করেন, তারপর গরম করে খান তখন ভাতে অনেক রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এ পরিনত হয়, তখন আর সহজেই সুগার স্পাইক হয় না। ব্রাউন রাইস তো আছেই কম সুগার স্পাইক হওয়ার জন্য কিন্তু আর্সেনিক এর ভয় বেশী ব্রাউন রাইসে।
২। রিভেন্জ পর্ন এর খপ্পড়ে পরে অনেক মেয়েকে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে আমরা দেখি। কিন্তু কম্প্রোমাইজড ছবি ব্যবহার করে দিনকে দিন ব্ল্যাকমেইল করতে ও দেখা যায়। তবে এর সমাধান হল, এই সমস্ত ছবি/ভিডিও কে অনলাইন থেকে সরানো এমন ভাবে যেন সরানোর পর আবার কপি করে আপলোড করা না যায়। আর এই ব্যবস্হা এর জন্য https://stopncii.org/ এর ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন। তারা খুবই ইফেক্টিভ অনলাইন থেকে কম্প্রমাইজড ছবি সরানোর কাজে হেল্প করার জন্য
৩। সকালে চা/কফি খাওয়া মনে হয় পৃথিবীর সকল লোক এর অভ্যাস। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে, শরীর এ ক্যাফেইন থেকে যে বিরূপ ইফেক্ট হয়, সেটা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। তিনটা নিয়ম: ঘুম থেকে উঠার এ্যাট লিস্ট ১ ঘন্টা পরে চা/কফি খাওয়া উচিত কেননা ঘুম থেকে উঠার পর পরই স্ট্রেস হরমোন করট্রিসল স্পাইক হয়, তার উপর যদি কফি/চা এর ক্যাফেইন এর চাপ পড়ে তো সারাদিন ই স্ট্রেস হরমোন আপানকে তাড়িয়ে বেড়াবে। তার উপর চা/কফি হল diuretic- শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় বেশী। সারা রাত আপনি পানি না খেয়ে যদি সকালে উঠেই চা/কফি খান তাহলে diuretic ইফেক্ট আরো বেশী হবে। তাই পানি খেয়ে তবেই চা/কফি সকালে খাওয়া উচিত
দুই: সপ্তাহে এ্যাট লিস্ট একদিন চা/কফি খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত। ক্যাফেইন ছাড়া চা/কফি বা অন্য কোন মাইল্ড পানীয় খেতে পারেন একদিন। এর বৈজ্ঞানিক কারন হল যে আমাদের ব্রেইন এ একটা ক্যামিক্যাল আছে নাম adenosine. আর adenosine যখন তার জন্য তৈরী স্পেসেফিক প্রোটিন (রিসিপ্টর) এর সাথে যুক্ত/বেধে যায়, তখনই আমরা টায়ার্ড ফিল করি এবং ঘুম চলে আসে। কিন্তু চা/কফির ক্যাফেইন- adenosine এর যে প্রোটিন এর সাথে যুক্ত হয়, সেই প্রোটিন এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়, ফলে adenosine আর তার প্রোটিন এর সাথে যুক্ত হতে পারে না, ফলাফল: চা/কফি খাওয়ার পর উজ্জবীত (নো ঘুম)। তবে যাতে adenosine বাইন্ড করতে পারে, তার জন্য চা/কফির পর ব্রেইন অতিরিক্ত পরিমান এর adenosine রিসিপ্টর তৈরী করতে থাকে। তখন আর অল্প চা/কফিতে ঘুম চলে যায় না, দিন দিন চা/কফির পরিমান বাড়াতে হয় টায়ার্ডনেস দুর করার জন্য। আর যদি চা/কফি না খান, তাহলে খুব সহজেই এর্নাজি ক্রাশ করে, কেননা ব্রেইন এ অতিরিক্ত পরিমান এর adenosine রিস্পেটর থাকে যার সাথে বেশী বেশী adenosine বাইন্ড করে বেশী বেশী টায়ার্ড- ফলাফল এনার্জী ক্রাশ (সহজেই টায়ার্ড হয়ে পড়া)।
তাই মাঝে মাঝে কফি/চা না খেলে, ব্রেইন রিসেপ্টর এর লেভেল কে রিসেট করে বেইস লেভেলে নিয়ে আসে, তখন আর আপনার এনার্জীি ক্রাশ হবে না। ব্রেইন বেশী বেশী করে রিসেপ্টর বানায় শুধুই চা/কফির ক্যাফেইন এ কে কাউন্টার করার জন্য।
তিন হল: ঘুমাবার এ্যাটলিস্ট ৭-৮ ঘন্টা আগেই চা/কফি খাওয়া স্টপ করা দরকার
৪।
মানুষের বেশীর ভাগ রোগ শোকই হয় কেয়ার ফ্রি জীবন যাপন থেকে আর বাংলাদেশে তো স্বাস্হ্যসচেনতা তৈরী করার মত পরিবেশ কোন সরকারই তৈরী করে নাই। সামান্য ইনভেস্টমেন্ট করে কিন্তু ব্যাপক ভাবে প্রিভেন্টএবল রোগ গুলিকে প্রতিরোধ করা কোন ব্যাপারই নয়। মানুষ যেহেতু সচেতন নয়, সমগ্র দেশব্যাপী সবার ই বছরে একবার কমিউনিটি ক্লিনিকে টেস্ট করানো বাধ্যতামুলুক করা দরকার (না হলে কোন সরকারী ভোটার/আইডি কার্ড দেওয়া হবে না)। সবচেয়ে কম খরচ হবে সুষম ভিটামিন খাওয়া নিস্চিত করতে সবাইকে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট বিনা পয়সায় বিতরন করা, প্রেশার চেক করে যদি বেশী হয়, ঔষুধ দেওয়া (বেশীর ভাগ লোকই জানে না যে তাদের হাই প্রেশার আছে), সুগার এর পরিমান বেশী হলে, মেটফরমিন টেবলেট দেওয়া ইত্যাদি ছোট ছোট কিন্তু দরকারী ইন্টারভেনশন।
৫। কিছু দরকারী ওয়েব সাইট: প্রায় সময়ই কোন ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলেই আপনার ইমেইল দিতে হয়, পরে সেই ইমেইলে দেখবেন যে নানা রকম জাং ইমেইল আসা আরম্ভ হয়। তাই কিছু সময় এর জন্য টেম্পোরারি ইমেইল ব্যবহার করে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এখানে পাওয়া যায় টেম্পোরারী ইমেইল https://temp-mail.org/
- আপনার হাতে আকা আউটলাইন দেখে, এই ওয়েব সাইট সুন্দর ছবি একে দেয় https://autodraw.com/
- ফ্রি পিডিএফ এডিটর https://www.pdfescape.com/
- ফ্রি ফ্লো চার্ট, ওর্গানাইজেশন চার্ট ইত্যাদি আকার জন্য: https://draw.io
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৩৮