আমার লেখালেখির প্রথম প্লাটফর্ম; প্রিয় সামু'র সাথে একটা সুখবর শেয়ার করতে চাই।
ইনশাআল্লাহ আগামী বইমেলা ২০২৩ কিম্বা তার আগেই স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা নয়া উদ্যোগ থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার প্রথম বই - জশ ব্যাযেলের বিট দ্য রিপার এর রূপান্তর "একটু দাঁড়াও, যমদূত !!"
এর আগে ২০১৮'র বইমেলায় সামুর ব্লগারদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ব্লগ নিয়ে প্রকাশিত ঋদ্ধ ২'তে আমার একটা লেখা নির্বাচিত হয়েছিল, সেটাও ছিল আমার জন্যে একটা পরম পাওয়া !!
পরাগ ওয়াহিদের করা ফাইনাল প্রচ্ছদ এবং কাহিনী সংক্ষেপ শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
আমার বেশিরভাগ লেখায় যেভাবে সামুর ব্লগারদের অকৃত্তিম উতসাহ আর ভালোবাসা পেয়েছি, আশা করি আমার রূপান্তর করা এই বইটির ক্ষেত্রেও সবাইকে পাশে পাবো আমি।
"একটু দাঁড়াও, যমদূত !!"
ড. পিটার ব্রাউন; ম্যানহাটন ক্যাথলিক হাসপাতালের একজন প্রতিভাবান এবং নিবেদিতপ্রাণ ইন্টার্ন সার্জন। থ্রিলার বইয়ের বেশিরভাগ নায়কের মতো তারও একটা বিটকেলে গোপন অতীত আছে; কিন্তু তাদের মত মদ গিলে হাপিত্যেশ না করে; মনপ্রাণ দিয়ে ডাক্তারি করে বেড়াচ্ছে সে।
এদিকে কপাল খারাপ মাফিয়া নেতা নিকোলাস লোব্রুতো’র। পাকস্থলীর ক্যান্সারে পরপারের এডভান্সড টিকেট কেটে ফেলা এই রোগীর কক্ষে যখন হাজির হলো ড. পিটার ব্রাউন, তাকে দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো তার!! সাদা গাউন আর গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে কক্ষে উপস্থিত হয়েছে আর কেউ না; ভয়ংকর এক মাফিয়া হিটম্যান - ভল্লুকের থাবা ওরফে পিয়েত্রো “দ্যা বিয়ার ক্ল” ব্রনোয়া!!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে – ড. পিটারের নাম কেন ভল্লুকের থাবা? কেন তাকে দেখে খাঁচাছাড়া হয়ে গেল লোব্রুতোর আত্মারাম? তাহলে কি উন্মোচিত হচ্ছে লুকিয়ে থাকা রক্তাক্ত কোন অতীত?
পরিচয় ফাঁস হয়ে গেছে পিয়েত্রো ওরফে পিটারের। তার হাতে এখন একটাই অপশন। ভাগতে হবে। কিন্তু পাপ যেখানে বাপ’কেও ছাড়েনা; সেখানে এক হিটম্যান কাম ডাক্তার তো কোন ছাড় !! পালানোর সময় একগাদা দায়িত্ববোধ, অহংকার, বিচিত্র সব রোগী, রক্তে রঞ্জিত অতীত আর মাফিয়ার খুনে গ্যাংস্টাররা ঘিরে ফেললো তাকে। পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে যমদূত। কি করবে এখন ও? যমদূতের কাস্তের নিচে মাথা পেতে দিয়ে জীবন নামের এই পাগলা দৌড়’এর অবসান ঘটাবে? নাকি কারাতের স্টান্স নিয়ে যমদূত’কে চ্যালেঞ্জ জানাবে, “একটু দাঁড়াও, যমদূত...পিকচার আভি বাকি হ্যায়!”
একশন, উইটি ডায়লগ, প্রেম, যৌনতা, মানবীয় জীবনের অকিঞ্চিতকর দর্শন, চিরন্তন সাদা কালো দ্বন্দ্ব; আর এর সাথে সঙ্গত দেয়া মাফিয়ার উত্থান, নাৎসি হলোকাস্ট, হিউম্যান ট্রাফিকিং, নারকীয় বীভৎসতা, খুন খারাপী আর রক্তারক্তি। এড্রেনালিন ফুয়েলড থ্রিলারের সাথে ডার্ক হিউমারের এক কমপ্লিট প্যাকেজ। যেন কুয়েন্টিন টারান্টিনোর এক মারদাঙ্গা সিনেমার সাথে; কোন মেডিক্যাল সিটকমের গোলাপ ফুল টোকাটুকির ফসল - “একটু দাঁড়াও, যমদূত!”
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ – দূর্বল, কোমল এবং সুশীল হৃদয়ের পাঠকরা এই বই থেকে এক আলোকবর্ষ দূরে থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০০