আকৃতিপর্ব্ব
ঘোড়ার চারটি পা, দুটি কান ও একটি চোখ আছে। ঘোড়ার শিং নেই ও আঙুল নেই। আমাদের নখ আছে। তাই ঘোড়ার খুর আছে । মেয়ে ঘোড়ারা দাঁত দিয়ে খুর কাটে না। সুতরাং মেয়ে ঘোড়াদের দাঁত নেই। ছেলে ঘোড়ারা টুথপেষ্ট ব্যবহার করেনা তবু তাদের মুখে ফেনা হয়।
ঘোড়ার একটি পিঠ আছে। পিঠে চড়া ও খাওয়া গৌরবের বিষয়। ঘোড়ার পিঠ সোজা ও বাঁকা। লম্বা এবং লম্বা। এদের ঘাড়ের সঙ্গে পিঠের ১২০ ডিগ্রী সম্পর্ক যেখানে পায়ের সঙ্গে পিঠের ৯০ ডিগ্রী সম্পর্ক সুতরাং ঘোড়ার ঘাড়ের সঙ্গে পিঠের সম্পর্ক কত তা বের করতে কোন অসুবিধা হয়না, কেননা ঘোড়া একটি দ্রুতগামী ত্রিভূজ।
ঘোড়ার নাকে একটি ফুটো আছে। এবং আরেকটি ফুটো তার পরেই পাওয়া যায়। এই ফুটোটি ঐ ফুটো দিয়ে বেরিয়ে গেছে কিনা বোঝা যায় না। কারণ কাঠি ঢুকিয়ে প্রমাণ করার সময় দেখেছি এরা বার বার হাঁচি দেয়।
ঘোড়ার সাঁইত্রিশটা লেজ আছে। পঁয়ত্রিশটা লেজ নেই। একটি লেজ স্কুলের খুকুমনিরা চুরি করে চুল বেঁধেছে। একটি এখনো ঘোড়ারা চোখে দেখেনি। শুধু অনুভব করেছে।
এদের ঘাড়ের লোমে ও লেজে তেলমালিশ করতে হয়না। এরা সেলুনেও যায় না। সুতরাং ঘোড়াই আদিম হিপি।
ঘোড়ার কোন রঙ হয় না। এরা চিরকালই নট্রাম।
ঘোড়ারা জানত না যে তাদের দুটো করে পাখা ছিল। এখনো এদের বাচ্চারা নিজেদের মনে করে ইবলিশের বাচ্চা। কিন্তু পাখা দুটোর খোঁজ কেন করে?
(চলবে...)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:১০