আমরা কেবল উন্নাসিক নই আমরা অজ্ঞান সমলোচকও বটে।এটা বস্তব সত্য দিনের বেলা বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে আমরা শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে পারি আর রাতের বেলা বাসায় ফিরে অনলাইনে বিদেশী চলচ্চিত্র নিয়ে পরচর্চায় মত্ত হই।অবশ্যই বাইরের দেশের মেকিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এগুলো দেখতে হবে তবে তার মানে এই নয় যে আমার দেশের চলচ্চিত্রগুলি সব অদেখা রয়ে যাবে অথবা দেখলেও তা নিয়ে আমাদের উৎসাহ থাকবেনা।যার নিজের ঘরের খেয়াল নেই সে অন্যের রাজপ্রাসাদ দেখে কি করবে?
এই জনবল দিয়ে আর কতদূর যেতে পারব আমরা।"দিলওয়ালে" রিলিজ হতে পারলনা অথচ বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষের এই ফিল্ম দেখা শেষ,ফেসবুকে চেক ইন দেয়া শেষ,মুভির রিভিউ লেখা শেষ।
কই "জালালের গল্প" নিয়ে কয়জন কথা বলেছেন?যেখানে বিদেশের মাটিতে "জালালের গল্প" পুরস্কার পেয়ে এসেছে সেখানে বাঙালির কোন উচ্ছাস নেই,আনন্দ নেই,অনুভূতি নেই।
প্রেক্ষাগৃহে আসলো "অনীল বাগচী্র একদিন" অনেকে ফিরেই তাকায়নি অথচ এটা মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র।আর "অনীল বাগচী্র একদিন" যে খাঁটি চলচ্চিত্রের দৃষ্টান্ত সে বিষয় কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আমরা ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারব,মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারব আমাদের ফিল্ম বড্ড সেকেলে,আমাদের ফিল্ম অশ্লীল পরিবার নিয়ে দেখা যায়না, আমাদের ফিল্মের গল্প ভালোনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনারা তো বাংলাদেশের ফিল্মই দেখেননা আপনারা সমলোচনা কিভাবে করেন।আমি অবাক, আমি নিস্তব্ধ, আমি নির্বিকার।
এরই নাম দেশপ্রেম বিদেশ বলে লাফিয়ে পড়ুন আর দেশের কুৎসা রচনা করুন।
"দিলওয়ালে" বলে সবাই ঝাপিয়ে পড়লেন!!!
পিছনে পড়ে রইলো "অনীল বাগচী্র একদিন"
পিছনে পড়ে রইলো "জালালের গল্প"
হয়ত পিছনে পড়ে থাকবে "নো ম্যানস ল্যান্ড"
দোষটা কি ভারতের না বাংলাদেশের?